কোরআন ও সুন্নাহর নির্দেশনা অনুযায়ী মানুষের মাঝে দ্বীনের সঠিক দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে আলেম সমাজকে জিম্মাদারি দায়িত্ব পালন করতে হবে। নানা ষড়যন্ত্রের কারণে মানুষ ইসলাম থেকে বিমুখ হয়ে যাচ্ছে। বিজাতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের কারণে যুবসমাজ পথ হারাচ্ছে।

শুক্রবার রাজধানীর প্রেস ক্লাবে জাতীয় দাওয়াহ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা। এ সম্মেলনের আয়োজন করে পয়ামে ইনসানিয়াত বাংলাদেশ। 

অনুষ্ঠানে স্বাগতম বক্তব্যে সংগঠনের আমির ড.

শহীদুল ইসলাম ফারুকী বলেন, অশান্ত পৃথিবীতে মানবতার জাগৃতিই একমাত্র মুক্তির পথ। 

তিনি বলেন, মানবতা, নৈতিকতা ও আধ্যাত্মিকতার শূন্যতার কারণেই আজ পৃথিবীর এই বিপর্যয়কর অবস্থা। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্যই পয়ামে ইনসানিয়াতের আন্দোলন। এর বিষয়বস্তু হচ্ছে মানবতা ও নৈতিকতা। 

অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য রাখেন ইসলামী চিন্তাবিদ ও রাজনীতিবিদ আল্লামা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী। 

তিনি বলেন, দাওয়াতের কারণেই এ উম্মাহ সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি। দাওয়াত আমাদের হাতিয়ার। তবে দাওয়াতি কাজে আমাদের জানতে হবে মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা. এর পদ্ধতি ও কৌশল সম্পর্কে। দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক ও ধর্মীয় অবস্থাকে সামনে রেখে ইসলামের সুমহান আদেশের দাওয়াত দিতে হবে। 

সংগঠনের উপদেষ্টা আল্লামা আবদুর রাজ্জাক নদভী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী, আ. ফ. ম আকরাম হুসাইন, মামুনুর রশীদ চাঁদপুরী, আহমাদ মোস্তফা, মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল প্রমুখ। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে বইমেলায় বিক্রি কম, এখনো আশায় আছেন প্রকাশকেরা

রাজশাহী বিভাগীয় বইমেলার প্রথম তিন দিনে লোকজনের ভিড় থাকলেও বেচাকেনা তেমন হয়নি। এতে অনেক প্রকাশকের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তবে আগামী কয়েক দিনে বেচাকেনা বাড়বে বলে আশা করছেন প্রকাশকেরা ও আয়োজক কর্তৃপক্ষ।

গত শুক্রবার রাজশাহী জেলা কালেক্টরেট মাঠে ৯ দিনব্যাপী এই বইমেলার উদ্বোধন করা হয়। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায়, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে এবং রাজশাহী বিভাগীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এ মেলা চলবে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত। মেলায় ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ৭০টি বেসরকারি প্রকাশনাসহ মোট ৮১টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন বাদে মেলা চলছে বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। আর ছুটির দিনে মেলা শুরু হয় বেলা ১১টায়।

উদ্বোধনের আগের দিন বৃষ্টিতে মেলার মাঠ কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়। সেই কর্দমাক্ত পরিবেশেই মেলার উদ্বোধন হয়। দর্শনার্থীদের ভোগান্তি কমাতে পরে প্রতিটি স্টলের সামনে ইট বিছিয়ে দেওয়া হয়। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও বিক্রির খরা কাটেনি বলে জানালেন বিক্রেতারা।

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের বিভিন্ন অংশে তখনো পানি জমে আছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত মঞ্চের সামনের প্যান্ডেলেও কাদা। সেখানেই কাজী নজরুল ইসলামের জীবন ও সাহিত্য নিয়ে আলোচনা চলছিল, তবে দর্শক-শ্রোতার উপস্থিতি ছিল নগণ্য। স্টলের সামনে ইটের সলিংয়ের তৈরি রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন অনেকে। অনেকে বই দেখছেন।

সূর্যোদয় প্রকাশনীর বিক্রেতা রিপন আলী বলেন, প্রথম দিন তো কাদাপানির মধ্যেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। তখনো মানুষ ছিলেন। এখন ইট বিছানোর পর আরও বেশি মানুষ আসছেন, ভিড়ও করছেন, কিন্তু বই কিনছেন খুব কম।

ঐতিহ্য প্রকাশনীর স্টলে কাদার ওপর চেয়ার পেতে বসে থাকতে দেখা গেল বিক্রয়কর্মী ও চিত্রশিল্পী অর্ণব পাল সন্তুকে। তিনি বলেন, মানুষ আসছেন, ঘুরে দেখছেন, কিন্তু বিক্রি নেই বললেই চলে। মেলার ব্যবস্থাপনা আরও ভালো হতে পারত। আরেক বিক্রেতা আবদুল্লাহ হীল বাকি জানালেন, এমনও স্টল আছে, যেখানে সারা দিনে ২০০ থেকে ৩০০ টাকার বইও বিক্রি হচ্ছে না।

তবে হতাশার ভিড়ে আশার কথাও শোনালেন কেউ কেউ। চট্টগ্রাম থেকে আসা নন্দন বইঘর প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী সুব্রত কান্তি চৌধুরী বলেন, বেচাবিক্রি আজ না হোক কাল হবে। মানুষ যে মেলায় এসে বই হাতে নিয়ে দেখছেন, এটাই বড় পাওয়া। এতে তাঁদের মধ্যে বই কেনার আগ্রহ তৈরি হবে।

মেলায় আসা পাঠকদের মধ্যে অবশ্য ভিন্ন চিত্র। দুই সন্তানের জন্য শিশুতোষ বই কিনে এক অভিভাবক বলেন, বাচ্চাদের হাতে বই তুলে দেওয়ার আনন্দটাই অন্য রকম।
মেলা থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম ও তারাশঙ্কর বন্দ্যোপ্যাধ্যায়ের বই কিনেছেন মনির হোসেন। তিনি বলেন, মেলায় একসঙ্গে অনেক বই পাওয়া যায়, যা বই কেনার জন্য দারুণ সুযোগ।

রাজশাহী কালেক্টরেট মাঠে বইমেলা উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে আলোচনা সভা। গতকাল রোববার সন্ধ্যায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ