ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে।

এদিন ডিএসই ও সিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩.

৯১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ১১২ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৭.৯৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৩৭ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ০.৬৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৯৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

আরো পড়ুন:

লভ্যাংশ বিতরণ না করায় ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে ৩ কোম্পানি

নজরদারিতে ৬ ব্রোকারের কার্যক্রম, তদন্ত করবে বিএসইসি

ডিএসইতে মোট ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১২৪টি কোম্পানির, কমেছে ২০৬টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫টির।

এদিন ডিএসইতে মোট ৩১৪ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩২৮ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৫.২২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৭১৪ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৩.৩২ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ৩২২ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৭.৪৪ পয়েন্ট কমে ৯২৪ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৫৩.২৫ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ৮৭০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সিএসইতে মোট ১৯১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৬৫টি কোম্পানির, কমেছে ১০৩টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩টির।

দিনশেষে সিএসইতে ৪ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১০ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

ঢাকা/এনটি/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল খ ট ক র শ য় র ও ইউন ট স এসই ড এসই

এছাড়াও পড়ুন:

লক্ষ্মীপুরে আইনজীবী-কর্মচারী হাতাহাতির ঘটনায় মামলা, পরোয়ানা জারি

লক্ষ্মীপুরের আদালতে আইনজীবী ও কর্মচারীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় মামলা হয়েছে। আহত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর আহত স্টেনোগ্রাফার আশরাফুজ্জামান দুই আইনজীবীকে আসামি করে মামলাটি করেছেন।  

রবিবার (১৫ জুন) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের (সদর-আমলি আদালত) বিচারক আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমানের আদালতে  মামলাটি হয়। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে অভিযুক্ত আইনজীবী আশিকুর রহমান ও মিরাজ পলোয়ানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। 

সোমবার (১৬ জুন) সকালে আদালত পরিদর্শক মো. আবদুল জলিল মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

আরো পড়ুন:

রাজবাড়ী‌তে ২ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১

দৃষ্টিহীন বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. রফিক উল্যাহ আইনজীবীদের বিরুদ্ধে মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “একজন আইনজীবীর বাসার গেট চুরির মামলায় আসামিদের জামিন দেন বিচারক। আসামিদের রিমান্ডের আবেদন ও জামিনের বিরোধিতা করলেও তা আমলে নেননি তিনি। ফলে ন্যায়বিচার পাননি আইনজীবীরা। বিষয়টি জেলা জজসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি এবং ওই বিচারকের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” 

তিনি বলেন, “রবিবার আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে শুধু এজলাসে গিয়ে, ওই আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেই। কোনো হট্টগোল বা হামলা হয়নি।”

রায়পুর প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আহম্মেদ কাউসার উদ্দিন জামানের (৩৫) বিরুদ্ধে গত ৬ জুন সদর থানায় চুরির মামলা দায়ের করেন তারই প্রতিবেশী জেলা জজ আদালতের আইনজীবী আবু তৈয়ব। মামলায় আরো দুইজনকে আসামি করা হয়। আসামি কাউসার ও রুবেল গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন। 

গত ১০ জুন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক এম সাইফুল ইসলাম তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এ নিয়ে তাৎক্ষণিক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান আইনজীবী সমিতির নেতারা ও আইনজীবীরা।

আদালত সূত্র জানায়, ৯ জুন আসামিদের জামিন প্রার্থনা করা হয়। এতে আসামিপক্ষ উল্লেখ করেন, মামলার বাদী আইনজীবী হওয়ায় আদালতে তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী জামিন শুনানিতে অংশ নিতে ইচ্ছুক নন। আসামিরা তাদের পক্ষে আইনজীবী না পেয়ে জামিন শুনানির জন্য লক্ষ্মীপুর লিগ্যাল এইড অফিসে আইনি সহায়তা চান। সেখান থেকে দুইজন আইনজীবীকে শুনানি করতে বলা হলেও তারা হেনস্তার ভয়ে জামিন শুনানিতে অংশ নেননি। 

অন্যদিকে, বাদীপক্ষের আইনজীবী আসামিদের বিরুদ্ধে জামিনের বিরোধিতা করেন। পরদিন ১০ জুন নথি প্রাপ্তি সাপেক্ষে জামিন শুনানির জন্য রাখা হয় এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। বিষয়টি নিয়ে আদালতের পর্যালোচনায় উঠে আসে, ঈদুল আজহার ছুটির কারণে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ৬ জুন আসামিদের গ্রেপ্তারের পর থেকে চার দিন তারা জামিন শুনানির সুযোগ পাননি।

বাদী একজন আইনজীবী হওয়ায় আসামিরা পক্ষে কোনো আইনজীবীও পাননি। ১৪ জুন পর্যন্ত আদালত বন্ধ থাকায় এবং মামলায় জামিন অযোগ্য কোনো গুরুতর অভিযোগ না থাকায় উভয় পক্ষের শুনানি শেষে দরখাস্ত নিষ্পত্তি করে আদালত। 

বিচারক চার দিনের হাজতবাস ও ঈদ বিবেচনায় কাউসার ও রুবেলকে ১০০ টাকার মুচলেকায় একজন গণ্যমান্য ব্যক্তির জিম্মায় জামিন দেন।

এ নিয়ে আইনজীবীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। রবিবার (১৫ জুন) ঈদের ছুটি শেষে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে আইনজীবী সমিতি বিচারক এম সাইফুল ইসলামের আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়। সকালেই সাত-আটজন আইনজীবী বিচারকের কক্ষে ঢুকে বর্জনের ঘোষণা দেন। এ সময় হট্টগোল ও উত্তেজনার সৃষ্টি হলে বিচারক আদালত কর্মচারীদের দরজা বন্ধ করে দিতে বলেন। এসময় আইনজীবী ও কর্মচারীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এজলাসের স্টেনোগ্রাফার আশরাফুজ্জামান আহত হন এবং বিচারক বিচারকার্য শেষ না করেই এজলাস ত্যাগ করেন।

ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ