রাবি থেকে ইউজিসি ও পিএসসিতে সদস্য না নেওয়ায় প্রতিবাদ
Published: 16th, January 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) থেকে ইউজিসি ও পিএসসিতে সদস্য নিয়োগ না দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষক সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এ সময় বক্তারা বলেন, ইউজিসিতে সর্বনিম্ন একজন এবং পিএসসিতে সর্বনিম্ন দুইজন সদস্য নিয়োগের দাবি জানান। আগামী রবিবারের মধ্যে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না এলে আন্দোলন আরো কঠোর হবে বলেও হুশিয়ারি দেন তারা।
মানববন্ধনে রাবি স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী সজিব বলেন, “আমরা যে আন্দোলনে দাঁড়িয়েছি, সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও জনতার আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। কিন্তু ঢাকা কেন্দ্রিক বৈষম্য আমাদের সেই স্বপ্নে বাধা সৃষ্টি করছে। ইউজিসি ও পিএসসিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো প্রতিনিধি নেই— এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও বৈষম্যমূলক।”
তিনি বলেন, “ইউজিসিতে অন্তত একজন এবং পিএসসিতে অন্তত দুইজন প্রতিনিধি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়োগ দিতে হবে। এই দাবি পূরণ না হলে প্রয়োজনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।”
আইসিটি সেন্টারের অবসরপ্রাপ্ত পরিচালক ড.
তিনি বলেন, “পিএসসিতেও বিসিএসসহ বিভিন্ন ক্যাডার এবং নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া কর্মকর্তারাও ঢাকা-কেন্দ্রিক। ফলে আমাদের শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হয়।”
ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইয়ামিন হোসেন বলেন, “আমরা জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে চেয়েছি বাংলাদেশের সমস্ত বৈষম্য দূর হবে। এটা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৯-২০২৪ সাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে গবেষকদের তালিকায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকের সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ।”
তিনি বলেন, “বিগত দিনগুলোর কথা চিন্তা করলে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের অনেকে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য হয়েছেন। কিন্তু এবার অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৭/১৮ জন নিয়োগ পেলেও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।”
তিনি আরো বলেন, “রাবি থেকে আজ পর্যন্ত একজনকেও ইউজিসি বা পিএসসিতে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এটা কি বৈষম্য নয়? এ কারণেই কি আমরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছি? এ বৈষম্যকে দূর করতে আমাদের ছাত্র-শিক্ষকরা আন্দোলন করবে এবং যতোক্ষণ পর্যন্ত না এ বৈষম্য দূর করা করা হবে, আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমরা চাই দেশের সবখানে বৈষম্য দুর হোক।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ও প এসস ত ইউজ স
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরছড়া ট্র্যাজেডির ২৮তম বার্ষিকী পালিত
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাগুরছড়া ট্র্যাজেডির ২৮তম বার্ষিকী মানববন্ধন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় মাগুরছড়া গ্যাসক্ষেত্রের সামনে পাহাড় রক্ষা পরিবেশ, উন্নয়ন সোসাইটিসহ বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মৌলভীবাজার জেলা পাহাড় রক্ষা পরিবেশ ও উন্নয়ন সোসাইটির সভাপতি ময়নুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রভাষক সেলিম আহমেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য দেন কমলগঞ্জ সরকারি গণমহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক হামিদা খাতুন, সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক রাজা, নিছসা সভাপতি আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক রাসেল হাসান বক্ত, পরিবেশকর্মী সাজু আহমেদ, শাহারা ইসলাম রুহিন, শ্রমিক নেতা দুলাল মিয়া, ছাত্রনেতা লিটন গাজী, মিনহাজুল ইসলাম মুন্না, আব্দুল মতিন, মিসবাউর রহমান, আদিবাসী নেতা সুচিনগুল প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এখনও বাংলাদেশ সেই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী মার্কিন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারেনি। বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে নিষ্ক্রিয় হলেও দেশের স্বার্থরক্ষায় আন্দোলনকারীরা সরব রয়েছেন। ২৮ বছর পার হয়ে গেলেও দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও পরিবারের ক্ষতিপূরণ আদায়ে সচেতন হয়নি সরকার। বিষয়টি আমলে নেয়নি কোম্পানি।