জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের (রামেক) সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ছয় নেতাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। হামলার প্রায় ৭ মাস পর মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ এ শাস্তির সিদ্ধান্ত নেয়। 

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ ডা. প্রীতি প্রসূন বড়ুয়া।

 বিভিন্ন মেয়াদে একাডেমিক কার্যক্রম ও মেডিকেল কলেজ ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে একজনকে কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে এবং বাকি ৫ জনকে হোস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। 

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) ঘটনার প্রায় ৭ মাস পর মেডিকেল কলেজের সিট বরাদ্দ কমিটির সমন্বয়ক ড.

হাবিবুল ইসলাম চৌধুরীর স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ শাস্তির কথা বলা হয়। 

শাস্তি পাওয়া নিষিদ্ধ সংগঠনে নেতাকর্মীদের মধ্যে মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক  আয়াত শরীফকে ২ বছরের জন্য কলেজ থেকে এবং আজীবনের জন্য মেডিকেল কলেজ ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। 

তবে বাকি পাঁচজনকে শুধু কলেজ হোস্টেল থেকে ৩ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সপ্তম ব্যাচের শিক্ষার্থী বিক্রম আদিত্য চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক ও অষ্টম ব্যাচের ইমতিয়াজ হোসেন, সৃজন কান্তি দে, সিং সিং এ মং এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও নবম ব্যাচের অভিজিৎ কুমার বৈদ্য।

ওই নোটিশে বলা হয়েছে, ১৬ জুলাই বহিরাগতের সঙ্গে কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে হওয়া সংঘাত ও অপ্রীতিকর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি সত্যতা পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই তাদের কলেজ হোস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।

রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক প্রীতি প্রসূন বড়ুয়া বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন মেয়াদে এ শাস্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঘটনার প্রায় ৭ মাস পর সিট বরাদ্দ কমিটির সমন্বয়ক ডা. হাবিবুল ইসলাম চৌধুরীর ২৬ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত এক নোটিশে মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আয়াত শরীফকে ২ বছরের জন্য কলেজ থেকে এবং আজীবনের জন্য ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ছয় ছাত্রলীগ নেতাকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে।”

ঢাকা/শংকর/বিজয়/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ড ক ল কল জ ছ ত র ম ড ক ল কল জ র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

সিরাজ–কৃষ্ণাতে ম্যাচে ফিরল ভারত

অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে মোহাম্মদ সিরাজের মতো আর কোনো পেসার নেই, এভাবে বলাই যায়। কারণ, সিরাজ ও ক্রিস ওকসই এই সিরিজের সব কটি ম্যাচ খেলেছেন। সেই ওকসও ওভাল টেস্টের প্রথম দিনে চোট পেয়ে টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন, টিকে আছেন সিরাজ।

টিকে থাকা সিরাজ কী করেছেন? গতকাল ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে ৮ ওভারের এক স্পেলে ফিরিয়েছেন ওলি পোপ, জো রুট, জ্যাকব বেথেলকে। এরপর আরও এক উইকেট। সিরাজকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন প্রসিধ কৃষ্ণা। দ্বিতীয় সেশনের শেষ ওভারে দুই উইকেটসহ তিনিও নিয়েছেন ৪ উইকেট। ভারতের ২২৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছে ২৪৭ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভারত কাল দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ২ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে। দুই ‘জীবন’ পাওয়া যশস্বী জয়সোয়াল ৫১ ও আকাশ দীপ ৪ রান নিয়ে উইকেটে আছেন।

অথচ কাল প্রথম সেশন শেষে ম্যাচের চিত্র ছিল আলাদা। ইংল্যান্ড প্রথম ১৬ ওভারেই তোলে ১ উইকেটে ১০৯ রান। দুই ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট ৭৭ বলে গড়েন ৯২ রানের জুটি। এমন বাজবলীয় শুরুর পর চিত্র পুরোপুরি বদলে যায় দ্বিতীয় সেশনে। শুরুটা করেন কৃষ্ণা। তাঁর শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন ক্রলি। পরের গল্পটা সিরাজের। প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে ৩১ রান দেওয়া সিরাজকে অধিনায়ক গিল যখন বোলিংয়ে আনেন, তখন ইংল্যান্ডের রান ২৪ ওভারে ২ উইকেটে ১৪২। তিনি একে একে ফেরান দুই সেট ব্যাটসম্যান পোপ (২২), রুটকে (২৯) ও বেথেলকে (৬)। এরপর কৃষ্ণার দুই উইকেটে দ্বিতীয় সেশনটা পুরোপুরি ভারতের হয়ে যায়। ইংল্যান্ড দ্বিতীয় সেশনে ১০৬ রান তুলতে হারায় ৬ উইকেট। তৃতীয় সেশনে আর ৩২ রান যোগ করতে পারে তারা।

আরও পড়ুনকাঁধের চোটে ভারতের বিপক্ষে আর খেলতে পারবেন না ওকস১১ ঘণ্টা আগেলোকেশ রাহুলকে আউট করার পর অ্যাটকিনসনের আনন্দ

সম্পর্কিত নিবন্ধ