তিন সিনিয়র কূটনীতিককে পদত্যাগের নির্দেশ দিলো ট্রাম্প প্রশাসন
Published: 18th, January 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মী ব্যবস্থাপনা ও অভ্যন্তরীণ তদারক অনুবিভাগের তিন সিনিয়র কূটনীতিককে পদত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের আগেই ট্রাম্পের সহকারীরা তাদের এই নির্দেশ দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট দু’জন মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
ট্রাম্প প্রশাসনের গঠনের দায়িত্বে থাকা এজেন্সি রিভিউ টিম এই নির্দেশনা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সূত্র। যারা পদত্যাগের নির্দেশ পেয়েছেন, তারা হলেন ডেরেক হোগান, মার্শা বার্নিকাট ও অ্যালাইনা টেপলিটজ। এই তিন কর্মকর্তাই বহু বছর ধরে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয় প্রশাসনে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ বিষয়ে অবহিত এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, এটি খারাপ পরিস্থিতির সূচনা করবে বলে উদ্বেগ রয়েছে। যে তিনজন কূটনীতিকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা ডেমোক্র্যাটিক এবং রিপাবলিকান প্রশাসনের অধীনে কাজ করেছেন।
সাধারণত প্রেসিডেন্ট যখন অফিস ত্যাগ করেন তখন কূটনীতিকরা পদত্যাগ করেন না, তারা নিজ পদে বহাল থাকেন। তার পুরো রাজনৈতিক ক্যারিয়ার জুড়ে ট্রাম্পের এই গুরুতর পদক্ষেপ আমলাতান্ত্রিক স্তরে সরকারকে মৌলিকভাবে পরিবর্তন করার প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে দেখা যেতে পারে।
রয়টার্সের এক প্রশ্নের প্রেক্ষিতে ট্রাম্পের টিম জানিয়েছে, সময় এসেছে এমন কর্মকর্তাদের সন্ধান করা যারা সম্পূর্ণরূপে আমাদের জাতি এবং আমেরিকার কর্মজীবী পুরুষ ও নারীদের অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নেবে। আমাদের অনেক ব্যর্থতা রয়েছে। তাই নিজেদের লক্ষ্যগুলোতে ফোকাস করতে একটি শক্তিশালী টিমের প্রয়োজন। যারা প্রতিশ্রুতি পালনে বদ্ধ পরিকর।
ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ এবং ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিশৃঙ্খলতার মধ্যে স্টেট ডিপার্টমেন্টের তিনজন কর্মকর্তার পদত্যাগের খবর সামনে এলো।
ট্রাম্পের বৈদেশিক নীতির পরিকল্পনার ক্ষেত্রে অনেকেই সন্দিহান, অনেকে আবার এই পরিবর্তনকে সাফল্যের প্রাথমিক লক্ষণ হিসাবে দেখছেন। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে একটি উল্লেখযোগ্য বৈদেশিক নীতি ছিল ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’, যা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি স্থাপনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিল।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পদত য গ ক টন ত ক পদত য গ র ক টন ত ক
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সুস্পষ্ট কূটনৈতিক সাফল্য
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্কের হার কমায় একে ঐতিহাসিক চুক্তি আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের শুল্ক আলোচকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “এটি সুস্পষ্ট এক কূটনৈতিক সাফল্য।”
শুক্রবার (১ আগস্ট) এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, শুল্ক হার ২০ শতাংশ করা হয়েছে, যা আগে আরোপিত শুল্ক হারের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম। এর মাধ্যমে আমাদের আলোচকরা অসাধারণ কৌশলগত দক্ষতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষা ও সেটাকে আরো এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন।
তিনি বলেন, আলোচকরা এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নিরলসভাবে কাজ করে জটিল আলোচনাকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়েছেন। যেখানে শুল্ক, অশুল্ক ও জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। আলোচনার মাধ্যমে অর্জিত এই চুক্তি আমাদের তুলনামূলক সুবিধা সংরক্ষণ করেছে। পাশাপাশি, বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তাবাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি ও আমাদের মূল জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেছে।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ
কোন দেশে কত শুল্ক বসালেন ট্রাম্প
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেন, এ অর্জন কেবল বাংলাদেশের বৈশ্বিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান শক্তিকে তুলে ধরে না; বরং এটি বৃহত্তর সম্ভাবনা, ত্বরান্বিত প্রবৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির পথ উন্মুক্ত করে।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল, উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আজকের সাফল্য আমাদের জাতীয় দৃঢ়তা ও আগামী দিনের আরো শক্তিশালী অর্থনীতির সাহসী দৃষ্টিভঙ্গির একটি শক্তিশালী প্রমাণ।
তথ্যসূত্র: বাসস
ঢাকা/রফিক