কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, “আমি আওয়ামী লীগ করি না। আমি শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ করি না। আমি বঙ্গবন্ধু করি, আমি মুক্তিযুদ্ধ করি। আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাই। আমি জয় বাংলা বলি।”

তিনি বলেন, “সরকার বাহাদুররা বলে গেলাম—জয় বাংলা বলা যদি অপরাধ হয়, তাহলে আমাকে প্রথম গ্রেপ্তার করেন। আমি যেখানে যাইয়া দাঁড়াব, বলব- আমি জয় বাংলা বলে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। জয় বাংলা বলেই আমি আমার জীবন দিতে চাই।”

আরো পড়ুন:

সবুজে মোড়া পান বরজ, হাসি নেই চাষিদের মুখে

গোপালগঞ্জে মরছে টমেটো গাছ, কৃষক দিশেহারা 

সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বহেড়াতৈল গণ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, “আমার নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধ আমার ধ্যান, বঙ্গবন্ধু আমার চেতনা, বঙ্গবন্ধু আমার চৈতন্য। এখান থেকে কেউ সরাতে পারবে না।”

তিনি বলেন, “শেখ হাসিনাকে মানুষ কম বিরক্ত হয়ে তাড়ায়নি। মানুষ একেবারে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিল। শেখ হাসিনাকে তাড়ানোর ক্ষমতা এই ৮-১০টা বাচ্চাদের ছিল না। বিএনপি ও জামায়াত পারেনি, অন্তর্ঘাত করে পারেনি। কিন্তু শেখ হাসিনার পতন হয়েছিল। আমি বিশ্বাস করি, আল্লাহর তরফ থেকে হয়েছিল। তিনি যে পরিমাণ অত্যাচার করেছেন, মানুষকে অসম্মান করেছেন, তার জন্যই আল্লাহ তরফ থেকে তিনি পরাজিত হয়েছেন।”

তিনি আরো বলেন, “১৫-১৬ বছরে শেখ হাসিনা যে অত্যাচার করেছে, জোর-জুলুম করেছে, ব্যাটারি গাড়ি স্ট্যান্ড, সিএনজি স্ট্যান্ড আর অন্যান্য জায়গা থেকে যে পরিমাণ চাঁদা উঠাইছে নৌকা মার্কারা, তার চার থেকে দশগুণ এই ১২-১৪ মাসে অন্য দলেরা করেছে।”

কাদের সিদ্দিকী বলেন, “শেখ হাসিনার যখন পতন হয়, তখন এক নম্বর দলে ছিল ধানের শীষ। মানুষের মনে এক নম্বরে ছিল ধানের শীষ। এখন কিন্তু তারা পেটের বিষ।”

বহেড়াতৈল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্যে দেন, সখীপুর উপজেলার সভাপতি আব্দুস সবুর খান, বাসাইল উপজেলার সভাপতি রাহাত হাসান টিপু, সখীপুর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন সজীব, কালিহাতী উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ইতহার সিদ্দিকী প্রমুখ।

ঢাকা/কাওছার/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল র স

এছাড়াও পড়ুন:

‘ওরে সালেকা মালেকা’ থেকে নতুন যুগে—ফিরল আজম খানের ‘উচ্চারণ’

বাংলা ব্যান্ড সংগীতকে অনন্য উচ্চতায় নিয়েছেন আজম খান; অনুরাগীদের কাছে তিনি পপগুরু হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। ২০১১ সালের ৫ জুন মারা যান তিনি। আজম খান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, একাত্তরে অস্ত্র হাতে গেরিলাযুদ্ধ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের পর আজম খান বন্ধুদের নিয়ে সংগীতের দল গড়েন, নাম দেন ‘উচ্চারণ’। দুঃখজনক হচ্ছে, আজম খানের মৃত্যুর পর ‘উচ্চারণ’ ব্যান্ডের কার্যক্রম থেমে যায়।  ১৪ বছর পর নতুন উদ্যমে ফিরছে আজম খানের হাতে গড়া ব্যান্ড ‘উচ্চারণ’। নতুন উদ্যমে ফেরার পেছনে আজম খানের পরিবার যেমন উদ্যোগী হয়েছেন, তেমনি ব্যান্ড সদস্য এবং ইভেন্ট আয়োজক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা রয়েছে—এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই জানিয়েছে ব্যান্ড উচ্চারণ।

বাংলাদেশের পপ ও ব্যান্ড সংগীতকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী আজম খান

সম্পর্কিত নিবন্ধ