অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিশ্বের বিভন্ন দেশ থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। এ সময় আমেরিকা থেকে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।

এছাড়া অন্য যেসব দেশ থেকে রেমিট্যান্স এসেছে সেগুলোর তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আরব আমিরাত, তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সৌদি আরব। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য বলছে, নভেম্বর মাসে রেমিট্যান্স পাঠানোর শীর্ষে থাকা আমেরিকা থেকে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৫১ কোটি ১৯ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৫ মাসে আমেরিকা থেকে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৩ কোটি মার্কিন ডলার। এরপরের অবস্থানে থাকা আরব আমিরাত থেকে নভেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে ২৯ কোটি মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে এসেছে ১৬৫ কোটি মার্কিন ডলার। এছাড়া সৌদি আরব থেকে নভেম্বর মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২৫ কোটি ৬৯ লাখ মার্কিন ডলার।

এছাড়া রেমিট্যান্স পাঠানোর তালিকায় শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে রয়েছে - মালয়েশিয়া, দেশটি থেকে নভেম্বরে ১৯ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যুক্তরাজ্য থেকে ১৮ কোটি ৭৪ লাখ, কুয়েত থেকে ১২ কোটি ১২ লাখ, ইতালি থেকে ১০ কোটি ৬৮ লাখ, ওমান থেকে ৯ কোটি ৪৮ লাখ, কাতার থেকে ৭ কোটি ৯৫ লাখ এবং সিঙ্গাপুর থেকে ৭ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

ঢাকা/এনএফ/এসবি

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে বিদেশি ঋণ শোধ ৩০০ কোটি ডলার ছাড়াল

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই–মার্চ) বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল বাবদ ৩২১ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে, যা গত অর্থবছরের পুরো সময়ের প্রায় সমান। গত অর্থবছরে (২০২৩–২৪) মোট ৩৩৭ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হয়েছে। এর মানে হলো, এবার প্রথম ৯ মাসেই গত অর্থবছরের কাছাকাছি ঋণ পরিশোধ হয়ে গেছে।

আজ বুধবার বিকেলে প্রকাশিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তৈরি জুলাই–মার্চ মাসের বিদেশি ঋণ পরিস্থিতির হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে। সেখানে বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধের এই তথ্য পাওয়া গেছে।

ইআরডির তথ্য অনুসারে, ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই–মার্চ) দেশে মোট প্রায় ৪৮১ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বিদেশি ঋণ এসেছে। এ সময়ে ঋণের সুদাসল পরিশোধ করতে হয়েছে অর্থছাড়ের প্রায় দুই–তৃতীয়াংশের সমান।

অন্যদিকে আলোচ্য ৯ মাসে বিদেশি ঋণ বাবদ পরিশোধের মধ্যে আসলের পরিমাণ ২০১ কোটি ডলার। আর সুদ বাবদ ১২০ কোটি ডলার পরিশোধ হয়েছে। ২০২৩–২৪ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ২৫৭ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছিল। এক বছরের ব্যবধানে ৬৪ কোটি ডলার বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে বাংলাদেশ সরকারকে।

এদিকে গত জুলাই–মার্চ সময়ে ৩০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বিদেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ, যা গতবারের একই সময়ে পাওয়া প্রতিশ্রুতির অর্ধেকের কম। গত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ৭২৪ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল।

জুলাই–মার্চ সময়ে সবচেয়ে বেশি ১২২ কোটি ডলার ছাড় করেছে এডিবি। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংক ১০৭ কোটি ডলার ও জাপান ৮৯ কোটি ডলার দিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিদেশি ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ২৪ শতাংশ
  • চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে বিদেশি ঋণ শোধ ৩০০ কোটি ডলার ছাড়াল
  • তৃতীয় প্রান্তিকে মুনাফা কমেছে স্কয়ার ফার্মার
  • ৯ মাসে ১৪ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা
  • শিক্ষার মানোন্নয়নে জিডিপির ৪ শতাংশ বরাদ্দ প্রয়োজন
  • ২০২৭ সালের জুনের পর ‘করছাড়’ থাকবে না
  • ৯ মাসে ৪,৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা ওয়ালটনের
  • যমুনা অয়েলের মুনাফা বেড়েছে ৩৮ শতাংশ