বিজাতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে পথ হারাচ্ছে যুবসমাজ
Published: 24th, January 2025 GMT
কোরআন ও সুন্নাহর নির্দেশনা অনুযায়ী মানুষের মাঝে দ্বীনের সঠিক দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে আলেম সমাজকে জিম্মাদারি দায়িত্ব পালন করতে হবে। নানা ষড়যন্ত্রের কারণে মানুষ ইসলাম থেকে বিমুখ হয়ে যাচ্ছে। বিজাতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের কারণে যুবসমাজ পথ হারাচ্ছে।
শুক্রবার রাজধানীর প্রেস ক্লাবে জাতীয় দাওয়াহ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা। এ সম্মেলনের আয়োজন করে পয়ামে ইনসানিয়াত বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে স্বাগতম বক্তব্যে সংগঠনের আমির ড.
তিনি বলেন, মানবতা, নৈতিকতা ও আধ্যাত্মিকতার শূন্যতার কারণেই আজ পৃথিবীর এই বিপর্যয়কর অবস্থা। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্যই পয়ামে ইনসানিয়াতের আন্দোলন। এর বিষয়বস্তু হচ্ছে মানবতা ও নৈতিকতা।
অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য রাখেন ইসলামী চিন্তাবিদ ও রাজনীতিবিদ আল্লামা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী।
তিনি বলেন, দাওয়াতের কারণেই এ উম্মাহ সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি। দাওয়াত আমাদের হাতিয়ার। তবে দাওয়াতি কাজে আমাদের জানতে হবে মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা. এর পদ্ধতি ও কৌশল সম্পর্কে। দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক ও ধর্মীয় অবস্থাকে সামনে রেখে ইসলামের সুমহান আদেশের দাওয়াত দিতে হবে।
সংগঠনের উপদেষ্টা আল্লামা আবদুর রাজ্জাক নদভী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী, আ. ফ. ম আকরাম হুসাইন, মামুনুর রশীদ চাঁদপুরী, আহমাদ মোস্তফা, মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল প্রমুখ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
‘অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন’, জামায়াত আমিরের দুঃখ প্রকাশ
নারী বিষয়ক কমিশনের রিপোর্টকে শরীয়তবিরোধী ও অগ্রহণযোগ্য রিপোর্ট উল্লেখ করে এর ওপর বুধবার প্রদত্ত বক্তব্যের এক পর্যায়ে একটি শব্দের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১ মে) নিজের ও দলের ফেসবুক পেজে এ কথা বলেন তিনি।
এতে তিনি জানান, অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন হয়েছে, যা একান্তই অনিচ্ছাকৃত। এজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
প্রতিহিংসার রাজনীতিতে শান্তি আসতে পারে না: জামায়াত আমির
দেশকে যে ভালোবাসে, সে দেশ ছেড়ে পালায় না: শফিকুর রহমান
জামায়াত আমির বলেন, “রেইপ হচ্ছে বিবাহবহির্ভূত এক ধরনের জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক, যা সাধারণত বৈবাহিক সম্পর্কের বাইরে ঘটে, যেখানে অপরাধী ব্যক্তিটি অসৎ ও দোষী, কিন্তু ভিকটিম সম্পূর্ণ নিরপরাধ।”
“আমি এটাও মনে করি যে, বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে ‘রেইপ' এর মতো জঘন্য শব্দকে প্রবেশ করানো পবিত্র এই সম্পর্কের জন্য অবমাননাকর এবং দীর্ঘ মেয়াদে দাম্পত্য সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। স্বামী স্ত্রীর ঘনিষ্ঠতার ক্ষেত্রে কারো দ্বারা সীমালঙ্ঘন বা জুলুম সংঘটিত হলে তা স্বাভাবিক বিচারের আওতায় অবশ্যই আনতে হবে। কিন্তু বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যকার কোনো অনাকাঙ্খিত বিষয়কে রেইপ বা ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের সাথে তুলনা করা অবাঞ্ছণীয় এবং দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যাজনক।”
“আমার এই অনিচ্ছাকৃত শব্দ চয়নের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ইসলামের দৃষ্টিতে নারীর মর্যাদা, নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায় এবং জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান সর্বদা সেই মূলনীতির ওপরই প্রতিষ্ঠিত,” বলেও দাবি করেন তিনি।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ