ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ে গণতন্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
Published: 11th, July 2025 GMT
ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা) বাতিলের রায়ের মধ্য দিয়ে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করা হয় বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের কারণে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। এই রায়ের মধ্য দিয়ে দেশের হাজার হাজার মানুষ বিনা বিচারে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। শত শত মানুষ গুমের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ গণতন্ত্রহীন হয়েছে।’
আজ শুক্রবার বেলা একটার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অলিম্পিয়াডে উপস্থিত হয়ে তিনি এ কথাগুলো বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সোসাইটি ফর ক্রিটিক্যাল লিগ্যাল স্টাডিজ (এসসিএলএস) নামের এক সংগঠন এটির আয়োজন করেছিল। ‘পরিবেশ আইন ও জলবায়ু ন্যায়বিচার’ প্রতিপাদ্যে হওয়া এই প্রতিযোগিতায় ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০টি দল অংশ নেয়। আগামীকাল শনিবারও এই অনুষ্ঠান চলবে।
অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সাংবাদিকেরা বিচার বিভাগের দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন করলে অ্যাটর্নি জেনারেল এসব মন্তব্য করেন। মো.
দুই দিনব্যাপী এই অলিম্পিয়াডের অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, আইন শিক্ষা শুধু ক্লাসরুমে হয় না। হাতে-কলমে শেখার জন্য এ ধরনের বাস্তবভিত্তিক আয়োজন দরকার। তবে পরিবেশ আদালতের কার্যকারিতা খুবই সীমিত। সাধারণ মানুষ মামলা করতে পারে না, শুধু পরিবেশ অধিদপ্তর করতে পারে। এটিও প্রায় অচল।
আইন বিভাগের সভাপতি রকিবা নবী এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, এ আয়োজনে পাঁচটি রাউন্ড রয়েছে। শিক্ষার্থীরা এতে যুক্তি, বিশ্লেষণ ও উপস্থাপনায় অংশ নিয়ে আইনের বাস্তব প্রয়োগ শিখবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপস থ
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব