ঢাকায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা
Published: 10th, November 2025 GMT
রাজধানী ঢাকায় দায়িত্ব পালনের সময় ইনচার্জ ছাড়া অন্য পুলিশ সদস্যদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রম প্রতিরোধ করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন:
কুমিল্লায় ট্রাকচাপায় অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত
টাঙ্গাইলে নির্বাচন অফিসে হামলা-ভাঙচুর, কর্মকর্তাসহ আহত ৩
সোমবার (১০ নভেম্বর) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো.
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, “সম্প্রতি উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, দায়িত্বরত অবস্থায় অনেক পুলিশ সদস্য মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকেন। এতে তাদের সতর্ক নজরদারি ব্যাহত হচ্ছে এবং দায়িত্ব পালনে শিথিলতা দেখা দিচ্ছে। ফলে পুলিশ দৃশ্যমান থাকা সত্ত্বেও তারা নিজেদের নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছেন না।”
আদেশে আরও বলা হয়, “আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রম প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করতে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।”
এতে বলা হয়েছে, “দায়িত্বরত অবস্থায় ইনচার্জ ছাড়া অন্য কোনও পুলিশ সদস্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে তা শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ হিসেবে গণ্য হবে। নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
একইসঙ্গে, ডিউটিতে মোতায়েনের আগে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে এই নির্দেশনার বিষয়ে সচেতন ও বাধ্যতামূলকভাবে অবহিত করতে ইউনিট ইনচার্জদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ল শ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও মনোনীত প্রার্থীর শোডাউন, প্রশাসনের ১৪৪ ধারা
গাইবান্ধার সাঘাটায় জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি নাহিদুজ্জামান নিশাত ও গাইবান্ধা-৫ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ফারুক আলমের কর্মী-সমর্থকদের মোটরসাইকেল শোডাউনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সম্ভাব্য সংঘর্ষ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
রবিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে বিষয়টি জানাজনি হয়। এর আগে, শনিবার সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর মো. আল কামাহ্ তমাল স্বাক্ষরিত এ আদেশ জারি করা হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, শোডাউনকে কেন্দ্র করে দুটি গ্রুপ পরস্পর বিরোধী অবস্থানে রয়েছে। এতে সংঘর্ষ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা থাকায় রবিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সাঘাটা উপজেলা ও এর আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা কার্যকর থাকবে।
এ সময় এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল, মাইকিং, আগ্নেয়াস্ত্র বা দেশীয় অস্ত্র বহন, পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির একত্রে চলাফেরা নিষিদ্ধ থাকবে। তবে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গাইবান্ধা-৫ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ফারুক আলমের কর্মী-সমর্থক এবং বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা নাহিদুজ্জামান নিশাদের কর্মী-সমর্থকরা একই দিনে শোডাউনের ঘোষণা দিলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এরই প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছেন।
চলতি বছরের ২৪ আগস্ট দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ ও সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাহিদুজ্জামান নিশাতকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে গত ৩ নভেম্বর গাইবান্ধা-৫ আসনে ফারুক আলম সরকারকে ধানের শীষের প্রার্থী ঘোষণা করে বিএনপি।
ঢাকা/মাসুম/রাজীব