তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের নির্মাণশৈলী উন্নত করতে হবে। অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের মানোন্নয়নে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

গতকাল বুধবার ঢাকার তথ্য ভবনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের নির্মাতাদের নিয়ে এক আয়োজনে এ কথা বলেন তিনি।

আরও পড়ুনসার্টিফিকেশন বোর্ড কী করছে১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চলচ্চিত্র নির্মাতাদের দক্ষতা উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাণে চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দক্ষতা উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। চলচ্চিত্র নির্মাণে গাইডলাইন প্রদানবিষয়ক ল্যাবে ইন্ডাস্ট্রির বিশেষজ্ঞরা যে অভিজ্ঞতা বিনিময় করবেন, তা চলচ্চিত্র নির্মাতাদের, বিশেষ করে তরুণ নির্মাতাদের সমৃদ্ধ করবে।’

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই চলচ্চিত্র নির্মাণে সমন্বিত ব্যবস্থাপনা চালু রয়েছে। বাংলাদেশে এখনো সে রকম পূর্ণাঙ্গ কাঠামো তৈরি হয়নি। তবে কবিরপুর ফিল্ম সিটি নির্মিত হলে চলচ্চিত্র নির্মাণে আধুনিক ও সমন্বিত অবকাঠামো গড়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, এবারই প্রথম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নিয়ে ল্যাব করা হচ্ছে। অনুদানে নির্মাণাধীন চলচ্চিত্রের মানোন্নয়নে এ ধরনের ল্যাবের প্রয়োজন রয়েছে। ল্যাবে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে চলচ্চিত্রের মানোন্নয়নে কাজে লাগানোর জন্য তিনি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

চলচ্চিত্র নির্মাণে গাইডলাইন প্রদানবিষয়ক ল্যাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো.

কাউসার আহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম ইমরান হোসেন, নির্মাতা আকরাম খান, নির্মাতা ও প্রযোজক রফিকুল আনোয়ার, চিত্রগ্রাহক বরকত হোসেন, সাউন্ড ডিজাইনার নাহিদ মাসুদসহ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে অনুদানপ্রাপ্ত সিনেমার প্রযোজক, নির্মাতা ও চিত্রনাট্যকার উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র ন র ম ত দ র চলচ চ ত র ন র ম ণ অন দ ন ন নয়ন

এছাড়াও পড়ুন:

কুষ্টিয়ায় লটারিতে হারা প্রার্থী জিতলেন আদালতের গণনায়

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রিফায়েতপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) উপনির্বাচনে ভোট গণনায় দুজন প্রার্থী সমান ভোট পেয়েছিলেন। দেড় বছর আগে লটারি করে নির্বাচন কর্মকর্তা একজনকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। হেরে যাওয়া প্রার্থী বিষয়টি না মেনে নিয়ে নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেন। শেষমেশ আদালতের দ্বারস্থ হন।

সোমবার (৬ অক্টোবর) আদালত আবার সেই ভোট গণনা করেন। তাতে দেখা যায়, পরাজিত প্রার্থী ২১৪ ভোট বেশি পেয়েছেন।

কুষ্টিয়ার নির্বাচনী ট্রাইবুন্যালে (জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালত) এই ভোট গণনা হয়। গত বছরের ৯ মার্চ এই ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সেসময় লটারিতে বিজয়ী হয়েছিলেন ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আবদুল মান্নান বিশ্বাস (স্বতন্ত্র)। এবার বিজয়ী হলেন মোটরসাইকেল প্রতীকের ফারুক আলম (স্বতন্ত্র)। 

এ তথ্য নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালতের (সদর) নাজির মিজানুর রহমান বলেন, “দুইজন প্রার্থী ও তাদের আইনজীবীদের সামনে ভোট গণনা করা হয়েছে। মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী ২১৪ ভোট বেশি পেয়েছেন।

২০২৪ সালের ৯ মার্চ রিফায়েতপুর ইউপি চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে পাঁচজন স্বতন্ত্র প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করেন। বেশির ভাগ প্রার্থী আওয়ামী লীগের রাজনীতির (বর্তমানে কার্যক্রম স্থগিত) সঙ্গে জড়িত ছিলেন। প্রাথমিক বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, মোট ভোটার ২৫ হাজার ৮৪৬ ভোটের মধ্যে বৈধ ভোট পড়ে ১৭ হাজার ৮১৩ ভোট। বাতিল হয় ১১৩ ভোট। 

প্রার্থীদের মধ্যে ঘোড়া প্রতীকের আবদুল মান্নান বিশ্বাস (স্বতন্ত্র) ও মোটরসাইকেল প্রতীকের ফারুক আলম (স্বতন্ত্র) দুজনই সমান ৬ হাজার ১২৩ ভোট পান। সমান ভোট পাওয়ায় ওই দিন রাত একটার দিকে তৎকালীন জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু আনছার স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি ৪১ (৬) মোতাবেক দুইজন প্রার্থীর মধ্যে লটারি করেন। লটারিতে ঘোড়া প্রতীকের আবদুল মান্নান বিশ্বাস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

লটারিতে হেরে যাওয়ার পর আদালতের দ্বারস্থ হওয়া ফারুক আলম বলেন, “২০২৪ সালের ৮ এপ্রিল তিনি আদালতে মামলা করেন। মামলার পর দীর্ঘ শুনানি শেষে গত ২৪ আগস্ট আদালত সিদ্ধান্ত দেন যে আবার ভোট গণনা করা হবে। এজন্য সোমবার দিন ধার্য্য ছিল। সেই মোতাবেক দুই প্রার্থী ও তাদের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে আদালতে পুনরায় ব্যালট পেপারগুলো গণনাকরা হয়। গণনায় তার ভোট বেড়েছে ২১৪টি।

ফারুক আলমের আইনজীবী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘‘খোলা আদালতে ভোট গণনা হয়। গণনা শেষে আদালত বাদী ফারুক আলমকে ২১৪ ভোট বেশি পাওয়ায় বিজয়ী ঘোষণা করেন।”

এ বিষয়ে আবদুল মান্নানের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তার আইনজীবী জিহাদুল ইসলাম বলেন, ‘‘বিবাদী আবদুল মান্নান এখন কী করবেন, সেটা এখনো আমি জানি না।”

ঢাকা/কাঞ্চন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রেলের কেনাকাটায় ৪ কোটি টাকা নয়ছয়, অনুসন্ধানে দুদক
  • ইনডেক্স অ্যাগ্রোর পর্ষদ সভা ১৬ অক্টোবর
  • তিন মাসে কনটেইনার পরিবহন বাড়ল ১২ শতাংশ
  • চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৪.৮%, পূর্বাভাস বিশ্বব্যাংকের
  • কুষ্টিয়ায় লটারিতে হারা প্রার্থী জিতলেন আদালতের গণনায়
  • সর্বজনীন পেনশনের সুরক্ষা স্কিমে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা দেওয়া যাবে
  • সেপ্টেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৮.৩৬%
  • সার কারখানার জন্য গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার প্রস্তাব
  • ডেসকোর পর্ষদ সভা ১২ অক্টোবর