ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা) বাতিলের রায়ের মধ্য দিয়ে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করা হয় বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের কারণে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। এই রায়ের মধ্য দিয়ে দেশের হাজার হাজার মানুষ বিনা বিচারে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। শত শত মানুষ গুমের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ গণতন্ত্রহীন হয়েছে।’

আজ শুক্রবার বেলা একটার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অলিম্পিয়াডে উপস্থিত হয়ে তিনি এ কথাগুলো বলেন।  বিশ্ববিদ্যালয়ের সোসাইটি ফর ক্রিটিক্যাল লিগ্যাল স্টাডিজ (এসসিএলএস) নামের এক সংগঠন এটির আয়োজন করেছিল। ‘পরিবেশ আইন ও জলবায়ু ন্যায়বিচার’ প্রতিপাদ্যে হওয়া এই প্রতিযোগিতায় ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০টি দল অংশ নেয়। আগামীকাল শনিবারও এই অনুষ্ঠান চলবে।

অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সাংবাদিকেরা বিচার বিভাগের দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন করলে অ্যাটর্নি জেনারেল এসব মন্তব্য করেন। মো.

আসাদুজ্জামান বলেন, ‘দুর্নীতির সংজ্ঞায় আমরা নতুন সংযোজন এনেছি। আমরা বলছি অর্থনৈতিক দুর্নীতি হলো ডায়াবেটিস কিংবা ক্যানসারের মতো। এটি ধুঁকে ধুঁকে রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ধ্বংস করে। আর বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্নীতি হলো অ্যাটম বোমার মতো।’

দুই দিনব্যাপী এই অলিম্পিয়াডের অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, আইন শিক্ষা শুধু ক্লাসরুমে হয় না। হাতে-কলমে শেখার জন্য এ ধরনের বাস্তবভিত্তিক আয়োজন দরকার। তবে পরিবেশ আদালতের কার্যকারিতা খুবই সীমিত। সাধারণ মানুষ মামলা করতে পারে না, শুধু পরিবেশ অধিদপ্তর করতে পারে। এটিও প্রায় অচল।

আইন বিভাগের সভাপতি রকিবা নবী এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, এ আয়োজনে পাঁচটি রাউন্ড রয়েছে। শিক্ষার্থীরা এতে যুক্তি, বিশ্লেষণ ও উপস্থাপনায় অংশ নিয়ে আইনের বাস্তব প্রয়োগ শিখবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপস থ

এছাড়াও পড়ুন:

দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করুন: আকবর খান

ঢাকা-৮ আসনে দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান। তিনি বলেন, “ভোটের অধিকার জনগণের পবিত্র আমানত, এটি সচেতনভাবে প্রয়োগ করতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা জননেতা সাইফুল হক-এর ঢাকা-৮ আসনে নির্বাচনী গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি একথা বলেন।

গণসংযোগের শুরুতে ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাকের সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত পথসভা হয়। 

সেখানে আকবর খান বলেন, “নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে অবিলম্বে ভোটের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরিতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। গত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচনে—২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে—ঢাকা-৮ আসনের বহু নাগরিক ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যে তরুণের এখন বয়স ২৫ বা ২৬, তারা কখনো ভোট দিতে পারেনি, ভোট কী তা জানে না- এটি গণতন্ত্রের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।”

তিনি আরো বলেন, “গত ১৬-১৭ বছর ধরে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং আমাদের নেতা সাইফুল হক জনগণের ভোটাধিকারের আন্দোলনে রাজপথে সংগ্রাম করে আসছেন। এর জন্য জেল-জুলুম, নির্যাতন সহ্য করেও তিনি থেমে থাকেননি। ভোটাধিকার গণমানুষের দীর্ঘ লড়াই ও ত্যাগের ফসল। এই অধিকার ভুল ব্যক্তিকে নির্বাচিত করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।”

আকবর খান বলেন, “জননেতা সাইফুল হক গণমানুষের পরীক্ষিত নেতা। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের জনগণ যেন তাকে ভোট দিয়ে নিজেদের সুখ-দুঃখ, চাওয়া-পাওয়ার কথা ও দীর্ঘ বঞ্চনার ইতিহাস সংসদে তুলে ধরার সুযোগ করে দেন- এটাই আমাদের আহ্বান।”

গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচি বাংলাদেশ ব্যাংক এলাকা থেকে শুরু হয়ে মতিঝিল, কমলাপুর, ফকিরাপুল, কালভার্ট রোড হয়ে বিজয়নগরে এসে শেষ হয়। এতে শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সিকদার হারুন মাহমুদ, মীর রেজাউল আলম, কবি জামাল সিকদার, ফাইজুর রহমান মুনির, বাবর চৌধুরী, মহানগর নেতা যুবরান আলী জুয়েল, সালাউদ্দিন, রিয়েল মাতবর, আরিফুল ইসলাম, মুজিবুল হক চুন্নু, গোলাম রাজিব, মাহমুদুল হাসান খান, ফয়েজ ইবনে জাফর, নান্টু দাস, শিবু মহন্ত ও হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

ঢাকা/এএএম/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩০০ আসনে প্রার্থী বাছাই প্রায় চূড়ান্ত: তারেক রহমান
  • গণতন্ত্রের পথে সংকট দেখছেন তারেক
  • এমন তো হবার কথা ছিল না: তারেক রহমান
  • সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাই এখন জাতির দাবি
  • জনগণের বৃহত্তর ঐক্য ছাড়া এই ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থার পতন হবে না: সাকি
  • দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করুন: আকবর খান