৫ দাবিতে উপাচার্য বরাবর জাবি ছাত্রদলের স্মারকলিপি
Published: 22nd, January 2025 GMT
জুলাই হত্যাকাণ্ডে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের বিচার, জাকসুর সংস্কারসহ পাঁচ দফা দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে এ স্মারকলিপি প্রদান করে তারা।
এর আগে, শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ট্রান্সপোর্ট চত্বর থেকে একটি মিছিল নিয়ে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে অবস্থান নেয়। পরে উপাচার্য আসা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করেন। একপর্যায়ে উপাচার্য ঘটনাস্থলে আসলে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক স্মারকলিপির দাবিগুলো পাঠ করেন।
প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থানকালে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘একশন একশন, ডাইরেক্ট একশন’, ‘জাকসুর সংস্কার, করতে হবে করতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখিত তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- জাকসু নির্বাচনের পূর্বে গঠিত কমিটিগুলোর সুপারিশ ও ছাত্র সংগঠনগুলোর দাবি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে; বিদ্যমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে সিন্ডিকেট পুনর্গঠন করতে হবে; জাকসু নির্বাচনের আগে গঠনতন্ত্র সংস্কার করার জন্য ‘গঠনতন্ত্র সংস্কার কমিটি’ গঠন করতে হবে এবং বিগত ১৭ বছর যারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্যাম্পাসে ত্রিয়াশীল ছিল শুধু তাদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে জাকসুর গঠনতন্ত্র যুগোপযোগী করতে হবে।
অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- জাকসু নির্বাচনকে ফ্যাসিবাদের প্রভাব থেকে মুক্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে; জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর আওয়ামী প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে ছাত্রলীগ, বহিরাগত সন্ত্রাসী ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে নৃশংস হামলা করেছিল, জাকসু নির্বাচনের পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক একটি আলাদা সেল গঠন করে তার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, “আমরা পাঁচ দফা দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। পাশাপাশি আজকের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কারে সংস্কার কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছি।”
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ম রকল প ছ ত রদল র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’