নবমবারের মতো সমাবর্তন করল উত্তরা ইউনিভার্সিটি। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ৩ হাজার ৪৯৭ জন শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েশন ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি এবং কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য ২ জন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক ও ৩৫ জনকে শিক্ষার্থীকে ট্রাস্টি, ভিসি, ও ডিন পদক দেওয়া হয়।

শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সমাবর্তনটি অনুষ্ঠিত হয়। 

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো.

সাহাবুদ্দিনের পক্ষে তার প্রতিনিধি হিসেবে বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়) প্রফেসর ড. এম আমিনুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। 

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। 

সমাবর্তনে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুল হান্নান চৌধুরী। এছাড়া বক্তব্য দেন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আরা লেখা ও ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌর গোবিন্দ গোস্বামী এবং ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার কাজী মহিউদ্দিন।

শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সফট স্কিল, মূল্যবোধ এবং ভাষা অর্জনের তাগিদ দিয়ে ড. এম আমিনুল ইসলাম বলেন, গবেষণা এবং উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে উত্তরা ইউনিভার্সিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গঠনে দক্ষ ও যোগ্য গ্র্যাজুয়েট তৈরি করবে।

নতুন গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশ্য প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা শুধু ব্যক্তি বা পরিবারের সমৃদ্ধির জন্য নয় বরং দেশ, জাতি তথা সমাজের উন্নয়নেও কাজ করতে হবে।

পরিবার ও শিক্ষকদের কাছ থেকে অর্জিত জ্ঞান, মেধা ও মনন দেশমাতৃকার কল্যাণে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে প্রফেসর ড. আবদুল হান্নান চৌধুরী বলেন, প্রচুর অধ্যবসায়, পরিশ্রম ও কাজের প্রতি ভালোবাসা থাকলে কর্মক্ষেত্রে সফলতা আসবেই।

উত্তরা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আরা লেখা বলেন, আপনারা আগামী দিনের এ বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। তাই সততা, নৈতিকতা ও দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে একটি আদর্শ সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে।

উত্তরা ইউনিভার্সিটির ৯ম সমাবর্তনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আজিজুর রহমান, বুদ্ধিজীবী, রাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, সব অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউন ভ র স ট র

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৩ 

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় মঞ্জু টেক্সটাইলে এন্ড ডাইং কারখানায় গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে কারখানার দুই নিরাপত্তাকর্মীসহ তিন জন দগ্ধ হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১ মে) সকাল পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার তারাবো পৌরসভার কাজীপাড়া এলাকায় কারখানায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন, সিকিউরিটি ইনচার্জ আব্দুল হান্নান, গার্ড কবির হোসেন ও সিনিয়র অফিসার সাইফুল ইসলাম।

কারখানার সুপারভাইজার মিজানুর জানান, নাইট ডিউটি শেষে সকাল ৮টার দিকে শ্রমিকরা চলে যাওয়ার ঠিক পরপরই তিতাস গ্যাস সংযোগের আরএমএস রুমে গ্যাসের অতিরিক্ত চাপে বিকট শব্দে একটি দেয়াল ধসে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীসহ তিনজন দগ্ধ হন। বিস্ফোরণ ও আগুনের তীব্রতায় আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে।

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ, সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক

মাইক্রোবাসে বিস্ফোরণ, অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন ৫ ছাত্রনেতা

তিনি জানান, কারখানায় দায়িত্বে থাকা টেকনিশিয়ান ও অন্যান্য নিরাপত্তাকর্মীরা দ্রুত গ্যাসের চাবি বন্ধ করে নিজেরাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে দগ্ধ তিনজনকে দ্রুত রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। আগুনে কারখানার কিছু কাপড় ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ইউনিট সেখানে যায়। তবে তার আগেই কারখানার লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলে। বিস্ফোরণ ও আগুনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, ‘‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শুনেছি তিনজন দগ্ধ হয়েছেন এবং তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/অনিক/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ