ফ্রিজে রেখেও ধনেপাতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে?
Published: 13th, January 2025 GMT
ফুলকপি-শিম-টমেটোর তরকারি হোক কিংবা মাছের ঝোল, ধনেপাতা না হলে ঠিক জমে না। আর শীতে ধনেপাতার স্বাদই যেন অন্যরকম। এসময় প্রতিদিনই তরকারিতে এ পাতার ব্যবহার বাড়ে। তাই সবাই বেশি করে ধনেপাতা কিনে ফ্রিজে রেখে দেন। কিন্তু দুই তিন দিন পরে তা আর তাজা থাকে না। কেমন যেন কালচে ও প্রাণহীন হয়ে যায়। এজন্য ধনেপাতা সংরক্ষণ করতে হবে কিছু টোটকা মেনে।
• ধনেপাতা ভালো রাখতে আধা গ্লাস পানিতে পাতার গোড়া ডুবিয়ে রাখুন। পাতাগুলো পলিথিনের ব্যাগে ঢেকে দিন। সেভাবেই ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখুন। কয়েক দিন পর পর পানি বদলে দিন।
• শুকনো কাগজের ন্যাপকিনে ধনেপাতা মুড়ে রাখুন। এতে বাড়তি আর্দ্রতা চলে যাবে। পাতা তাজা থাকবে।
• বেশি ধনেপাতা একসঙ্গে না রেখে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নিন। পাতা ভালো থাকবে।
• ধনেপাতার সঙ্গে একই পাত্রে একটি ডিম রেখে পাত্রের মুখ ঢেকে দিন। তারপর ফ্রিজে রাখুন।
• ধনোপাতার গোড়া কেটে একটি জিপলক ব্যাগে রেখে তার মধ্যে একটি কাগজের ন্যাপকিনও রেখে দিন।
• ফ্রিজে না রেখে ধনেপাতা তাজা রাখতে চাইলে একটি ফুলদানিতে পানি দিয়ে রান্নাঘরের টেবিলের উপর রেখে দিন। এভাবে ধনেপাতা কয়েকদিন তাজা থাকবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’