শেরপুর সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের প্রতাবিয়া গ্রামে ‘এএমবি’ নামে ইটভাটা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ভাটাটির অবস্থান জনবহুল এলাকায়।

স্থানীয়রা জানান, ২০২১ সালে ইটভাটার মালিক মানিক মিয়া জনবসতিপূর্ণ এলাকায় স্থানীয়দের প্রবল বাধার মুখে ইটভাটা স্থাপন করেন। স্থানীয়দের আবেদনের প্রেক্ষিতে পরিবেশগত অবস্থান বিবেচনা করে তৎকালীন পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো.

রাসেল নোমান পত্রের মাধ্যমে ভাটা নির্মাণ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেন। সেই সময় জেলা প্রশাসনের কার্যালয়েও লিখিত অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। তবুও স্থানীয়দের বাধার মুখে তৎকালীন আওয়ামী লীগের জেলা এবং স্থানীয় নেতাদের মোটা টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে ভাটা তৈরি করেন। এখন ভাটা পরিচালনা করতে আওয়ামী লীগের খোলস পাল্টে বিএনপির প্রভাবশালী দুই নেতার সঙ্গে আঁতাত করে ভাটা চালুর চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে এলাকাবাসী বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন। ইটভাটা স্থায়ীভাবে বন্ধের দাবিতে জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে আবেদন করেছেন। 

আরো পড়ুন:

সাতক্ষীরায় ৩ ইটভাটায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা জরিমানা

ম্যাজিস্ট্রেটের পথ আটকে ইটভাটা ভাঙার দাবি 

স্থানীয় শাকিল আহমেদ শিমুল বলেন, এ ইটভাটার ধোয়ায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। আশপাশে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও বসতঘরের ক্ষতি হচ্ছে। মানুষজন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ভাটার ট্রলির কারণে অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় জামান মিয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, এনামুল হকসহ অর্ধশতাধিক এলাকাবাসী জানান, ভাটার মালিক আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতির প্রভাব দেখিয়েছেন। এখন বিএনপির নেতাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন কিন্তু কেউ এলাকার চিন্তা করছেন না।

এ বিষয়ে ভাটার মালিক মানিক মিয়া বলেন, ‘‘সবাই যেভাবে ভাটা পরিচালনা করে আমিও সেভাবে করছি। আমি দুইজন নেতাকে ৫০ শতাংশ মালিকানা দিয়ে নতুন করে অংশী মালিকানার মাধ্যমে ইটভাটা পরিচালনার কথা ভাবছি। স্থানীয়রা হিংসা করে ভাটায় ইট পোড়াতে বাধা দিচ্ছে।’’ 

শেরপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. নূর কুতুবে আলম সিদ্দিক জানান, এএমবি ইটভাটা সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/তারিকুল/বকুল 

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু

৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি বাস সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নিয়েছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রদল। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ঢাকা ও ময়মনসিংহের পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এ বিশেষ যাতায়াত সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে শাখা ছাত্রদলের কর্মী নাফিস ইকবাল পিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ফেসবুক গ্রুপে এ তথ্য জানিয়ে পোস্ট দেন। একইসঙ্গে শাখা সভাপতি সাগর নাইম ও সাধারণ সম্পাদক সাজিদ ইসলাম দীপুও তাদের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে পরীক্ষার্থীদের এ সুবিধা গ্রহণের আহ্বান জানান।

আরো পড়ুন:

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনী রোডম্যাপের দাবিতে মানববন্ধন

বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান অর্জন ও বিতরণের জায়গা: ইউজিসি চেয়ারম্যান

ছাত্রদল জানিয়েছে, ক্যাম্পাস থেকে দুটি বাস ছাড়বে। একটি ঢাকা রুটে এবং অপরটি ময়মনসিংহ রুটে যাবে। প্রতিটি বাসে ৫০ জন করে মোট ১০০ জন শিক্ষার্থী এই ফ্রি সার্ভিসের আওতায় যাতায়াত করতে পারবেন। এজন্য শিক্ষার্থীদের অবশ্যই আগাম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গুগল ফর্মের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কেউ এই সার্ভিসের সুবিধা নিতে পারবেন না।

শিক্ষার্থীদের জন্য এ উদ্যোগ ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থী পোস্ট দিয়ে ছাত্রদলের এ পদক্ষেপকে ‘শিক্ষার্থীবান্ধব ও সময়োপযোগী উদ্যোগ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

শাখা সভাপতি সাগর নাইম তার পোস্টে বলেন, “প্রতি বছর বিসিএসে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাফল্যের আলো ছড়িয়ে দেন। আমরা চাই এ সুনাম আরো দূরে ছড়িয়ে পড়ুক, আরো উজ্জ্বল হোক। এ ধারাবাহিক সাফল্যের পথে আপনাদের পাশে থাকতে, ভালোবাসা ও সম্মান জানাতে মাভাবিপ্রবি ছাত্রদল ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি বিশেষ বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছে।”

এ বিষয়ে শাখা সাধারণ সম্পাদক সাজিদ ইসলাম দীপু বলেন, “জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবসময়ই শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে থাকে। গত বিসিএসে আমাদের বড় ভাই বিসিএস প্রশাসনে প্রথম হয়েছেন। এটি শুধু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নয়, সারা দেশের জন্যই গর্বের বিষয়। সেই সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে আমরা এবার পরীক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি বাস সার্ভিস চালু করেছি।”

তিনি বলেন, “বিশেষ করে অনেক নারী শিক্ষার্থী আছেন, যারা ক্যাম্পাস থেকে পরীক্ষাকেন্দ্র অনেক দূরে হওয়ায় অংশ নিতে পারেন না। আবার অনেকে যানবাহন না পেয়ে দেরিতে কেন্দ্রে পৌঁছান। আমরা চাইনি কেউ যেন যাতায়াত সমস্যার কারণে বিসিএস পরীক্ষায় পিছিয়ে পড়েন। তাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ভাইয়ের সহায়তায় আমরা এ বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছি।”

ঢাকা/আবিদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ