প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ড দ্বীপ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এমনকি গ্রিনল্যান্ড দখল করতে সামরিক শক্তি প্রয়োগের হুমকিও দিয়েছেন। ট্রাম্প গত বছরের নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পাওয়ার পর একাধিকবার এই বিষয়ে কথাও বলেছেন তিনি।

এমন অবস্থায় গ্রিনল্যান্ডে সেনা মোতায়েনের কথা বিবেচনা করছে ফ্রান্স। মঙ্গলবার রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, গ্রিনল্যান্ড অধিগ্রহণের বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ফ্রান্স এবার এই আর্কটিক দ্বীপটিতে সেনা মোতায়েনের কথা বিবেচনা করছে বলে মঙ্গলবার ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-নোয়েল ব্যারোট বলেছেন।

ব্যারোট বলেন, ফ্রান্স ইতোমধ্যেই ডেনমার্কের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে। তবে সেনা মোতায়েনের এই পদক্ষেপ বাস্তবায়নের জন্য তাৎক্ষণিক কোনও পরিকল্পনা নেই বলেও জোর দিয়ে জানিয়েছেন তিনি।

ব্যারোট সুদ রেডিওর সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'এই মুহূর্তে, সেনা মোতায়েন ডেনমার্কের ইচ্ছা নয়। নিরাপত্তা স্বার্থ হুমকির মুখে পড়লে ইউরোপ পদক্ষেপ নেবে।'

গ্রিনল্যান্ড দখলের বিষয়ে ট্রাম্পের ক্রমবর্ধমান আগ্রহকে মোকাবিলায় ডেনমার্ক ইউরোপীয় দেশগুলোর সমর্থন চাওয়ার মধ্যেই ফ্রান্সের পক্ষ থেকে এই মন্তব্যগুলো সামনে এলো। ট্রাম্প আর্কটিক এই দ্বীপের প্রাকৃতিক সম্পদ এবং কৌশলগত মূল্য উল্লেখ করে বলেছেন, 'আমি মনে করি আমরা এটি পেতে যাচ্ছি।'

ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন এবং গ্রিনল্যান্ডের প্রতি যেকোনও ধরনের তাৎক্ষণিক সামরিক হুমকি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি ট্রান্সআটলান্টিক সহযোগিতার গুরুত্বের ওপরও জোর দিয়েছেন।

ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-নোয়েল ব্যারোট আর্কটিক এই অঞ্চলকে 'সংঘাতের নতুন ক্ষেত্র' হিসাবে বর্ণনা করেছেন এবং ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী ফ্রেডেরিকসেন উত্তেজনার আরও বৃদ্ধি এড়িয়ে সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গির ইঙ্গিত দিয়েছেন।

এছাড়া সম্প্রতি আর্কটিকে প্রতিরক্ষায় ২ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে ডেনমার্ক।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

জামায়াতের পর এবার সমাবেশে অংশ নিতে বিশেষ ট্রেন ভাড়া ছাত্রদলের

জামায়াতে ইসলামীর পর এবার বিশেষ ট্রেন ভাড়া করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৩ আগস্ট ছাত্র সমাবেশে অংশ নিতে প্রায় ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে চট্টগ্রাম ছাত্রদল ২০ বগির এই বিশেষ ট্রেন ভাড়া করেছে।  

জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৩ আগস্ট ছাত্র সমাবেশ করবে ছাত্রদল।

এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ২০ বগির একটি বিশেষ ট্রেনের জন্য আবেদন করা হয়। ছাত্রদলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ রেলওয়ে। আগামী রোববার সকাল সোয়া ৭টায় চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে এই ট্রেন ছেড়ে যাবে। আর ঢাকায় পৌঁছাবে বেলা সোয়া ১টায়। এই ট্রেন সন্ধ্যা সাতটায় আবার ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসবে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ২০ বগির ট্রেনটিতে ১ হাজার ১২৬টি আসন রয়েছে। বিশেষ ট্রেন পরিচালনার জন্য রেলওয়ের চট্টগ্রাম, ঢাকা বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা তৌষিয়া আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রদলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রেল ভবনের অনুমোদন সাপেক্ষে বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই কারণে নিয়মিত ট্রেন চলাচলে কোনো সমস্যা হবে না।

চট্টগ্রাম নগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত) সাব্বির আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন,  এই ট্রেনে চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার প্রায় দেড় হাজার নেতা-কর্মী যাবেন। সবাই একসঙ্গে যেতে চাওয়ায় ট্রেন ভাড়া করেছেন। বাসে হলে তা সম্ভব ছিল না।

এর আগে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ করেছিল জামায়াতে ইসলামী। সমাবেশে নেতা-কর্মীদের যাতায়াতের জন্য ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম থেকে চার জোড়া বিশেষ ট্রেন ভাড়া করে দলটি। এই চার ট্রেন ভাড়া করতে দলটিকে গুনতে হয়েছে প্রায় ৩২ লাখ টাকা।

জামায়াতের ট্রেন ভাড়া করা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয় জানায়, বিশেষ ট্রেন পরিচালনায় স্বাভাবিক নিয়মের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ