উত্তরা ইউনিভার্সিটির নবম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত
Published: 25th, January 2025 GMT
নবমবারের মতো সমাবর্তন করল উত্তরা ইউনিভার্সিটি। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ৩ হাজার ৪৯৭ জন শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েশন ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি এবং কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য ২ জন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক ও ৩৫ জনকে শিক্ষার্থীকে ট্রাস্টি, ভিসি, ও ডিন পদক দেওয়া হয়।
শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সমাবর্তনটি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো.
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।
সমাবর্তনে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুল হান্নান চৌধুরী। এছাড়া বক্তব্য দেন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আরা লেখা ও ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌর গোবিন্দ গোস্বামী এবং ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার কাজী মহিউদ্দিন।
শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সফট স্কিল, মূল্যবোধ এবং ভাষা অর্জনের তাগিদ দিয়ে ড. এম আমিনুল ইসলাম বলেন, গবেষণা এবং উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে উত্তরা ইউনিভার্সিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গঠনে দক্ষ ও যোগ্য গ্র্যাজুয়েট তৈরি করবে।
নতুন গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশ্য প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা শুধু ব্যক্তি বা পরিবারের সমৃদ্ধির জন্য নয় বরং দেশ, জাতি তথা সমাজের উন্নয়নেও কাজ করতে হবে।
পরিবার ও শিক্ষকদের কাছ থেকে অর্জিত জ্ঞান, মেধা ও মনন দেশমাতৃকার কল্যাণে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে প্রফেসর ড. আবদুল হান্নান চৌধুরী বলেন, প্রচুর অধ্যবসায়, পরিশ্রম ও কাজের প্রতি ভালোবাসা থাকলে কর্মক্ষেত্রে সফলতা আসবেই।
উত্তরা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আরা লেখা বলেন, আপনারা আগামী দিনের এ বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। তাই সততা, নৈতিকতা ও দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে একটি আদর্শ সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে।
উত্তরা ইউনিভার্সিটির ৯ম সমাবর্তনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আজিজুর রহমান, বুদ্ধিজীবী, রাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, সব অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইউন ভ র স ট র
এছাড়াও পড়ুন:
দেশবাসী দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণ চায়: আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের মানুষ ২০ বছর ধরে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি এবং নতুন প্রজন্মও ভোট দিতে পারেনি। তাই, তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণ চায়।
সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে লন্ডন থেকে দেশে ফিরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক পথেই এগিয়ে যাবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামে জনগণের যে ত্যাগ, সে পথেই দেশ অগ্রসর হবে।
প্রধান উপদেষ্টার মতো বিএনপিও রোজার আগে বিচার ও সংস্কারের অগ্রগতি চায় কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, সংস্কারের বিষয়টি ঐকমত্যের ওপর নির্ভরশীল। এ বিষয়ে ড. ইউনূস, তারেক রহমান এবং বিএনপির সকল নেতৃবৃন্দ আগেই বলেছেন।
তিনি মনে করেন, ঐকমত্য হতে এক থেকে দেড় মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়।
বিচার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এটি চলমান প্রক্রিয়া এবং বিচার বিভাগের ওপর নির্ভর করে। বিচার বিভাগ বিচার করবে এবং বিচারের আওতায় আনারও বিষয় আছে। যারা বিচারের আওতায় আসবে, তার জন্য আরো প্রায় ছয় মাস সময় আছে। আর যারা এর মধ্যে আসবে না, তাদের জন্য তো আগামী সরকার আছে।
সরকারের কি এখন নির্বাচনমুখী কর্মকাণ্ডের দিকে এগিয়ে যাওয়া দরকার আছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক এবং জনগণের সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আর কোনো পথ নেই। এ বিষয়ে সবাই ঐকমত্য পোষণ করছেন।
জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির অভিযোগ, একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকার বিশেষ সম্পর্ক করছে, বিএনপি বিষয়টি কীভাবে দেখছে? এ প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, “আমি একটা জিনিস মনে করি, আমরা যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, তাহলে এখানে সবার মতামত নেওয়ার সুযোগ আছে। সুতরাং, সবাই তাদের মতামত দিতে পারে। আমার মনে হয়, এটাই আমাদের গণতন্ত্রের বড় পাওয়া, সবাই নিজেদের মতামত দেবে। এর মধ্যে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”
বিএনপি এত দিন ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা বললেও এখন কেন ফেব্রুয়ারিতে গেল? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনেক সময়। এবং এত সময়ও লাগার কোনো কারণ নেই। বিএনপি আগে ডিসেম্বরের মধ্যেই এসব সমস্যার সমাধান করে নির্বাচনের কথা বলেছে। সুতরাং, ফেব্রুয়ারি আরো দীর্ঘ সময়। তবে, যদি ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হয়, তাতেও কোনো সমস্যা নেই।
আমীর খসরু বলেন, “আমি আগেও বলেছি, যত বেশি ঐকমত্যের মাধ্যমে আমরা নিজেদের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে পারব, সেটা জাতির জন্য তত ভালো। আমরা যে ঐকমত্যের মধ্যে এসেছি, এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিষয়।”
তিনি আরো বলেন, “ঐকমত্য থাকার ফলেই আমরা স্বৈরাচারকে বিদায় করতে পেরেছি। সুতরাং, আমরা চেষ্টা করব, যেখানেই সম্ভব ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেব।”
তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ওয়ান-টু-ওয়ান বৈঠকে নির্বাচনে নিরপেক্ষতার বিষয়ে কোনো আলোচনা বা বার্তা আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, যখনই নির্বাচন শুরু হবে, তখনই সরকার নিরপেক্ষতার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। কেয়ারটেকার গভর্নমেন্টের ধারণা হলো— একটি নিরপেক্ষ সরকার। সুতরাং, নির্বাচনে সেই নিরপেক্ষতা সরকার নিশ্চিত করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
বৈঠকে সংস্কারের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমান বলেছেন, এখানে যতটুকু ঐকমত্য হবে, সংস্কারও ততটুকুই হবে। বাকি অংশটা নির্বাচনের মাধ্যমে জাতির কাছে নিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, সংস্কার তো চলমান প্রক্রিয়া। এটি এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না, নির্বাচনের পরেও এটি চলমান থাকবে।
ঢাকা/রায়হান/রফিক