ছাত্রলীগের কর্মসূচি প্রতিহত করবে পুলিশ
Published: 31st, January 2025 GMT
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, “নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ যদি ফেব্রুয়ারি মাসে কোনো ধরনের প্রোগ্রাম করার চেষ্টা করে, তাহলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।”
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) অমর একুশে বইমেলার নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, “আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা আমরা শুনেছি। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন প্রোগ্রাম আসছে। আমরা এসব প্রোগ্রাম প্রতিহত করছি। প্রোগ্রাম তো দিতেই পারে, সেগুলো আমরা প্রতিদিনই মোকাবিলা করে যাচ্ছি। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের অনেক নেতাকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। তারা যদি কোনো প্রোগ্রাম করার পদক্ষেপ নেয়, তাহলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।”
তিনি বলেন, “ঢাকা শহরে ট্রাফিক অবস্থা খুবই নাজুক। মানুষ খুবই কষ্ট করছে। আমার নিজেরও কষ্ট লাগে। কারণ, এই শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা তো আমি দেখি—মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় আটকে থাকে। ছোট একটা দাবি নিয়ে ২০ জন লোক রাস্তা আটকে দেয়। আমি তাদের বলব, আপনারা ছোট দাবি নিয়ে রাস্তা আটকাবেন না। আপনারা ফুটপাতে অবস্থান করুন। খুবই দুঃখজনক যে, যেকোনো দাবি আদায়ের মোক্ষম স্থল হয়ে গেছে রাস্তা অবরোধ। উত্তরা থেকে রওনা দিয়ে মতিঝিল যেতে ৭ ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে, ভয়ঙ্কর অবস্থা! ক্ষমতার পট পরিবর্তন-পরবর্তী অবস্থায় আমরা আমাদের অবস্থান পরিবর্তন করেছি। আমি এবং আমাদের আইজিপি আপনাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। আমরা বলছি, আমরা কাউকে মারতে চাই না এবং আমরাও মরতে চাই না। আমি ব্রিটিশ পুলিশ না। আমি ব্রিটিশ পুলিশের কমিশনার না। রাস্তার মধ্যে আমার লোককে আমি লাঠি দিয়ে পেটাতে চাই না।”
অপর প্রশ্নের জবাবে শেখ মো.
সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “এমন কোনো সংবাদ প্রকাশ করবেন না, যাতে জনগণের মনে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হয়। আমরা আমাদের মেকানিজমে ঢাকা শহরকে নিরাপদ রাখার চেষ্টা করি। অনেক মানুষের শহর ঢাকা।”
ঢাকা/এমআর/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস থ অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
জামায়াতের পর এবার সমাবেশে অংশ নিতে বিশেষ ট্রেন ভাড়া ছাত্রদলের
জামায়াতে ইসলামীর পর এবার বিশেষ ট্রেন ভাড়া করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৩ আগস্ট ছাত্র সমাবেশে অংশ নিতে প্রায় ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে চট্টগ্রাম ছাত্রদল ২০ বগির এই বিশেষ ট্রেন ভাড়া করেছে।
জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৩ আগস্ট ছাত্র সমাবেশ করবে ছাত্রদল।
এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ২০ বগির একটি বিশেষ ট্রেনের জন্য আবেদন করা হয়। ছাত্রদলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ রেলওয়ে। আগামী রোববার সকাল সোয়া ৭টায় চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে এই ট্রেন ছেড়ে যাবে। আর ঢাকায় পৌঁছাবে বেলা সোয়া ১টায়। এই ট্রেন সন্ধ্যা সাতটায় আবার ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসবে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ২০ বগির ট্রেনটিতে ১ হাজার ১২৬টি আসন রয়েছে। বিশেষ ট্রেন পরিচালনার জন্য রেলওয়ের চট্টগ্রাম, ঢাকা বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা তৌষিয়া আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রদলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রেল ভবনের অনুমোদন সাপেক্ষে বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই কারণে নিয়মিত ট্রেন চলাচলে কোনো সমস্যা হবে না।
চট্টগ্রাম নগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত) সাব্বির আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, এই ট্রেনে চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার প্রায় দেড় হাজার নেতা-কর্মী যাবেন। সবাই একসঙ্গে যেতে চাওয়ায় ট্রেন ভাড়া করেছেন। বাসে হলে তা সম্ভব ছিল না।
এর আগে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ করেছিল জামায়াতে ইসলামী। সমাবেশে নেতা-কর্মীদের যাতায়াতের জন্য ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম থেকে চার জোড়া বিশেষ ট্রেন ভাড়া করে দলটি। এই চার ট্রেন ভাড়া করতে দলটিকে গুনতে হয়েছে প্রায় ৩২ লাখ টাকা।
জামায়াতের ট্রেন ভাড়া করা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয় জানায়, বিশেষ ট্রেন পরিচালনায় স্বাভাবিক নিয়মের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।