Samakal:
2025-09-18@03:38:04 GMT

এ বছরই বার্সায় ফিরছেন মেসি!

Published: 14th, January 2025 GMT

এ বছরই বার্সায় ফিরছেন মেসি!

লিওনেল মেসির প্রাণের ক্লাব বার্সেলোনা। এমনকি বার্সাও বহুবার জানিয়েছে, ক্যাম্প ন্যুর দরজা মেসির জন্য সব সময় খোলা। চলতি বছরের শেষ দিকে ওই খোলা দরজায় পা রাখতে পারেন সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি। সেটাও যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় অনুষ্ঠেয় ২০২৬ বিশ্বকাপকে লক্ষ্য ধরেই। সংবাদমাধ্যম এল ন্যাশিওনাল দিয়েছে এমনই খবর।

ইন্টার মায়ামির সঙ্গে মেসির চুক্তি আছে ২০২৫ মৌসুমের শেষ পর্যন্ত। ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবে যোগ দেওয়ার সময় এক বছর চুক্তি নবায়নের শর্তও রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু মেজর লিগের মৌসুম ছোট হওয়ায় আসন্ন মৌসুম শেষে ফিট ও ফর্মে থাকতে বার্সায় যোগ দিতে পারেন কাতার বিশ্বকাপ ও পর পর দুই কোপা আমেরিকাজয়ী মেসি।

বিষয়টি আরেকটু খুলে বললে, যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকার ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়ে অক্টোবরের শেষদিকে শেষ হয়। আগামী অক্টোবরে লিগ মৌসুম শেষে তাই ইন্টার মায়ামির সঙ্গে চুক্তি শেষ হবে মেসির। এদিকে ২০২৬ বিশ্বকাপ শুরু হবে জুনে। মায়ামির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করলেও বিশ্বকাপের বছর চার মাস বসে কাটাতে হতে পারে মেসির। এতে করে ২০২৬ বিশ্বকাপে খেললেও সেরাটা দিতে সমস্যা হতে পারে সাবেক বার্সেলোনা ও পিএসজি তারকার।

যে কারণে আগামী অক্টোবরে ফ্রি এজেন্ট হয়ে যাওয়া মেসি ধারে বার্সার সঙ্গে সংক্ষিপ্ত চুক্তি করতে পারেন। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুনরায় চুক্তি করতে পারেন ডেভিড বেকহামের ক্লাবে। যদিও বিষয়টি বলার মতো সহজ নয়। 

তবে আগে ফ্রান্স কিংবদন্তি থিয়েরি অঁরি ও আয়ারল্যান্ড স্ট্রাইকার রব কি’ এমনটা করেছিলেন। তারা এমএসএলে খেললেও অঁরি আর্সেনালে ও রব কি’ অ্যাস্টন ভিলার সঙ্গে সংক্ষিপ্ত চুক্তি করেছিলেন। বিশ্বকাপ খেলার সিদ্ধান্তে অটল থাকলে মেসিও নিতে পারেন এমন কোনো সুযোগ। এমনকি সেটা বার্সেলোনা না হয়ে অন্য কোনো ক্লাবও হতে পারে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কাজাকিস্তানের যাযাবর জাতির করুণ ইতিহাস 

বিংশ শতাব্দীর আগে পৃথিবীর মানচিত্রে কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তান নামের এই পাঁচটি দেশ ছিলো না।  মূলত ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এই রাষ্ট্রগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা লাভ করে। পরে চীনের সহায়তায় ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চলগুলো বাণিজ্যিক কেন্দ্রস্থল হিসেবে পুনরুত্থান হয়েছে। এখন প্রশ্ন  করা যেতে পারে, চীন কেন আবারও  এই অঞ্চলগুলোকে শক্তিশালী করে তুলছে?

ঐতিহাসিকভাবে মধ্য এশিয়া অঞ্চল সিল্করোডের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলো। যা চীনকে মধ্যপ্রাচ্য এবং রোমান সভ্যতার সাথে যুক্ত করেছিলো।  বীজ গণিতের জনক আল খারিজমি, আবু সিনার মতো বিজ্ঞানীদের জন্ম হয়েছে এখানে। যাদের লেখা বই ইউরোপে শত শত বছর ধরে চিকিৎসা ও নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। চেঙ্গিস খানও এই অঞ্চলে তার সম্রাজ্যের নিদর্শন রেখে গেছেন। পাশাপাশি ঘোড়ার পিঠে আদিম যাযাবর জীবনের ঐতিহ্যও টিকে আছে এখানে। 

আরো পড়ুন:

রাশিয়ার ‍বিরুদ্ধে এবার রোমানিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ

রাশিয়ায় ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামির সতর্কতা 

রাজনৈতিক প্রভাব ও সামরিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে মধ্য এশিয়ায় আধিপত্য বিস্তার করেছিলো রুশরা। উপনিবেশিক শাসন এমনভাবে চালু করেছিলো, যা অনেকটা ব্রিটিশ বা ফরাসি সম্রাজ্যের মতো দেখতে। 
রাজ্যগুলোকে শিল্পায়ন ও আধুনিকায়নের ফলে বিশাল পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। এমনকি যাযাবর জাতিকে যুদ্ধ যেতে বাধ্য করা হয়েছিলো। আর যাযাবর জাতিকে বসতি স্থাপনে বাধ্য করা হয়েছিলো। এরপর ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। ফলে কাজাখ জনগোষ্ঠীর চল্লিশ শতাংশ অর্থাৎ ২৫ শতাংশ মানুষ অনাহারে মারা যায়। এবং যাযাবর জনগোষ্ঠীর যে অর্থনীতি, তা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়। কারণ সোভিয়েত আমলে কাজাখ যাযাবররা যে পশুপালন করতো তার নব্বই শতাংশই মারা যায়। ফলে বাধ্য হয়ে কাজাখদের যাযাবর জীবনযাত্রা ছেড়ে দিতে হয়। বলতে গেলে সোভিয়েত আমলে কাজাখ সভ্যতা ও সংস্কৃতির বেদনাদায়ক পুনর্গঠনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। 

১৯৯১ সালে সোভিয়েন ইউনিয়নের পতন হয়, সৃষ্টি হয় এই পাঁচটি স্বাধীন দেশের। এই দেশগুলো স্বাধীন হয়েছে ঠিকই কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন পরবর্তী বিশ্বে খাপ খাইয়ে নিতে তাদের ব্যাপক সংগ্রাম করতে হয়। তবে বিগত কয়েক দশক ধরে মধ্য এশিয়ার যাযাবর জাতিগুলো নিজস্ব সীমানার মধ্যে এক অনন্য পরিচয় গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। যদিও তাদের ওপর বাইরের প্রভাবও রয়েছে। তুরস্ক এই অঞ্চলে নিজেদের উপস্থিতি আরও বেশি জানান দিচ্ছে। সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক, ধর্মীয় এবং ভাষাগত মিল আছে। এমনকি শিক্ষাগত কাঠামোতেও মিল রয়েছে। তুরস্ক মধ্য এশিয়ায় রাশিয়ার পণ্য রফতানির একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হিসেবেও বিবেচিত। 

জিনজিয়াং প্রদেশে প্রায় এক কোটি উইঘুর বাস করেন। যাদের বেশিরভাগই মুসলিম। এদের নিয়ে চীনের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া উইঘুর পরিচয় মুছে ফেলতে তাদের পুনঃশিক্ষা শিবিরে আটকে রাখার অভিযোগও আছে। যদিও চীন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। 

বৈশ্বিক অবকাঠামো উন্নয়নের পরিকল্পনা বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ এর চীন মধ্য এশিয়ায় ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়ন করছে। এই অঞ্চলটিকে বাণিজ্যিক কেন্দ্রে পরিণত করতে চাইছে, যা অনেকটা সিল্করুটের মতোই। 

চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ উদ্যোগের মাধ্যমে মধ্য এশিয়ায় প্রাচীন সিল্ক রোড পুনরুজ্জীবিত করার একটি সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। এই রোড পুনরুজ্জীবিত হলে রাশিয়া আর চীনের প্রভাব বলয়ে থাকা এই অঞ্চলের ভূ রাজনৈতিক গুরুত্ব কতটা বাড়বে-সেটাও সময় বলে দেবে।  

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী
  • সেন্ট যোসেফের উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি, নিয়ম প্রকাশ
  • কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরদের কাজ কি শুধু ভাইভা নেওয়া
  • কাজাকিস্তানের যাযাবর জাতির করুণ ইতিহাস 
  • জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা
  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী-গ্রামবাসীতে বিদ্বেষ কেন
  • চার্লি কার্ক হত্যাকাণ্ড: ট্রাম্প কি দাঙ্গা–ফ্যাসাদকেই নীতি হিসেবে নিয়েছেন