ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, “নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ যদি ফেব্রুয়ারি মাসে কোনো ধরনের প্রোগ্রাম করার চেষ্টা করে, তাহলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।” 

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) অমর একুশে বইমেলার নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, “আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা আমরা শুনেছি। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন প্রোগ্রাম আসছে। আমরা এসব প্রোগ্রাম প্রতিহত করছি। প্রোগ্রাম তো দিতেই পারে, সেগুলো আমরা প্রতিদিনই মোকাবিলা করে যাচ্ছি। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের অনেক নেতাকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। তারা যদি কোনো প্রোগ্রাম করার পদক্ষেপ নেয়, তাহলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।” 

তিনি বলেন, “ঢাকা শহরে ট্রাফিক অবস্থা খুবই নাজুক। মানুষ খুবই কষ্ট করছে। আমার নিজেরও কষ্ট লাগে। কারণ, এই শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা তো আমি দেখি—মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় আটকে থাকে। ছোট একটা দাবি নিয়ে ২০ জন লোক রাস্তা আটকে দেয়। আমি তাদের বলব, আপনারা ছোট দাবি নিয়ে রাস্তা আটকাবেন না। আপনারা ফুটপাতে অবস্থান করুন। খুবই দুঃখজনক যে, যেকোনো দাবি আদায়ের মোক্ষম স্থল হয়ে গেছে রাস্তা অবরোধ। উত্তরা থেকে রওনা দিয়ে মতিঝিল যেতে ৭ ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে, ভয়ঙ্কর অবস্থা! ক্ষমতার পট পরিবর্তন-পরবর্তী অবস্থায় আমরা আমাদের অবস্থান পরিবর্তন করেছি। আমি এবং আমাদের আইজিপি আপনাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। আমরা বলছি, আমরা কাউকে মারতে চাই না এবং আমরাও মরতে চাই না। আমি ব্রিটিশ পুলিশ না। আমি ব্রিটিশ পুলিশের কমিশনার না। রাস্তার মধ্যে আমার লোককে আমি লাঠি দিয়ে পেটাতে চাই না।” 

অপর প্রশ্নের জবাবে শেখ মো.

সাজ্জাত আলী বলেন, “প্রতিবছর বইমেলাকে কেন্দ্র করে কিছু লেখক বা প্রকাশনী উস্কানিমূলক কিছু বই বের করে। কয়েকটি সমন্বয় সভা করেছি। বাংলা একাডেমির কর্মকর্তাদের আমরা বলেছি, কোনো ধরনের উস্কানিমূলক বই যেন মেলায় না আসে। তারা যেন বই স্ক্যানিং করে মেলায় পাঠায়।” 

সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “এমন কোনো সংবাদ প্রকাশ করবেন না, যাতে জনগণের মনে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হয়। আমরা আমাদের মেকানিজমে ঢাকা শহরকে নিরাপদ রাখার চেষ্টা করি। অনেক মানুষের শহর ঢাকা।” 

ঢাকা/এমআর/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস থ অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ