Samakal:
2025-05-01@18:18:17 GMT

এ বছরই বার্সায় ফিরছেন মেসি!

Published: 14th, January 2025 GMT

এ বছরই বার্সায় ফিরছেন মেসি!

লিওনেল মেসির প্রাণের ক্লাব বার্সেলোনা। এমনকি বার্সাও বহুবার জানিয়েছে, ক্যাম্প ন্যুর দরজা মেসির জন্য সব সময় খোলা। চলতি বছরের শেষ দিকে ওই খোলা দরজায় পা রাখতে পারেন সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি। সেটাও যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় অনুষ্ঠেয় ২০২৬ বিশ্বকাপকে লক্ষ্য ধরেই। সংবাদমাধ্যম এল ন্যাশিওনাল দিয়েছে এমনই খবর।

ইন্টার মায়ামির সঙ্গে মেসির চুক্তি আছে ২০২৫ মৌসুমের শেষ পর্যন্ত। ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবে যোগ দেওয়ার সময় এক বছর চুক্তি নবায়নের শর্তও রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু মেজর লিগের মৌসুম ছোট হওয়ায় আসন্ন মৌসুম শেষে ফিট ও ফর্মে থাকতে বার্সায় যোগ দিতে পারেন কাতার বিশ্বকাপ ও পর পর দুই কোপা আমেরিকাজয়ী মেসি।

বিষয়টি আরেকটু খুলে বললে, যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকার ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়ে অক্টোবরের শেষদিকে শেষ হয়। আগামী অক্টোবরে লিগ মৌসুম শেষে তাই ইন্টার মায়ামির সঙ্গে চুক্তি শেষ হবে মেসির। এদিকে ২০২৬ বিশ্বকাপ শুরু হবে জুনে। মায়ামির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করলেও বিশ্বকাপের বছর চার মাস বসে কাটাতে হতে পারে মেসির। এতে করে ২০২৬ বিশ্বকাপে খেললেও সেরাটা দিতে সমস্যা হতে পারে সাবেক বার্সেলোনা ও পিএসজি তারকার।

যে কারণে আগামী অক্টোবরে ফ্রি এজেন্ট হয়ে যাওয়া মেসি ধারে বার্সার সঙ্গে সংক্ষিপ্ত চুক্তি করতে পারেন। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুনরায় চুক্তি করতে পারেন ডেভিড বেকহামের ক্লাবে। যদিও বিষয়টি বলার মতো সহজ নয়। 

তবে আগে ফ্রান্স কিংবদন্তি থিয়েরি অঁরি ও আয়ারল্যান্ড স্ট্রাইকার রব কি’ এমনটা করেছিলেন। তারা এমএসএলে খেললেও অঁরি আর্সেনালে ও রব কি’ অ্যাস্টন ভিলার সঙ্গে সংক্ষিপ্ত চুক্তি করেছিলেন। বিশ্বকাপ খেলার সিদ্ধান্তে অটল থাকলে মেসিও নিতে পারেন এমন কোনো সুযোগ। এমনকি সেটা বার্সেলোনা না হয়ে অন্য কোনো ক্লাবও হতে পারে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বনেতাদের সতর্ক দৃষ্টির সামনেই ঘটছে গণহত্যা

হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গতকাল মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানিতে আলোচকরা বিশ্বনেতাদের সমালোচনা করেছেন। তারা মনে করেন, বিশ্বনেতাদের সতর্ক দৃষ্টির সামনেই ইসরায়েল মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। মানুষ হত্যা, ধ্বংসযজ্ঞকে তারা অপরাধ বলে স্বীকারই করে না। কোনো দেশ, সংস্থা এমনকি জাতিসংঘই যদি ইসরায়েলি নিকৃষ্ট হামলার প্রতিবাদ করে, তাহলে তাদের দখলদারদের রোষানলে পড়তে হয়। এমনকি আইসিজেও ইসরায়েলের হাত থেকে রক্ষা পায়নি।

বিবিসি বলেছে, গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা বিভাগের প্রধান জেন ডাঙ্গর আইসিজেতে দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, বিশ্বের নজরদারির অধীনে, ফিলিস্তিনিরা নৃশংসতা, অপরাধ, নিপীড়ন, বর্ণবাদ এবং গণহত্যার শিকার হচ্ছে। ফিলিস্তিনিরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে কোনো সহায়তা পাচ্ছে না।  

মানবাধিকার সংস্থা ল ফর প্যালেস্টাইনের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য আনিশা প্যাটেল আলজাজিরাকে বলেন, আইসিজের শুনানি কেবল ফিলিস্তিনে কর্মরত জাতিসংঘ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর ভবিষ্যৎ নিয়েই নয়, এটি ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার এবং অস্তিত্বের ব্যাপার। একদিকে আন্তর্জাতিক আদালতে শুনানি চলেছে, অন্যদিকে ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালিয়েই যাচ্ছে।  

আলজাজিরা জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ৫০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। গত ১৮ মাসে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ৫২ হাজার ৩৬৫ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৭ হাজার ৯০৫ জন আহত হয়েছেন। 

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অভিযোগ করেছে, ইসরায়েল গাজায় ‘গণহত্যার লাইভ স্ট্রিমিং’ করছে। বেশির ভাগ জনসংখ্যাকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে। ইচ্ছা করেই মানবিক বিপর্যয় তৈরি করা হয়েছে। 

আইসিজেতে সৌদি আরবের প্রতিনিধি মোহাম্মদ সৌদ আল নাসের গাজায় ‘ইসরায়েলের জঘন্য আচরণের’ নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েল আইসিজের রায় উপেক্ষা করার ঘোষণা দিয়ে নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে বিবেচনা করছে। 

এদিকে বাইডেনের কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, তারা কখনও ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দেননি। বরং যুদ্ধে বাইডেন প্রশাসনের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণ হয়েছে ইসরায়েলি চ্যানেল-১৩-এর এক তদন্ত প্রতিবেদেন।  

গাজায় খাদ্যাভাবে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, যা নারী-শিশুর করুণ পরিণতি ডেকে আনছে। ৫৫ হাজার প্রসূতি নারীর ২০ শতাংশই অপুষ্টিতে ভুগছেন। ৬০ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টিতে আক্রান্ত হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলি কারাগারে আটক ৫০ জনের বেশি সাহায্যকর্মীকে নির্যাতন করা হয়েছে।  

এদিকে হামাসের সঙ্গে গাজায় পাঁচ বছরের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা ইসরায়েলের নেই বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা। গাজায় হামলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে মতবিরোধ ও দ্বন্দ্বের পর পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের শীর্ষ নির্বাহী রোনেন বার।  


  
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘আমাকে তাড়াতাড়ি ছাড়ুন’, হাসপাতালে কেন বারবার বলতেন মান্না দে
  • নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬: সূচি ও ভেন্যু ঘোষণা
  • ‘একদিন দেখি পশুরমতো ঘরের কোণে বসে কাঁপছে ববি’
  • ২০২৬ এশিয়ান গেমসেও থাকছে ক্রিকেট
  • ২০২৬ এশিয়ান গেমসেও থাকছে ক্রিকেট
  • বাঁশের ‘সিলিং গ্রাম’ চাঁদপুরের ছটাকি
  • বিশ্বনেতাদের সতর্ক দৃষ্টির সামনেই ঘটছে গণহত্যা
  • ঢাবির ৪০ শতাংশ শিক্ষক আন্তর্জাতিক মানের: উপাচার্য
  • আনচেলত্তি ব্রাজিলের ডাগ আউটেই, চুক্তি চূড়ান্ত সই বাকি
  • প্রত্যন্ত গ্রামে ক্লিনিক খুলে ‘এমবিবিএস ডাক্তার’ পরিচয়ে চিকিৎসা, এক বছরের কারাদণ্ড