2025-05-06@01:49:28 GMT
إجمالي نتائج البحث: 8

«বচন র»:

    রংচটা, ছেঁড়া, প্রায় বোঝা না যাওয়া লেখা– এ রকম ৩১টি দলিল। এ দলিলগুলোই সবার কাছে আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন লাগছে। এদের ওপর রয়েছে বিভিন্ন রঙে আঁকা বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাগধারা ও বচনের চিত্র। সেখানে রাজা, বাঘ, হাতি, গ্রামীণ নারীসহ বিভিন্ন বিষয়কে সহজ ভাষায় তুলে এনেছেন শিল্পী আরহাম উল হক চৌধুরী তাঁর ২০তম একক প্রদর্শনী ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত প্রদর্শনী ‘দলিলে দৃশ্যপট’-এ। ছোট্ট একটি বাক্য দিয়ে অনেক কথা বুঝিয়ে দেওয়া যায় বাগধারা কিংবা প্রবাদ প্রবচনের মধ্য দিয়ে। যেমনটি নিজের একটি কাজ নিয়ে বলছিলেন শিল্পী নিজে। ‘সাজতে গুজতে ফিঙে রাজা’ শীর্ষক কাজটি নিয়ে তিনি বলেন, ‘একবার ভগবান প্রাণিকুলকে বললেন, আগামীকাল প্রত্যুষে সবাই পরিপাটি হয়ে সেজেগুজে আসবে এবং যে সঠিক সময়ে আসবে তাকে রাজা ঘোষিত করা হবে। ফিঙে কালো এবং চকচকে সুন্দর, তার কোনো...
    আমার পথচলায় শিল্প-সংস্কৃতি জ্ঞানের বিভিন্ন মাধ্যমের সংমিশ্রণে হেঁটে বাংলা ক্যালিগ্রাফি শুরু করি। সেই ধারায় এগোতে গিয়ে এর মধ্যে বিভিন্ন মাত্রার যোগ হতে থাকে। এ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমি সবসময় প্রাচীন বাংলা বচন, প্রবচন ও ধাঁধা খোঁজ করি। যেগুলোর অন্তর্নিহিত অর্থ বাক্যের সীমা ছাড়িয়ে বহু ব্যাখ্যার প্রতিধ্বনি তোলে। এবার আমি তাতে আরও এক নতুন মাত্রা যোগ করে এ প্রাচীন বচনগুলোকে ভিন্ন আঙ্গিকে দৃশ্যমান করার চেষ্টা করেছি। বাংলা ক্যালিগ্রাফি করার সময় আমি সাধ্যমতো বচনের অন্তর্নিহিত শক্তি ও অর্থকে যথাসাধ্য নীতিমালার মধ্যে রাখার চেষ্টা করি। বচনে গবেষণা করা ছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি নানা মসৃণতা, নানা রঙের হাতে তৈরি কাগজ ব্যবহার করেছি বচনের শক্তিকে প্রকাশ করার জন্য। সেই পথচলাকে আরও অর্থবহ করে তুলতে আমি যোগ করেছি পুরোনো-প্রাচীন দলিল, ব্যাপারটি আমার কাছে...
    ছাপ, জলছাপ আর রঙিন কালির জটিল নকশার পুরোনো দলিলে হস্তাক্ষরে সাজানো আছে মানুষের বিবাদের ধারাভাষ্য। এককথায় মামলা-মোকদ্দমার নথিপত্র, যা এখন ‘অ্যান্টিক’ বা পুরোনো নিদর্শন। কাগজের বিবর্ণতা ও অক্ষরের টেক্সচার অনেক ক্ষেত্রে পাঠযোগ্যতাকে হ্রাস করেছে। এই দলিলের জমিনে আরহাম উল হক চৌধুরীর প্রবাদ-প্রবচনের শারীরিক অবয়ব চিত্রায়ণ করেছেন বাংলা অক্ষরমালার আকৃতিগত সৌন্দর্য বিন্যাসে।বলা যায়, এ যেন ইতিহাস, শিল্প ও ভাষার নন্দনতাত্ত্বিক সম্মিলন, যেখানে লেখার সৌন্দর্য ছাপিয়ে সময়, স্মৃতি ও সাংস্কৃতিক অস্তিত্বের বয়ানও তৈরি হয়েছে।ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, ব্রিটিশ রাজ কিংবা পাকিস্তান আমলের নকশাখচিত দৃশ্যরূপ ও বিভিন্ন মামলার হস্তলিপি শিল্পীর নির্মিত বচন-অবয়বকে করেছে দৃষ্টিনন্দন। প্রবচন ও বচনের সাদৃশ্য–অবয়বে লোকজ ভাষার গভীরতা ও তাত্ত্বিক ভার সম্পূর্ণটা স্পষ্ট হয়েছে, তা বলা যায় না। কারণ, প্রবচনগুলোর ব্যাখ্যা বহুমাত্রিক। তবে ভাব ও ব্যঞ্জনা পুরোটা না উঠলেও ক্যালিগ্রাফির বিন্যাসে...
    চারদিকে ইন্টারনেট, সামাজিক মাধ্যম ও আকাশ সংস্কৃতির প্রভাব এখন দেখার মতো। খেলার মাঠও প্রায় এগুলোর দখলে চলে গেছে বললে ভুল হবে না। কেউ কেউ তাই চোখে আঙুল দিয়ে প্রশ্ন করতে কার্পণ্য তো করেন-ই না; উপরন্তু একটু রূঢ় কণ্ঠেই আমাদের প্রজন্ম অর্থাৎ জেনারেশন জেড সংক্ষেপে জেন–জির কাছে প্রশ্ন করে বসেন, একাডেমিকের বাইরে তোমরা কোনো বই পড়েছ? সৈয়দ মুজতবা আলী বলেছিলেন, ‘বই কিনে কেউ কখনো দেউলিয়া হয় না।’ বই কিনে সত্যিই কি কেউ দেউলিয়া হন না? বইপ্রেমীদের মধ্যে এই প্রশ্নটি নিয়েও চলে মধুর তর্ক। যা সহজে শেষ হয় না। তবে তর্কবিতর্ক যা–ই থাকুক না কেন, আজ ২৩ এপ্রিল সব পেছনে ফেলে বই নিয়ে উদ্‌যাপনের দিন। বিস্তৃত করে বললে বই কেনার দিন, পড়ার দিন, বই উপহার দেওয়ার দিন। আজ বিশ্ব বই দিবস। প্যারিসে...
    চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে গ্রামীণ সংস্কৃতি ও কৃষিতে খনার বচনের তাৎপর্য তুলে ধরতে নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় চলছে খনার মেলা। আজ রোববার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার আঙ্গারোয়া গ্রামে স্থানীয় কৃষক ও সংস্কৃতিকর্মীদের নিয়ে মেলার উদ্বোধন করা হয়। স্থানীয় সংগঠন মঙ্গলঘর পরিসরের উদ্যোগে মেলায় কথা ও গানে গানে খনার বচন তুলে ধরা হয়।আগামীকাল সোমবার পয়লা বৈশাখের সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে মেলার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে। এলাকাবাসীর সহায়তায় সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মিডিয়া কমিউনিকেশন প্রতিষ্ঠান ‘কুল এক্সপোজার’ এ মেলার আয়োজন করেছে। সকাল থেকে গ্রামীণ সংস্কৃতির পালাগান, কবিতা, বাউলগান ও কিচ্ছাপালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।আয়োজকেরা জানান, অনুষ্ঠানে সংগীতের বিভিন্ন ধারা, শ্লোক, খনার কৃষি, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, জীবন ও জ্যোতির্বিদ্যা নিয়ে বিশেষ আলোচনা রয়েছে। সন্ধ্যায় সংগীত পরিবেশন করবেন প্রখ্যাত বাউলশিল্পী সুনীল কর্মকার, সংগঠন সমগীত, ব্যান্ড সহজিয়া, চিৎকার, মুসা কলিম মুকুল, ফকির সাহেব, কুয়াশা মূর্খ,...
    নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভারতীয় টিভি ও চলচ্চিত্রাভিনেত্রী দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে এমন অভিযোগ করেন এই অভিনেত্রী।  দেবচন্দ্রিমা বলেন, “আমি বাধ্য হয়ে এই ভিডিও বানাচ্ছি। কারণ খুব ভয় পেয়েছি। ‘অরিন্দম’ নামে একটি ছেলে, যাকে আমি ইনস্টাগ্রামসহ সমস্ত জায়গায় ব্লক করেছি। আমি নিশ্চিত সে মানসিকভাবে সুস্থ নয়। সে নিজেকে আমার ফ্যান বা হেটার্স কোনো কিছু বলেই দাবি করে না। আমি নিজেও বুঝতে পারি না সে কি। সেই ছেলেটি আমার বাড়ি চলে আসে; দরজা ধাক্কা দিয়ে বলে, ‘আমাকে ভেতরে যেতে দাও, দেবচন্দ্রিমার সঙ্গে দেখা করব।’ আমি জানি না, মানুষের এত সাহস কী করে হয়। এটা প্রেমঘটিত কোনো বিষয় নয় বলে দাবি করেন দেবচন্দ্রিমা। তার ভাষায়, “কখনো কখনো ভালোবেসে কাছ থেকে দেখার জন্য কেউ...
    এই প্রজন্মের লেখক পলাশ মাহবুব। সাবলিল ভাষা আর বক্তব্যের তীব্রতাকে উপজীব্য করে সাহিত্যের প্রায় সব শাখায় লেখেন তিনি। লেখালেখির জন্য অর্জন করেছেন অগ্রণী ব্যাংক-শিশু একাডেমী শিশুসাহিত্য পুরস্কার, পশ্চিমবঙ্গের অন্নদাশঙ্কর রায় সাহিত্য পুরস্কার, মীনা অ্যাওয়ার্ডসহ আরও কিছু পুরস্কার।চলতি বইমেলায় তার একাধিক নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে। নতুন বইয়ের প্রেক্ষাপটসহ নানা বিষয়ে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেছেন এই লেখক। সাক্ষাৎকার গ্রহণে স্বরলিপি। রাইজিংবিডি: এবারের বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে ‘প্রেমাণুকাব্য’ এবং ‘পমার বচন-২’। এই দুইটি বইয়ের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি। পলাশ মাহবুব: ‌‌'পমার বচন ২' এবং 'প্রেমাণুকাব্য' দুটিই ক্ষুদ্রাকৃতির বই। গত বছর প্রথম ‌‘পমার বচন’ প্রকাশিত হয়। পমার বচন মূলত বিভিন্ন বিষয়ের ওপর মজার এবং অন্তর্নিহিত অর্থপূর্ণ ছোট ছোট বচন, ভবিষ্যতে যেসবের প্রবাদ হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। প্রকাশিত হওয়ার পর ‌‘পমার বচন’ পাঠকদের মধ্যে...
    নারায়ণগঞ্জের কৃতি সন্তান কবি, সাংবাদিক লিজা কামরুন্নাহারের নতুন কবিতার বই “অন্তর্দাহ” ও “পত্রালাপ” এবারের বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে। বই ২টি প্রকাশ করেছে প্রকাশনা সংস্থা “কারুবাক” ও “ মেঘদুত”। একুশে বইমেলায় কারুবাকের ৩৫৭ ও ৩৫৮ নাম্বার স্টল ও মেঘদুতের ৬ ও ৭ নং স্টলে বইগুলো পাওয়া যাবে।   “অন্তর্দাহ” প্রসঙ্গে লেখক লিজা কামরুন্নাহার বলেন- মুক্তি বলতে আমি বুঝি শক্তি, অন্তরের আধরি বচন মানে কবিতা। কবিতা হলো মনের মুক্তি। যেখানে শব্দগুলো খেলা করে অনুভূতির আদলে। যে কবিতা শুনতে জানে না, সে কোন আনন্দ উপভোগ করতে জানে না। সৃষ্টিশীল অনুভূতির অপূর্ব সমন্বয় হলো মুক্তি। স্বাধীনতা মানে হলো সকল অশুচি থেকে মনের মুক্তির আস্বাদন। চাই মনের স্বাধীনতা, সততা ও স্বচ্ছতা। যেখানে আনন্দগুলো আলোয় হাসে। অপর বই “পত্রালাপ” প্রসঙ্গে লেখক বলেন, চিঠি লেখার সময় কোন সাহিত্য...
۱