নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. মহিউদ্দিন।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দিনব্যাপী চাঁদপুরের হাইমচরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির আয়োজনে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।

কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো.

মহিউদ্দিন বলেন, ‘‘দেশ থেকে বৈষম্য মুক্ত করতে সবাইকে একসঙ্গে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানকে জাগ্রত রাখতে সকল নিপীড়িত মানুষের পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে। প্রত্যেক এলাকার সমস্যাগুলো সমাধান করার লক্ষ্যে আমরা সবাই অঙ্গীকারবদ্ধ।’’ 

আরো পড়ুন:

ওসি-এসি ও প্রো-ভিসির পদত্যাগ চেয়ে আলটিমেটাম ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের

সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে সুবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

তিনি আরো বলেন, ‘‘যদি কেউ সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি, লুটতরাজ, ইভটিজিংসহ সামাজিক কোনো অন্যায় কাজ করে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে গণধোলাই দিয়ে আইনের হাতে তুলে দিন।’’ 

জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সাজ্জাদ হোসাইন ইউনুছ বলেন, ‘‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক কমিটির সুসম্পর্কের মাধ্যমে তৈরি হবে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ। যেখানে থাকবে না কোনো বৈষম্য। বাংলাদেশ হবে উন্নত, স্থিতিশীল রাষ্ট্র। যে রাষ্ট্রের সকলে সমান অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।’’ 

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাইমচর সরকারি কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক মোখলেসুর রহমান মকুল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান তিতাস, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মেহেদী হাসান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় নাগরিক কমিটি হাইমচর প্রতিনিধি আজিজুল হক রাজু, বিল্লাল হোসেন সোহাগ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন হাইমচরের সমন্বয়ক আহসান হাবীব, মিরাজ হোসেন, মো. হারিস, জাহিদ পাটোয়ারী, জাহিদ কোতোয়াল প্রমুখ।

ঢাকা/জয়/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সমন বয়ক

এছাড়াও পড়ুন:

সিরাজ–কৃষ্ণাতে ম্যাচে ফিরল ভারত

অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে মোহাম্মদ সিরাজের মতো আর কোনো পেসার নেই, এভাবে বলাই যায়। কারণ, সিরাজ ও ক্রিস ওকসই এই সিরিজের সব কটি ম্যাচ খেলেছেন। সেই ওকসও ওভাল টেস্টের প্রথম দিনে চোট পেয়ে টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন, টিকে আছেন সিরাজ।

টিকে থাকা সিরাজ কী করেছেন? গতকাল ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে ৮ ওভারের এক স্পেলে ফিরিয়েছেন ওলি পোপ, জো রুট, জ্যাকব বেথেলকে। এরপর আরও এক উইকেট। সিরাজকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন প্রসিধ কৃষ্ণা। দ্বিতীয় সেশনের শেষ ওভারে দুই উইকেটসহ তিনিও নিয়েছেন ৪ উইকেট। ভারতের ২২৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছে ২৪৭ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভারত কাল দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ২ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে। দুই ‘জীবন’ পাওয়া যশস্বী জয়সোয়াল ৫১ ও আকাশ দীপ ৪ রান নিয়ে উইকেটে আছেন।

অথচ কাল প্রথম সেশন শেষে ম্যাচের চিত্র ছিল আলাদা। ইংল্যান্ড প্রথম ১৬ ওভারেই তোলে ১ উইকেটে ১০৯ রান। দুই ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট ৭৭ বলে গড়েন ৯২ রানের জুটি। এমন বাজবলীয় শুরুর পর চিত্র পুরোপুরি বদলে যায় দ্বিতীয় সেশনে। শুরুটা করেন কৃষ্ণা। তাঁর শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন ক্রলি। পরের গল্পটা সিরাজের। প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে ৩১ রান দেওয়া সিরাজকে অধিনায়ক গিল যখন বোলিংয়ে আনেন, তখন ইংল্যান্ডের রান ২৪ ওভারে ২ উইকেটে ১৪২। তিনি একে একে ফেরান দুই সেট ব্যাটসম্যান পোপ (২২), রুটকে (২৯) ও বেথেলকে (৬)। এরপর কৃষ্ণার দুই উইকেটে দ্বিতীয় সেশনটা পুরোপুরি ভারতের হয়ে যায়। ইংল্যান্ড দ্বিতীয় সেশনে ১০৬ রান তুলতে হারায় ৬ উইকেট। তৃতীয় সেশনে আর ৩২ রান যোগ করতে পারে তারা।

আরও পড়ুনকাঁধের চোটে ভারতের বিপক্ষে আর খেলতে পারবেন না ওকস১১ ঘণ্টা আগেলোকেশ রাহুলকে আউট করার পর অ্যাটকিনসনের আনন্দ

সম্পর্কিত নিবন্ধ