১০ দিনেও পণ্যবাহী কার্গো ছাড়েনি আরাকান আর্মি
Published: 26th, January 2025 GMT
নয় দিন পার হয়ে গেলেও কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে আটক পণ্যবাহী একটি কার্গো বোট এখনো ছাড়েনি মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। আজ রোববার সকাল পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার বস্তা বহনকারী বোট আরাকান আর্মির হেফাজতে রয়েছে। এর আগে গত সোমবার আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা দুটি কার্গো বোট টেকনাফ স্থলবন্দরে পৌঁছে।
পণ্যবাহী একটি বোট এখনও ছাড়েনি বলে জানিয়েছেন টেকনাফ স্থলবন্দর ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘এর আগে দুটি পণ্যবাহী কার্গো বোট আরাকান আর্মির হেফাজত থেকে মুক্তি পায়। এসব পণ্যবাহী খালাস চলমান। তবে দশ দিন পার হয়ে গেলেও তাদের কাছে আরও একটি পণ্যবাহী বোট রয়েছে। সেখানে প্রায় ৩০ হাজার বস্তা বিভিন্ন ধরনের মালামাল রয়েছে।’
এ বিষয়ে টেকনাফ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ীরা খুব চিন্তিত। কেননা, এখনও একটি পণ্যবাহী কার্গো বোট ছাড়েনি আরাকান আর্মি। সেখানে আমাদের বহু ব্যবসায়ীদের মালামাল রয়েছে। তল্লাশির দশ দিন পার হলেও বড় কার্গো বোট তাদের হেফাজতে রয়েছে। এ ধরনের সমস্য সমাধানে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করা দরকার। না হলেও ব্যবসায়ীরা টেকনাফে ব্যবসা গুটিয়ে নিবেন।’
স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেড় মাস পর গত ১১ জানুয়ারি মিয়ানমারের ইয়াংগুন থেকে কয়েকজন ব্যবসায়ীর পণ্যবাহী কার্গো বোট টেকনাফ স্থলবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। এরপর ১৬ জানুয়ারি দুপুর ১২টায় নাফ নদের মোহনায় দেশটির জলসীমায় নাইক্ষ্যংকদিয়া নামক এলাকায় তল্লাশির নামে পণ্যবাহী তিনটি আটকে দিয়েছিল আরাকান আর্মি। এর মধ্যে আচার, শুঁটকি, সুপারি, কপিসহ ৫০ হাজারের বেশি বস্তা পণ্য রয়েছে। এসব পণ্য স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী শওকত আলী, ওমর ফারুক, মো.
সর্বশেষ গত সোমবার সকালে সাতুরু এবং এমবি হারিকিউ লেছ নামে দুটি পণ্যবাহী বোট ফেরত আসলেও একটি কার্গো বোট আরাকান আর্মি হেফাজতে রয়েছে। তবে ফেরত আসা বোটে ২৭ হাজার ২২২ বস্তা মালামাল রয়েছে।
এক বন্দর ব্যবসায়ী বলেন, ‘আরাকান আর্মি এখনও একটি পণ্যবাহী বোট ছাড়েনি। মূলত তল্লাশির নামে বোটে থাকা অনেক মালামাল খালাস করে চেক করছে। তাদের তল্লাশি এখনও চলছে। দুই-একদিনের মধ্য ছেড়ে দেওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। মূলত কার্গো বোটটির মালিক মিয়ানমারের শীর্ষ এক সেনা কর্মকর্তার ঘনিষ্ঠজন। তার কারনে আরাকান আর্মি চাপ প্রয়োগ দিতে তল্লাশির নামে আটকে রেখেছে। পাশাপাশি আরাকান আর্মি এখন থেকে সীমান্তে বাণিজ্য ভাগ বসাতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।’
এ বিষয়ে আমদানিকারক কায়েছ এন্টারপ্রাইজের মালিক নুরুল কায়েছ সাদ্দাম বলেন, ‘এখনও একটি পণ্যবাহী কার্গো বোট ছাড়েনি। সেখানে আমারসহ অনেকে বিভিন্ন পণ্য রয়েছে। এর আগে দুটি পণ্যবাহী বোট ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু এটি কেন এখনও ছেড়ে দেয়নি সেটি বলা মুশকিল।’
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘এখনও একটি পণ্যবাহী কার্গো ছাড়েনি। এটির খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আর ক ন আর ম এখনও একট ব যবস য় র ও একট
এছাড়াও পড়ুন:
কানাডায় আবারও লিবারেল পার্টির সরকার গঠনের আভাস
কানাডার সাধারণ নির্বাচনে মার্ক কার্নির ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি হাউস অব কমন্সে পর্যাপ্ত ভোট পেয়ে আবারও সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বলে প্রাথমিক ফলাফলে আভাস মিলেছে।
তবে মার্ক কার্নির দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম সিটিভি নিউজ ও সিবিসি।
সিবিসি বলছে, ৩৪৩টি আসনের মধ্যে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে তারাই পরবর্তী সরকার গঠন করতে যাচ্ছে।
চূড়ান্ত ফলাফল জানতে অপেক্ষা করতে হবে ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের ভোটের ফলাফলের জন্য, যেখানে সর্বশেষ ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৩৪৩ আসনের পার্লামেন্টে লিবারেলরা ১৩৩টি আসনে জয়ী হয়েছে বা এগিয়ে রয়েছে। কনজারভেটিভ পার্টি এগিয়ে রয়েছে ৯৩টি আসনে।
দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর কাছ থেকে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই লিবারেল পার্টির বর্তমান নেতা মার্ক কার্নি মার্চে নির্বাচনের ডাক দেন। এই দৌড়ে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ নেতা পিয়েরে পোলিয়েভ্রে।
নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার পর গত মাসে কানাডার পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়, তখন লিবারেলদের আসন ছিল ১৫২টি এবং কনজারভেটিভদের ছিল ১২০টি আসন। বাকি আসনগুলো ব্লক কুইবেকোইস (৩৩), নিউ ডেমোক্র্যাট পার্টি (২৪) এবং গ্রিন পার্টির (২) দখলে ছিল।
বিবিসির এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে সাত মিলিয়নেরও বেশি কানাডিয়ান আগাম ভোট দিয়েছেন।
সোমবার সকাল সাতটায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা) ভোটগ্রহণ শুরু হয়।