সুন্দরবনে হরিণের মাংস ও ফাঁদ জব্দ
Published: 20th, January 2025 GMT
সুন্দরবনের জোংড়া এলাকা থেকে ২৫ কেজি হরিণের মাংস এবং হরিণ শিকারের ফাঁদ জব্দ করেছে বন বিভাগ।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জোংড়া টহল ক্যাম্পের পিছনে গহীন জঙ্গল থেকে হরিণের মাংস ও ফাঁদ জব্দ করা হয়। তবে, এ সময় কাউকে আটক করতে পারেনি বন বিভাগ।
পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের কর্মকর্তা দীপন চন্দ্র দাস জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার বিকেলে জোংড়া টহল ক্যাম্পের পিছনে বনের গহীনে অভিযান চালানো হয়। বনপ্রহরীদের উপস্থিতি টের পেয়ে শিকারিরা দ্রুত বনের গভীরে পালিয়ে যায়। পরে তল্লাশি চালিয়ে হরিণের মাথা, পা ও চামড়াসহ ২৫ কেজি মাংস জব্দ করা হয়। এ সময় প্রায় আধা কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের হরিণ শিকারে ব্যবহৃত ফাঁদ (সুতা/দড়ি) জব্দ করা হয়।
দীপন চন্দ্র দাস আরও জানান, এ ঘটনায় বন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। হরিণ শিকারিদের আটক করতে বন বিভাগের অভিযান অব্যাহত আছে।
ঢাকা/শহিদুল/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চোরা শিকারিদের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি প্রয়োগের আহ্বান উপদেষ্টার
বাঘ পাচারকারী ও চোরা শিকারিদের বিরুদ্ধে আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে দাঁড়াতে হবে। বাঘ সংরক্ষণের সুফল জনগণের সামনে দৃশ্যমান করতে হবে।
বিশ্ব বাঘ দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার রাজধানীর বন ভবনে আয়োজিত আলোচনা সভায় সচিবালয় থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, ‘‘বাঘ শুধু একটি বন্যপ্রাণী নয়, এটি বাংলাদেশের গর্ব ও জাতিসত্তার প্রতীক। যেমন আমরা সুন্দরবন নিয়ে গর্ব করি, তেমনি গর্ব করি রয়েল বেঙ্গল টাইগার নিয়েও। সাহস, ভালোবাসা ও বীরত্বের প্রতীক হিসেবে আমরা বাঘকে দেখি। ক্রিকেটারদের ‘টাইগার’ নামে ডাকাও সেই আবেগের বহিঃপ্রকাশ।’’
সাম্প্রতিক বাঘ শুমারির ফল তুলে ধরে উপদেষ্টা জানান, কিছু ইতিবাচক উদ্যোগের কারণে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে, যা আশাব্যঞ্জক। তবে হরিণ শিকারে নিয়ন্ত্রণ, বারবার অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধ এবং চোরা শিকার রোধে আরও কার্যকর ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘‘বাঘের মৃত্যু ও পাচারের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। মানুষ-বাঘ দ্বন্দ্বও বেড়েছে। এজন্য সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকায় সামাজিক সুরক্ষা বলয় গড়ে তোলার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।’’
পাশাপাশি সুন্দরবনে অপরাধ বৃদ্ধির বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘কারা চোরাকারবারি, আর কারা বিকল্প জীবিকার সুযোগ পেলে সেই পথ পরিহার করবে তাদের তালিকা তৈরি করে জানাতে হবে, যেন আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারি।’’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘‘আমাদের ঐতিহ্য রক্ষায়, পরিবেশ সংরক্ষণে এবং বাঘকে টিকিয়ে রাখতে সম্মিলিতভাবে সংকল্পবদ্ধ হতে হবে।’’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরী। আলোচনায় অংশ নেন দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট পরিবেশবিদ ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা।
অনুষ্ঠানে ‘সুন্দরবনে সংঘাতপ্রবণ বাঘ ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা’ এবং ‘টাইগারস্ অব দ্য সুন্দরবনস’ শীর্ষক দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। পাশাপাশি, সুন্দরবনভিত্তিক পটের গান পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পীরা।
ঢাকা/এএএম//