মুন্সিগঞ্জে বিএনপির বিরোধ-আধিপত্যের জেরে গুলিবিদ্ধ আরেক তরুণের মৃত্যু
Published: 11th, November 2025 GMT
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলে বিএনপির দুই পক্ষের বিরোধের জেরে গুলিতে আহত এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ওই ঘটনায় দুই তরুণ মারা গেছেন।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত তরুণের নাম রায়হান খান (২২)। তিনি উপজেলার চরডুমুরিয়া খানবাড়ির রুস্তম খানের ছেলে। এর আগে গতকাল সোমবার ভোরে বিএনপির এক পক্ষের হামলায় রায়হানের পাশাপাশি আরিফ মীর (৪০) ও ইমরান খান (২২) গুলিবিদ্ধ হন। ওই সময় ঘটনাস্থলেই আরিফের মৃত্যু হয়। আহত অবস্থায় রায়হান ও ইমরানকে রাজধানী ঢাকায় পাঠানো হয়।
আরও পড়ুনমুন্সিগঞ্জে বিএনপির বিরোধ: এক সপ্তাহের মাথায় আরেকজনকে গুলি করে হত্যা১০ নভেম্বর ২০২৫রায়হানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, রায়হান মুন্সিগঞ্জ থেকে গতকাল চিকিৎসা না নিয়ে সরাসরি ঢাকায় চলে যান। গতকাল হতাহতের ওই ঘটনায় আজ বিকেল পর্যন্ত কোনো মামলা বা অভিযোগ দেওয়া হয়নি।
মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে বিবদমান দুটি পক্ষের একটির নেতৃত্বে আছেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ওয়াহিদ রায়হান ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আতিক মল্লিক। অপর পক্ষের নেতৃত্বে আছেন সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উজির আহমেদ ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আওলাদ হোসেন। নতুন করে নিহত রায়হান উজির-আওলাদের পক্ষের সমর্থক ছিলেন।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা ও রায়হানের প্রতিবেশীদের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ভোরে ওয়াহিদ রায়হান, আতিক মল্লিক ও রহিম মোল্লাদের সমর্থক আওয়ামী লীগ নেতা ইউসুফ, জাহাঙ্গীর, শাহ কামাল, শাহ আলম, শাকিল, হোসেন মিয়া ও জিন্নত মীরদের একটি দল দেশি-বিদেশি অস্ত্র নিয়ে চরডুমুরিয়া এলাকায় অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান আরিফ মীর। রায়হান ও ইমরান গুরুতর আহত হন।
মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে বসবাসকারী সেই দলের নেতারা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুটি দলে বিভক্ত হন। সেই সঙ্গে সমর্থকদের নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। আওয়ামী লীগের আমলে পক্ষ দুটির নেতৃত্ব দেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। তখন বিএনপির সমর্থকেরা ওই দুই পক্ষে ভাগ হয়ে সংঘর্ষে জড়াতেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবলে কারা কোন গ্রুপে
চট্টগ্রাম অঞ্চলের খেলা দিয়ে তৃতীয় ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে ২০ নভেম্বর। দেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের এই ফুটবল প্রতিযোগিতার ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ, রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের সুরমা হলে।
টুর্নামেন্টের এবারের আসরে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১০টি দল খেলবে দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে। খুলনা ও রাজশাহী থেকে খেলছে ৪টি করে দল। ঢাকার ২৮টি দল ৪টি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। খেলা হবে নকআউটভিত্তিক। প্রতিটি গ্রুপের সেরা দল উঠে আসবে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্বে।
২০২৩ সালে ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবলের প্রথম আসরে অংশ নেয় ৩২টি দল। গত বছর দল বেড়ে দাঁড়ায় ৪২টি, এবার আরও বেড়ে ৪৬টি। যদিও এবারের টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে ৭১টি বিশ্ববিদ্যালয়। সব দলকে সুযোগ দিতে না পারায় টুর্নামেন্ট কমিটি দুঃখ প্রকাশ করেছে।
ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবলের ড্র অনুষ্ঠানে অতিথি ও দর্শকেরা