বলিউডের বরেণ্য অভিনেতা গোবিন্দ। ব্যক্তিগত জীবনে সুনীতা আহুজার সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন। ৩৭ বছরের দাম্পত্য জীবন পার করছেন এই যুগল। দীর্ঘ এই পথচলায় তাদের দুই সন্তান— মেয়ে টিনা ও ছেলে যশবর্ধন।

কয়েক মাস আগে খবর চাউর হয়, ভেঙে যাচ্ছে গোবিন্দ-সুনীতা দম্পতির সংসার। কারণ হিসেবে গোবিন্দর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে আলোচনা কম হয়নি। তবে সব ভুলে একসঙ্গে সংসার করছেন তারা। কয়েক দিন আগে পিঙ্কভিলাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সুনীতা আহুজা। এ আলাপাচারিতায় ব্যক্তিগত জীবনের নানা বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি।

আরো পড়ুন:

রেকর্ড গড়বে শাহরুখের ‘কিং’?

শাকিবের ‘প্রিন্স’ সিনেমার জন্য অমিতাভ বচ্চনের শুভেচ্ছা

স্বামী গোবিন্দর ভুল নিয়ে সুনীতা আহুজা বলেন, “নিজেকে সামলে রাখা উচিত। যৌবনে মানুষ ভুল করে, আমি করেছি, গোবিন্দও করেছে। কিন্তু যখন নির্দিষ্ট একটি বয়সে পৌঁছে যাই, তখন এমন ভুল করা ভালো না। কেন এ ধরনের ভুল করবেন, আপনার সুন্দর একটা পরিবার আছে, স্ত্রী আছে, সুন্দর সন্তান আছে; তারপরও কেন এমনটা করবেন?”

কখনো কী এসব বিষয়ে গোবিন্দকে প্রশ্নের মুখোমুখি করেছিলেন? এ প্রশ্নের জবাবে সুনীতা আহুজা বলেন, “তার (গোবিন্দ) চিন্তাভাবনা আলাদা, আমারও আলাদা। আমি আজও বেঁচে আছি শুধু আমার বাচ্চাদের জন্য, ওদের ভালোবাসার জন্য। আমি সবসময় ভাবতাম, আমার বাচ্চারা শুধু আমাকে ভালোবাসবে। টিনা যখন ছোট ছিল, আমি ওকে মজা করে জিজ্ঞেস করতাম, ‘বাবাকে ভালোবাসিস, না আমাকে?’ ও সবসময়ই বাবাকে বেছে নিতো। তবু ও আমাকে ভালোবাসে, আমার পাশে থাকে।”

সুনীতার কোনো বন্ধু নেই। এ তথ্য উল্লেখ করে সুনীতা আহুজা বলেন, “আমি আর আমার ছেলে খুব ঘনিষ্ঠ। আমার জীবনে কোনো বন্ধু নেই। যশ (যশবর্ধন) আমাকে ডিনারে নিয়ে যায়, টিনাও নিয়ে যায়। আমি বন্ধুত্বে বিশ্বাস করি না।”

স্বামী গোবিন্দ প্রসঙ্গে সুনীতা আহুজা বলেন, “দেখো, ও তো হিরো। ওকে নিয়ে আমি কী বলব? স্ত্রীর চেয়ে ও নায়িকাদের সঙ্গেই বেশি সময় কাটিয়েছে। একজন তারকার স্ত্রী হতে গেলে খুব শক্ত মনের মানুষ হতে হয়। নিজের মনকে পাথরের মতো কঠিন করতে হয়। এটা বুঝতে আমার ৩৮ বছর লেগেছে, যৌবনে বুঝিনি।”

পরের জন্মে কী গোবিন্দকে স্বামী হিসেবে চান? এ প্রশ্নের জবাবে সুনীতা আহুজা স্পষ্টভাবে বলেন, “আমি চাই না। আরো আগে এ বিষয়টি বলে দিয়েছি। গোবিন্দ খুব ভালো ছেলে, খুব ভালো ভাই, কিন্তু ভালো স্বামী নয়। পরের জন্মে আমি আমার ছেলে হয়ে জন্মাতে চাই, স্বামী হিসেবে নয়। সাত জন্ম ভুলে যান, এই এক জন্মই যথেষ্ট।”

এর আগে গোবিন্দর আইনজীবী ইন্ডিয়া টুডেকে জানিয়েছিলেন, ছয় মাস আগে গোবিন্দকে ডিভোর্স লেটার পাঠান সুনীতা। সেই খবরই সামনে আসার পর বিচ্ছেদের চর্চা শুরু হয়। পরবর্তীতে এ দম্পতি তাদের সমস্যা মিটিয়ে নেন।

১৯৮৭ সালে বিয়ে করেন গোবিন্দ-সুনীতা। এ দম্পতির দুই সন্তান, তারা হলেন— মেয়ে টিনা ও ছেলে যশবর্ধন। ইতোমধ্যে রুপালি জগতে নাম লেখিয়েছেন গোবিন্দর মেয়ে টিনা আহুজা। ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘সেকেন্ড হ্যান্ড হাজবেন্ড’ সিনেমায় দেখা গেছে তাকে। পরিচালক সাই রাজেশের হাত ধরে খুব শিগগির বলিউডে অভিষেক হতে যাচ্ছে যশবর্ধনের।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ ব ন দর

এছাড়াও পড়ুন:

‘স্ত্রীর চেয়ে নায়িকাদের সঙ্গেই বেশি সময় কাটিয়েছে গোবিন্দ’

বলিউডের বরেণ্য অভিনেতা গোবিন্দ। ব্যক্তিগত জীবনে সুনীতা আহুজার সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন। ৩৭ বছরের দাম্পত্য জীবন পার করছেন এই যুগল। দীর্ঘ এই পথচলায় তাদের দুই সন্তান— মেয়ে টিনা ও ছেলে যশবর্ধন।

কয়েক মাস আগে খবর চাউর হয়, ভেঙে যাচ্ছে গোবিন্দ-সুনীতা দম্পতির সংসার। কারণ হিসেবে গোবিন্দর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে আলোচনা কম হয়নি। তবে সব ভুলে একসঙ্গে সংসার করছেন তারা। কয়েক দিন আগে পিঙ্কভিলাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সুনীতা আহুজা। এ আলাপাচারিতায় ব্যক্তিগত জীবনের নানা বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি।

আরো পড়ুন:

রেকর্ড গড়বে শাহরুখের ‘কিং’?

শাকিবের ‘প্রিন্স’ সিনেমার জন্য অমিতাভ বচ্চনের শুভেচ্ছা

স্বামী গোবিন্দর ভুল নিয়ে সুনীতা আহুজা বলেন, “নিজেকে সামলে রাখা উচিত। যৌবনে মানুষ ভুল করে, আমি করেছি, গোবিন্দও করেছে। কিন্তু যখন নির্দিষ্ট একটি বয়সে পৌঁছে যাই, তখন এমন ভুল করা ভালো না। কেন এ ধরনের ভুল করবেন, আপনার সুন্দর একটা পরিবার আছে, স্ত্রী আছে, সুন্দর সন্তান আছে; তারপরও কেন এমনটা করবেন?”

কখনো কী এসব বিষয়ে গোবিন্দকে প্রশ্নের মুখোমুখি করেছিলেন? এ প্রশ্নের জবাবে সুনীতা আহুজা বলেন, “তার (গোবিন্দ) চিন্তাভাবনা আলাদা, আমারও আলাদা। আমি আজও বেঁচে আছি শুধু আমার বাচ্চাদের জন্য, ওদের ভালোবাসার জন্য। আমি সবসময় ভাবতাম, আমার বাচ্চারা শুধু আমাকে ভালোবাসবে। টিনা যখন ছোট ছিল, আমি ওকে মজা করে জিজ্ঞেস করতাম, ‘বাবাকে ভালোবাসিস, না আমাকে?’ ও সবসময়ই বাবাকে বেছে নিতো। তবু ও আমাকে ভালোবাসে, আমার পাশে থাকে।”

সুনীতার কোনো বন্ধু নেই। এ তথ্য উল্লেখ করে সুনীতা আহুজা বলেন, “আমি আর আমার ছেলে খুব ঘনিষ্ঠ। আমার জীবনে কোনো বন্ধু নেই। যশ (যশবর্ধন) আমাকে ডিনারে নিয়ে যায়, টিনাও নিয়ে যায়। আমি বন্ধুত্বে বিশ্বাস করি না।”

স্বামী গোবিন্দ প্রসঙ্গে সুনীতা আহুজা বলেন, “দেখো, ও তো হিরো। ওকে নিয়ে আমি কী বলব? স্ত্রীর চেয়ে ও নায়িকাদের সঙ্গেই বেশি সময় কাটিয়েছে। একজন তারকার স্ত্রী হতে গেলে খুব শক্ত মনের মানুষ হতে হয়। নিজের মনকে পাথরের মতো কঠিন করতে হয়। এটা বুঝতে আমার ৩৮ বছর লেগেছে, যৌবনে বুঝিনি।”

পরের জন্মে কী গোবিন্দকে স্বামী হিসেবে চান? এ প্রশ্নের জবাবে সুনীতা আহুজা স্পষ্টভাবে বলেন, “আমি চাই না। আরো আগে এ বিষয়টি বলে দিয়েছি। গোবিন্দ খুব ভালো ছেলে, খুব ভালো ভাই, কিন্তু ভালো স্বামী নয়। পরের জন্মে আমি আমার ছেলে হয়ে জন্মাতে চাই, স্বামী হিসেবে নয়। সাত জন্ম ভুলে যান, এই এক জন্মই যথেষ্ট।”

এর আগে গোবিন্দর আইনজীবী ইন্ডিয়া টুডেকে জানিয়েছিলেন, ছয় মাস আগে গোবিন্দকে ডিভোর্স লেটার পাঠান সুনীতা। সেই খবরই সামনে আসার পর বিচ্ছেদের চর্চা শুরু হয়। পরবর্তীতে এ দম্পতি তাদের সমস্যা মিটিয়ে নেন।

১৯৮৭ সালে বিয়ে করেন গোবিন্দ-সুনীতা। এ দম্পতির দুই সন্তান, তারা হলেন— মেয়ে টিনা ও ছেলে যশবর্ধন। ইতোমধ্যে রুপালি জগতে নাম লেখিয়েছেন গোবিন্দর মেয়ে টিনা আহুজা। ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘সেকেন্ড হ্যান্ড হাজবেন্ড’ সিনেমায় দেখা গেছে তাকে। পরিচালক সাই রাজেশের হাত ধরে খুব শিগগির বলিউডে অভিষেক হতে যাচ্ছে যশবর্ধনের।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ