ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন ভুটান সফরে থাকা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লিতেও একই কথা বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। দুজনের কথাতেই স্পষ্ট, দিল্লি পুলিশের অভিমতও তা–ই।

পুলিশ বলছে, সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লির লাল কেল্লার কাছে ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনা নাশকতা ছাড়া অন্য কিছু নয়। কিন্তু কে বা কারা এর জন্য দায়ী, তা সরকার এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারেনি। এখন পর্যন্ত কেউ দায়ও স্বীকার করেনি।

গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।

প্রধানমন্ত্রী মোদি আজ মঙ্গলবার ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে এক অনুষ্ঠানে বলেন, তদন্তকারী সংস্থাগুলো এই ষড়যন্ত্রের গোড়া পর্যন্ত যাবে। অপরাধীদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

একই সুর শোনা গেছে দিল্লিতে রাজনাথ সিংয়ের কথাতেও। প্রত্যেকেই ষড়যন্ত্র ও নাশকতা নিয়ে সন্দিহান হলেও এই প্রথম দেখা যাচ্ছে, সরকারের কোনো মহল থেকেই চক্রান্তকারী হিসেবে এখনো পাকিস্তান অথবা পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসবাদী কোনো সংগঠনকে খাড়া করানো হয়নি।

এই সাবধানতার কারণ কি পাকিস্তানের প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নমনীয় অবস্থান ও জোরালো সমর্থন? জেনারেল আসিম মুনিরের প্রতি পক্ষপাতিত্ব? ট্রাম্পের হুমকিতে পেহেলগামকাণ্ডের পর সামরিক হানা চালানো হুট করে বন্ধ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছিলেন, ‘অপারেশন সিঁদুর’ বন্ধ করা হয়নি, স্থগিত রাখা হয়েছে শুধু। যেকোনো অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটলে তা আবার শুরু করা হবে। সেই অধিকার ভারতের থাকছে।

পাকিস্তান অথবা ওই দেশে ঘাঁটি গেড়ে থাকা কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনকে সরাসরি অপরাধী না ঠাওরানোর কারণও কি তাহলে প্রধানমন্ত্রীর ওই ঘোষণা? কেননা, মোদি সরকারের ভাষায় সীমান্তপারের সন্ত্রাসীদের অপরাধী ঠাওরালে সে ক্ষেত্রে নতুন করে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালু করতে হয়। ট্রাম্পের নেকনজরে থাকা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সে ব্যবস্থা নিতে মোদি এখন প্রস্তুত নন?

বিস্ফোরণের পর এসব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যেমন উঠে গেছে এই তত্ত্বও, ‘অপারেশন সিঁদুর’–এ লস্কর–ই–তাইয়েবার অবিসংবাদিত নেতা মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ সদস্যের মৃত্যুর বদলা নিতেই এই বিস্ফোরণ। মূল চক্রান্তকারী মাসুদ আজহারের বোন সাদিয়া আজহার, যাঁর স্বামী ইউসুফ আজহার ছিলেন নিহত ১০ জনের একজন।

কারণ যা–ই হোক, সোমবারের ঘটনা যে গোয়েন্দা ও নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর চরম ব্যর্থতা, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। বিরোধী মহল এ বিষয়ে একমত হলেও এখনই তা বড় করে তুলে ধরতে চাইছে না। কারণটা হলো বিহার নির্বাচন। বিরোধীরা এমন কিছু করতে চায় না, যাতে ভোটে ধর্মীয় মেরুকরণ ঘটে। মঙ্গলবার ছিল বিহার ভোটের দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব।

উত্তর ভারতের বিভিন্ন অংশ থেকে গত কয়েক দিনে ২ হাজার ৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার, রোববার ফরিদাবাদের এক বাড়ি থেকে ২৬০ কেজি বিস্ফোরক, একটি একে ৪৭ ও ৮০ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার, একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পরদিনই এই গাড়ি বিস্ফোরণ। এগুলোর একটি অপরটির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বলেই গোয়েন্দাদের অভিমত। ফলে প্রশ্ন উঠছে, এসব ঘটনা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অজান্তে কী করে ঘটল? কারা এর জন্য দায়ী?

যে গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে, তার মালিকানা অনেকবার বদল হয়েছে। তাঁদের আটক করা হয়েছে। ভুল স্থানে দাঁড় করানোর জন্য গত ২০ সেপ্টেম্বর ওই গাড়ির দেড় হাজার রুপি জরিমানাও হয়। আটক একজন পুলিশি জেরায় জানান, গাড়িটি তিনি পুলওয়ামার একজনকে বিক্রি করেছেন। যদিও কাগজপত্র এখনো হাতবদল হয়নি। যাঁর কাছে বিক্রি করা হয়, তিনি এক চিকিৎসক। নাম উমর মোহাম্মদ।

লাল কেল্লার কাছে থাকা সব সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে জানা যাচ্ছে, ওই গাড়ি সোমবার লাল কেল্লার কাছে এক জায়গায় প্রায় তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়েছিল। সেখান থেকে রওনা দেওয়ার কিছু পরই এক ট্রাফিক সিগন্যালে তা বিস্ফোরণে উড়ে যায়।

ওই বিস্ফোরণের ঘটনা আত্মঘাতী হামলা কি না, তদন্তে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করা না হলেও তদন্তকারীরা নিশ্চিত, বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক উদ্ধারের সঙ্গে এ ঘটনা সরাসরি যুক্ত।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সন ত র স আজহ র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বৈষম্য দূর হবে বাস্তব উদ্ভাবনে

অন্ধকারে গ্রামের পুকুরে জ্বলছে অদ্ভুত এক আলো। এই আলোর উৎস সৌরশক্তি। আলোয় ভিড় করছে পোকামাকড়। পুকুরের পানির নিচে আনন্দে খলবল করছে মাছের ঝাঁক। কারণ, পোকাগুলো পানিতে পড়ে পরিণত হচ্ছে মাছের খাবারে। ‘ফিলাইট’ নামের সৌরশক্তিচালিত এই বাতি বদলে দিচ্ছে মাছ চাষের চিত্র।

আমার এই আলো বা বাতি উদ্ভাবনের গল্পটি শুরু হয়েছিল গ্রামের পুকুর থেকে। গ্রামের এক সাধারণ পরিবারে জন্মেছি। ছোটবেলা থেকেই ভাবনা ছিল, প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রামের মানুষের জীবনটাকে যদি একটু সহজ করা যেত! সেই ভাবনা থেকেই ফিলাইট উদ্ভাবনের যাত্রা শুরু হয়।

তারুণ্যের শক্তি মানে পরিবর্তনের সাহস

তারুণ্য কেবল বয়সের সংখ্যা নয়, একধরনের শক্তি। এই শক্তি সমাজ বদলে দিতে পারে। বাংলাদেশের প্রায় ৪২ লাখ মাছের পুকুরে লাখো কৃষক কাজ করেন। কিন্তু তাঁদের আয়টা প্রায়ই নির্ভর করে ভাগ্যের ওপর। আর মাছের খাবারের বাড়তি খরচ তাঁদের জন্য বড় বাধা।

নওগাঁর মান্দা উপজেলার পশ্চিম দুর্গাপুর গ্রামের ছেলে আমি। গ্রামের ছেলে হওয়ায় এই বাধার বিষয়টি আমাকে খুব ভাবাত। একসময় ভাবলাম, যদি এমন কোনো ডিভাইস তৈরি করা যায়, যা বিদ্যুৎ ছাড়াই মাছের খাবারের বিকল্প তৈরি করে দিতে পারে! ২০২৩ সালে সেই ভাবনা থেকেই মাত্র ১৯ বছর বয়সে সাহস করে তৈরি করি ফিলাইট (Felight)।

আলোর ফাঁদে মাছের খাবার

ফিলাইট মূলত সৌরশক্তিচালিত পোকামাকড় আকৃষ্টকারী একধরনের বাতি। এই বাতি রাতে পুকুরের মাঝখানে স্থাপন করা হলে আলো ছড়ায়। সেই আলোয় আকৃষ্ট হয়ে পোকামাকড় ভিড় করে ফিলাইটের ওপর। এরপর পোকাগুলো পানিতে পড়ে মাছের খাবারে পরিণত হয়।

ডিভাইসটি কম খরচে এবং বিদ্যুৎ ছাড়াই চলে। তাই কৃষকের খরচ কমে, উৎপাদন ও আয় বাড়ে।

এক তরুণের একার লড়াই

এই যাত্রা মোটেও সহজ ছিল না। ২০২৪ সালে আমার বয়স ছিল ১৯ বছর। হাতে না ছিল টাকা, না কোনো শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। অনেকে বলেছিলেন, ‘এই দেশে এমন প্রজেক্ট টিকবে না।’ কেউ কেউ আবার আমাকে নিয়ে উপহাস করেছিলেন। কিন্তু থেমে গেলে চলবে না—এই লক্ষ্যে অবিচল ছিলাম। কারণ, থেমে গেলে শুধু আমার স্বপ্ন নয়, যাঁরা আমাকে দেখে অনুপ্রাণিত হতে পারতেন, তাঁদের স্বপ্নও থেমে যাবে। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, ছোট পরিসরে হলেও একাই ফিলাইটকে বাস্তবে রূপান্তর করব।

নিজ হাতে বানানো প্রোটোটাইপ, জমানো কিছু টাকা আর অদম্য ইচ্ছাশক্তি—এই ছিল আমার সম্পদ। এসব নিয়ে একাই লড়াই শুরু করলাম। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথমে স্থানীয় কয়েকটি পুকুরে পরীক্ষামূলকভাবে ফিলাইট স্থাপন করি। এর ফলাফল আশার চেয়েও ভালো হলো। কৃষকেরা নিজে থেকেই জানালেন, তাঁদের মাছের উৎপাদন বেড়েছে, বিদ্যুৎ খরচ একেবারেই নেই। রাতে পুকুরে এক সুন্দর আলোর ছটা যেন তাঁদের জীবনে আশার আলো হয়ে এসেছে।

আলোর ঝালর

স্থানীয় কয়েকটি পুকুর পেরিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে শতাধিক পুকুরে ফিলাইট ব্যবহৃত হচ্ছে। এটা সবে শুরু। কিন্তু জানি, এই শুরুটাই একদিন বড় পরিবর্তনের বীজ বপন করবে। আমার লক্ষ্য হচ্ছে, দেশের প্রত্যেক মৎস্যচাষি যেন কম খরচে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজেদের আয় বাড়াতে পারেন।

ফিলাইট তৈরি করতে গিয়ে শুধু যে প্রযুক্তি শিখেছি, তা নয়, শিখেছি সংগ্রামের অর্থও। বুঝেছি বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে শুধু নীতি বা বক্তৃতা নয়, প্রয়োজন বাস্তব উদ্ভাবন, যা মানুষের জীবনে সরাসরি প্রভাব ফেলে। একজন তরুণ হিসেবে বিশ্বাস করি, আমাদের প্রজন্মই সেই পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার।

ভাঙতে হবে বৈষম্যের দেয়াল

তবে বাস্তবতা হলো, এই ২০২৫ সালে এসেও গ্রামের তরুণদের সামনে চলার পথ এখনো কঠিন। শহরের তরুণেরা যেখানে সহজে তহবিল, প্রশিক্ষণ বা পরামর্শ পান, গ্রামের তরুণদের সেই সুযোগ পেতে হয় অনেক বাধা পেরিয়ে। এই সুযোগের বৈষম্যই আমাদের দেশের উন্নয়নের পথে সবচেয়ে বড় বাধা।

এই বাধা দূর করতে অর্থ কিংবা সুযোগ—যেকোনো বৈষম্যের দেয়াল ভেঙে ফেলতে হবে। সবাইকে দিতে হবে সমান সুযোগ। শিক্ষা, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন আর তহবিলের সুযোগ যেন শহর ছাড়িয়ে গ্রাম পর্যন্ত সমানভাবে পৌঁছায়। গ্রামের একজন তরুণও যেন নিজের ধারণাকে বাস্তবে রূপ দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।

তারুণ্যের জয় মানে শুধু ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, এটা সমাজের পরিবর্তনের প্রতীক। স্বপ্ন দেখি, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে এমন একটি বাংলাদেশ তৈরি করা সম্ভব, যেখানে শহর আর গ্রামের ব্যবধান কমে আসবে, যেখানে একজন কৃষকও ডিজিটাল সমাধান ব্যবহার করে নিজের আয় দ্বিগুণ করতে পারবেন, আর যেখানে তরুণদের আইডিয়া থেকেই জন্ম নেবে দেশের অগ্রযাত্রা। ফিলাইট সেই স্বপ্নেরই একটি অংশ; বৈষম্যের অন্ধকার ঘোচানোর বাতি।

সহযোগিতার নতুন ইকোসিস্টেম দরকার

প্রকৃত উন্নয়ন তখনই সম্ভব, যখন দেশের প্রত্যেক মানুষ পরিবর্তনের যাত্রায় অংশ নিতে পারেন। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে শুধু কিছু মানুষের উদ্ভাবন বা সাফল্যই যথেষ্ট নয়, দরকার একটি সহযোগিতামূলক ইকোসিস্টেম—যেখানে সরকার, বেসরকারি খাত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং তরুণ উদ্যোক্তারা একসঙ্গে কাজ করবেন।

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করেও উন্নয়ন সম্ভব। প্রয়োজন শুধু সচেতনতা ও কার্যকর উদ্যোগ। উদ্ভাবনের সঙ্গে যদি টেকসই উন্নয়ন যুক্ত করা যায়, তাহলে আমরা এমন এক বাংলাদেশ গড়তে পারব, যেখানে উন্নয়ন আর পরিবেশ একে অপরের পরিপূরক হবে। ফিলাইট মূলত তারই উদাহরণ, প্রযুক্তি ও টেকসই উন্নয়নের এক চমৎকার সমন্বয়।

তরুণদের জন্য এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেখানে তাঁরা নতুন কিছু ভাবতে পারবেন, ঝুঁকি নিতে পারবেন, ব্যর্থ হলেও সুযোগ পাবেন আবার উঠে দাঁড়ানোর। শিক্ষাব্যবস্থায় উদ্ভাবন, গবেষণা এবং বাস্তব প্রয়োগের ওপর আরও বেশি জোর দিতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, যেদিন দেশের প্রত্যন্ত গ্রামের একজন তরুণও শহরের তরুণের মতো সমান সুযোগ পাবেন, সেদিনই সত্যিকারের বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।

আমার লক্ষ্য, একদিন যেন বাংলাদেশের প্রতিটি পুকুরে, প্রতিটি গ্রামে, প্রতিটি ঘরে ফিলাইটের আলো জ্বলে ওঠে। কারণ, জানি, যত দিন তরুণেরা স্বপ্ন দেখেন, তত দিন অন্ধকার স্থায়ী হতে পারে না।

সাফল্য

মাত্র দেড় বছরে ফিলাইটের অর্জন অনেক। ফিলাইট উদ্ভাবনের জন্য বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পুরস্কার ও স্বীকৃতি পেয়েছি। ‘স্টারশিপ ইন্সপায়ারিং টেন ২০২৫’ সম্মাননা, ‘সিমকিউবেটর বুটক্যাম্প’ জয়, ‘সাসটেইনলঞ্চ ল্যাব’-এ প্রথম রানারআপ এবং ‘স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ড কাপ ২০২৫’-এর শীর্ষ প্রতিযোগী—সবই আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। কিন্তু জানি, এই পুরস্কারের চেয়েও বড় হলো ‘প্রভাব’ অর্থাৎ একটা বাস্তব পরিবর্তন, যা মানুষের জীবনে ঘটে।

তবে আমার কাছে পুরস্কারের চেয়েও বড় হলো সেই কৃষকের কণ্ঠ, যিনি ফোন করে বলেন, ‘ভাই, পুকুরে আপনার ফিলাইট দিলে মাছ ভালো বাড়ছে।’

এই একটি বাক্যের ভেতরে লুকিয়ে থাকে আমার সব পরিশ্রমের সার্থকতা। বর্তমানে এই প্রকল্পকে আরও উন্নত করার চেষ্টা করছি। আলো যেন আরও উজ্জ্বল হয়, ব্যাটারির ব্যাকআপ আরও দীর্ঘস্থায়ী হয় আর দামটা আরও কমানো যায়, যেন সবার পক্ষে ফিলাইট কেনা ও ব্যবহার করা সম্ভব হয়।

মো. তাসনিমুল হাসান, উদ্ভাবক, ফিলাইট

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিরিয়ার জন্য সবকিছু করার প্রতিশ্রুতি দিলেন ট্রাম্প
  • বিরামপুর রেলস্টেশনে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ নারীর সন্তান প্রসব
  • বিয়ে করেছেন প্রিয়াঙ্কা জামান
  • সন্তকবি রবিদাসের ‘বেগমপুরা’ শহর
  • দুরারোগ্য রোগে আক্রান্তদের হজের অনুমতি দেবে না সৌদি সরকার: ধর্ম মন্ত্রণালয়
  • চীনের তিয়ানগং স্টেশনে যাবেন পাকিস্তানি মহাকাশচারী
  • উখিয়ায় মার্কেটে আগুন, দগ্ধ একজনের মৃত্যু
  • দিনাজপুরে ভুল অস্ত্রোপচারে দুই যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ
  • বৈষম্য দূর হবে বাস্তব উদ্ভাবনে