‘অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের নির্মাণশৈলী উন্নত করতে হবে’
Published: 8th, October 2025 GMT
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের নির্মাণশৈলী উন্নত করতে হবে। অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের মানোন্নয়নে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
গতকাল বুধবার ঢাকার তথ্য ভবনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের নির্মাতাদের নিয়ে এক আয়োজনে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুনসার্টিফিকেশন বোর্ড কী করছে১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫চলচ্চিত্র নির্মাতাদের দক্ষতা উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাণে চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দক্ষতা উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। চলচ্চিত্র নির্মাণে গাইডলাইন প্রদানবিষয়ক ল্যাবে ইন্ডাস্ট্রির বিশেষজ্ঞরা যে অভিজ্ঞতা বিনিময় করবেন, তা চলচ্চিত্র নির্মাতাদের, বিশেষ করে তরুণ নির্মাতাদের সমৃদ্ধ করবে।’
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই চলচ্চিত্র নির্মাণে সমন্বিত ব্যবস্থাপনা চালু রয়েছে। বাংলাদেশে এখনো সে রকম পূর্ণাঙ্গ কাঠামো তৈরি হয়নি। তবে কবিরপুর ফিল্ম সিটি নির্মিত হলে চলচ্চিত্র নির্মাণে আধুনিক ও সমন্বিত অবকাঠামো গড়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, এবারই প্রথম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নিয়ে ল্যাব করা হচ্ছে। অনুদানে নির্মাণাধীন চলচ্চিত্রের মানোন্নয়নে এ ধরনের ল্যাবের প্রয়োজন রয়েছে। ল্যাবে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে চলচ্চিত্রের মানোন্নয়নে কাজে লাগানোর জন্য তিনি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
চলচ্চিত্র নির্মাণে গাইডলাইন প্রদানবিষয়ক ল্যাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র ন র ম ত দ র চলচ চ ত র ন র ম ণ অন দ ন ন নয়ন
এছাড়াও পড়ুন:
চ্যালেঞ্জ নিয়েই দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি: খাদ্য উপদেষ্টা
খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা রক্ষায় প্রতিনিয়ত কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন উল্লেখ করে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, “দেশের মানুষের খাদ্যের নিশ্চয়তা দিতে হলে মাঠেই লড়াই করতে হয়। কাজটি নিষ্ঠার সঙ্গে করে যাচ্ছে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।”
রবিবার খাদ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে ‘আমন ২০২৪-২৫ ও বোরো ২০২৫ সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং খাদ্য নিরাপত্তায় বিশেষ অবদান’ রাখায় ৩১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গত আমন ও বোরো মৌসুমে সংগ্রহের পরিমাণ, চুক্তির বাস্তবায়ন, ব্যবস্থাপনা দক্ষতা, সততা ও সমন্বয়সহ বিভিন্ন সূচকে মূল্যায়ন করে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক পর্যায়ে একজন, জেলা পর্যায়ে পাঁচজন, উপজেলা পর্যায়ে দশজন এবং ব্যবস্থাপক/চলাচল ও সংরক্ষণ/ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পর্যায়ের ১৫ জনসহ মোট ৩১ জনকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, “২০২৪ সালে সরকার পরিবর্তনের পর দেশের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান দুর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু খাদ্য অধিদপ্তর ছিল ব্যতিক্রম। এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সংকট বা চাপে ভেঙে না পড়ে বরং চ্যালেঞ্জ নিয়ে জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।’’
আমন সংগ্রহ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “লক্ষ্যমাত্রা ন্যূনতম জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু অর্জন করতে হবে সর্বোচ্চ। ধান-চালের সংগ্রহ মূল্য যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে; এতে কারো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ নেই।”
তিনি আরও বলেন, ‘‘আগামী বছর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বাড়বে। তাই মধ্য ফেব্রুয়ারির আগেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।’’
তিনি এ সময় পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘‘দেশের জন্য কাজ করাই গৌরব। কোনো কৃষক ধান নিয়ে এলে তাকে ফেরত দেওয়া যাবে না। শুধু আদ্রতার বিষয়টি দেখা হবে। কোনো গুদামে বস্তাবন্দি পচা চাল পাওয়া গেলে তা সহ্য করা হবে না।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি খাদ্য সচিব মো. মাসুদুল হাসান বলেন, ‘‘বিগত বোরো মৌসুমে দেশের ইতিহাসে রেকর্ড পরিমাণ ধান-চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায়।’’
চলমান আমন মৌসুমেও একইভাবে সাফল্য অর্জনের আহ্বান জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে চলমান সংগ্রহ অভিযান সফল করতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
ঢাকা/এএএম//