রংপুরে প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধের দাবি
Published: 12th, January 2025 GMT
জনভোগান্তি, হয়রানি ও প্রতারণার প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধের দাবিতে রংপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহক ফোরাম।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে নগরীর শাপলা চত্বর এলাকায় একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে নগরীর খামার মোড় নেসকোর প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করা হয়।
এসময় বক্তারা বলেন, “ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে নিম্নমানের প্রিপেইড মিটার কিনে ২৬ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ১৫ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে জনগণকে জোর করে প্রিপেইড মিটার স্থাপনে বাধ্য করছে।”
বাসদ মার্কসবাদী রংপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক আহসানুল আরেফিন তিতু বলেন, “পতিত আওয়ামী সরকারের আমলে নেওয়া লুটপাটের এই প্রকল্প বন্ধ না করে উল্টো গ্রাহকদের গলার কাঁটায় পরিণত করছে বর্তমান সরকার। একইসাথে রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরে প্রিপেইড মিটার ব্যবহারকারীদের হয়রানি ও ভোগান্তিতে নাজেহাল সেখানকার বাসিন্দারা। সেই ধারাবাহিকতায় রংপুরেও গ্রাহকদের ভোগান্তি বাড়াতে চেষ্টা করছে বিদ্যুৎ বিভাগ।”
তিনি আরও বলেন, ‘‘বিদ্যুৎ বিভাগ যদি ভোগান্তি, হয়রানি ও প্রতারণার প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ না করে তাহলে সাধারণ মানুষ কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।”
রংপুর সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহক ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বলেন, “নেসকো নিম্নমানের প্রিপেইড মিটার স্থাপনের মাধ্যমে প্রতি মাসে অবৈধভাবে ভাড়া আদায়ের চেষ্টা করছে। জনগণকে জোরপূর্বক প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করতে বাধ্য করা যাবে না। প্রতি মাসে ডিমান্ড চার্জ, সার্ভিস চার্জ ও মিটার ভাড়া আদায় করা চলবে না। জনস্বার্থকে হয়রানিমূলক প্রিপেইড মিটার স্থাপন অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। একইসাথে ইতোমধ্যে যেসকল মিটার লাগানো হয়েছে তা দ্রুত অপসারণ করে পুরাতন ডিজিটাল মিটার লাগাতে হবে।”
এসময় নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম হোসেনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।
ঢাকা/আমিরুল/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুর রোডম্যাপ ও সম্পূরক বৃত্তি দাবি শিক্ষার্থীদের
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা এবং সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জবি শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ মানববন্ধন করা হয়।
এতে ছাত্রশিবির, ছাত্রফ্রন্ট, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, আপ বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা দুই কার্যদিবসের মধ্যে জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আলটিমেটাম দেন।
আরো পড়ুন:
৭ উপাচার্যের অংশগ্রহণে গোবিপ্রবিতে শিক্ষা সমাপনী
নতুনবাজারের সেই রনির বুলেটের যন্ত্রণা আজো থামেনি
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গত ১ বছরে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। এই প্রশাসন আমরা এনেছি। কিন্তু যদি তারা আমাদের দাবি পূরণে ব্যর্থ হয়, আমরা তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে বাধ্য হবো। হচ্ছে, হবে, প্রসেসিংয়ে আছে—এ ধরনের কথা আর মেনে নেওয়া হবে না।
ইসলামি স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী বিএম আতিকুর রহমান তানজিল বলেন, “কোনো অছাত্র বা বয়োবৃদ্ধ দিয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে না। ছাত্রত্ব যাদের আছে, তারাই নির্বাচনে অংশ নেবে। পাশাপাশি দ্রুত আবাসন ভাতা প্রদানেরও ব্যবস্থা করতে হবে।”
দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও একটি ক্যাফেটেরিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি প্রশাসন। আমাদের এই প্রশাসন কাজ করতে না পারলে তাদের চলে যেতে হবে।”
আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য মাসুদ রানা বলেন, “৫ আগস্টের আন্দোলনের পর ভেবেছিলাম আলাদা করে কিছু চাইতে হবে না। কিন্তু সেই আদায় করা দাবি আজো বাস্তবায়িত হয়নি। ১ বছর পেরিয়েও শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারেনি। দাবি পূরণে পদক্ষেপ না নিলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব।”
ছাত্র অধিকার শাখার সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম এই প্রশাসন দ্রুত জকসুসহ শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু গত ১ বছরে তারা কেবল জকসু নীতিমালাটি ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করতে পেরেছে। নীতিমালা অনুবাদ করতেই এক বছর লেগেছে; তাহলে নির্বাচনের আয়োজন করতে কত সময় লাগবে?”
শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “আগামী দুই কর্মদিবসের মধ্যে রোডম্যাপ ঘোষণার তারিখ জানাতে হবে। তা না হলে দ্বিতীয় দফা আন্দোলন শুরু হবে, যা মোকাবিলা করা প্রশাসনের পক্ষে কঠিন হবে।”
ছাত্র অধিকারের সাংগঠনিক সম্পাদক অপু মুন্সির সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস শেখ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও আপ বাংলাদেশের নেতা মাসুদ রানা, আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি আব্দুল আলীম আরিফ প্রমুখ।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী