একটা সময় শুধু টিকে থাকার চেষ্টা করেছি: আরশ খান
Published: 18th, January 2025 GMT
এক দশকের বেশি থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পারিবারিক দিক থেকে যোগসূত্র আরও আগের। মায়ের অনুপ্রেরণা ও পরিবারের সহযোগিতায় তিনি আজ এত দূরে। বারবার হোঁচট খাওয়ার পর থেমে থাকেননি। নিজেকে গড়তে চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। সেই চেষ্টা এখনও চলমান। বলছি, তরুণ প্রজন্মের অভিনেতা আরশ খানের কথা। এখন টিভি কিংবা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের অতি চেনা মুখ তিনি। হয়ে উঠেছেন জনপ্রিয় থেকে জনপ্রিয়তর।
টেলিভিশন ও ইউটিউব নাটকে তাঁর সরব উপস্থিতি। কয়েক বছরের অভিনয়ের ক্যারিয়ারে তাঁর নাটকগুলোর প্রতি দর্শকের যেমন আগ্রহ তৈরি হচ্ছে, ঠিক তেমনি নির্মাতারাও হয়ে উঠছেন আরশকেন্দ্রিক।
গেল দেড় মাসে মুক্তি পেয়েছে আরশের প্রায় দুই ডজন নাটক। ভিউর দিক থেকে প্রায় সবগুলোই ১ মিলিয়নের ওপরে। এর মধ্যে রয়েছে ‘চ্যালেঞ্জ’, ‘আহত ভালোবাসার ঘ্রাণ’, ‘বিয়েশাদি’, ‘হৃদয় জুড়ে তুই’, ‘প্রেম তবু হারে না’, ‘তুমি পাশে থাকলে’, ‘সুখের ঠিকানা’, ‘ফার্স্ট নাইট’, ‘বেলা শেষে’, ‘পড়তে আমার ভাল্লাগেনা’, ‘জলের গান’, ‘যদি তোর না হই’ ও ‘শেষ থেকে শুরু’ নাটক। এ ছাড়া গেল বৃহস্পতিবার মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুটি নাটক ‘বিন্দাস’ ও ‘তোমারি জন্য’।
এরই মধ্যে বেশকিছু নাটকের শুটিংও শেষ করেছেন। এ ছাড়া আসছে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে কয়েকটি নাটকের কাজ করছেন তিনি। এই অভিনেতার মতে, অভিনয়ের প্রতি আমার ভালোবাসাটা তো আছে। এখন আমি গল্প, চরিত্র কিছুটা বুঝি। যখন ছাড় দিয়ে কাজ করেছি, তখন শুধু টিকে থাকার চেষ্টা করেছি। অপেক্ষা করেছি ভালো দিনের।
আরশের সেই স্ট্রাগল এখনও চলছে। এর মধ্যে প্রাপ্তি, তাঁর ভক্ত তৈরি হয়েছে। ভক্তরা তাঁর কাজ দেখতে চান। মাঝে কমেডি গল্পে বেশি কাজ করলেও গেল বছর পুরোটাই রোমান্টিক গল্পে বেশি কাজ করেছেন তিনি।। এখন তিনি কাজ করতে চান সব ধরনের গল্পে। তবে শর্ত একটাই। ভালো গল্প ও চ্যালেঞ্জিং চরিত্র হতে হবে। তাঁর কথায়, ‘আমি এখন সব ধরনের গল্পে অভিনয় করতে চাই। সব পরিচালকের সঙ্গে কাজ করতে চাই। যারা আমাকে ডাকেন না তাদের বলতে চাই, আমার সেই ডেডিকেশনটা আছে। চ্যালেঞ্জিং চরিত্রের ভরসা করতে পারেন। অভিনয় দিয়ে সবার মন ভরাতে পারব।’
নতুন মাধ্যম ওটিটি নিয়েও ভাবনা রয়েছে তাঁর। আটঘাট বেঁধেই মাঠে নামতে চান তিনি। অবশ্য প্ল্যাটফর্মে কিছুটা আক্ষেপও আছে এই অভিনেতার। সে কারণে নাটক বেশি প্রাধান্য দিয়ে ওটিটিতে কাজ করতে চান তিনি। তাঁর মতে, ‘ওটিটিতে কাজের বিষয়টা শুধু তো আমার চাওয়া পাওয়ার ওপর নির্ভর করে না। এখানে বেশকিছু বিষয় থাকে। প্রত্যেকটা প্ল্যাটফর্মে আলাদা করে একটা গ্রুপ থাকে। অভিনয় বিবেচনা করে কাস্ট করা হয় বলে আমার মনে হয় না। আবার কিছু কিছু সময় যারা ভালো, তারাও কাজ পাচ্ছেন। আসলে নাটক নিয়ে ব্যস্ততার কারণে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। ওটিটির দিকে ছুটতে গেলে নাটকে গ্যাপ পড়ে যাবে। তারপরও যদি আমার মনের মতো গল্প পাই, অবশ্যই কাজ করব।’
এত কিছুর পর বর্তমানের নাটক ও এই ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে অনেকের অনেক রকম অভিযোগ। কেউ বলেন, নাটক ভালো হচ্ছে না। আবার কেউ প্রশ্ন তোলেন নাটকের মান নিয়েও। তবে আরশ খানের মতে, ‘আমাদের দেশ ছয় ঋতুর দেশ। একেকজনের মানসিকতা একেক রকম। সবার টেস্ট তো ভিন্ন ভিন্ন। সবার বাছ-বিচারের স্বাধীনতা আছে। কাজ করলে অভিযোগ আসবে। তবে তার মধ্য থেকে দিনশেষে ভালো কাজ প্রশংসা পাবেই।’
নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে এখন বেশ সচেতন তিনি। নতুন কাজের ক্ষেত্রে আরও সচেতন হতে চান। তাঁর ভাষ্য, ‘একটা সময় ছিল আমার কাজ পাওয়াটা জরুরি। সেই সময়টা বুঝে না বুঝে নাটকের মাধ্যমে মানুষকে অনেক রং মেসেজ দিয়েছি। এটা স্বীকার করছি। সেই নাটকগুলোর সংলাপ শুনলে মনে হয় এটা আমার দেওয়া ঠিক হয়নি। কারণ, আগামী ১০ বছর দেশের মানুষগুলো কেমন হবে, সেটার কিছুটা নির্ভর করে মিডিয়ার দ্বারা। তাই যেহেতু সেই সময়টা চলে গেছে। এখন গল্প ও সমাজকে ভালো বার্তা দেওয়ার নাটকগুলোকে বেশি প্রাধান্য দেব।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?
দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’
প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।
আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’
তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’
মুশফিকুর রহিম