সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (ইন্সপেক্টর) ও রাজস্ব কর্মকর্তাদের (সুপারিনটেনডেন্ট) সংগঠন বাংলাদেশ কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাকাএভ) নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে রাজস্ব কর্মকর্তা (সুপারিনটেনডেন্ট) কে এম মাহবুব আলমকে সভাপতি ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (ইন্সপেক্টর) তানভীর আহমেদকে মহাসচিব নির্বাচিত করা হয়েছে। 

শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পুরাতন ভবনে অবস্থিত বাকাএভ কার্যালয়ে রাজস্ব কর্মকর্তা ও বাকাএভ এর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ জোনায়েদ ইকবাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরি সাধারণ সভায় এই কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

কমিটির নির্বাচিত অন্য ব্যক্তিরা হলেন— কার্যকরী সভাপতি মো.

তরিকুল ইসলাম ও মো. মজিবুর রহমান; সহ-সভাপতি মো. শফিউল বসর, মো. লুৎফুল হক, আবদুর রহমান মৃধা, মোহাম্মদ জোনায়েদ ইকবাল, মো. রেদওয়ান উল্যা ভুঁইয়া, আবুল কালাম পলাশ, মো. মাসউদুর রহমান, মো. সবুজ মিয়া, মো. এনামুল হক, মোহাম্মদ জাকির হোসেন, সাদিয়া ইমাম, ফাওজিয়া আক্তার মুক্তা, মো. আবুল কালাম আজাদ, মাসুদ রানা, মুশফেকুর রহমান জোসেফ, মো. রোকনুজ্জামান রাজন। কার্যকরী মহাসচিব শাহ্ মোহাম্মদ যোবায়ের ও ওয়াসিক বিল্লাহ।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূর-এ-আলম, মো. মোজাহিদ খান, এ টি এম মেহেদী হাসান, মো. ওমর ফারুক, মো. ওবায়দুল্লাহ, পঙ্কজ কুমার সাহা, আতাউল ইসলাম, রিয়াজুল হক রিয়াদ। সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন, মনি হাসান মন্ডল, আবু নাইম, রিমন আল রাফি, হাসরাত ইমাম, মো. ওবাইদুর রহমান, রহমত আলী। দপ্তর সম্পাদক মো. শাহাদাৎ হোসেন; সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. ইস্রাফিল হোসেন শিহাব; প্রচার সম্পাদক নাফিস আমীন রিজভী; সহ-প্রচার সম্পাদক মো. লুৎফর রহমান; নারী বিষয়ক সম্পাদক ফাহিমা মেহজাবিন; সহ-নারী বিষয়ক সম্পাদক ফেরদৌসি মাহবুব স্বর্ণা; অর্থ সম্পাদক তাহমিনা আক্তার সুমি; সহ-অর্থ সম্পাদক মো. রাসেল হোসেন; সাংস্কৃতিক সম্পাদক শিবলী নোমানী খান; সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন; ক্রীড়া সম্পাদক মাসুদ আলী; সহ-ক্রীড়া সম্পাদক মনির জামান।

সদস্যরা হলেন—মেহেদী হাসান, সাইদুল ইসলাম সাহেদ, দেবাশীষ রায়, মোশারফ হোসেন রাজু, মো. জামাল হোসেন, মুহাম্মদ হাসানুল আবেদীন, মো. আনিসুর রহমান, মো. মাইনউদ্দিন, মো. সাদরুল হাসান চৌধুরী আকাশ, মো. শামছুল আলম, মাহবুবুর রহমান, মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, আবু শিহান, মিজানুর রহমান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের অধীনে এনবিআরের কাস্টমস ও ভ্যাট অনুবিভাগের মাঠপর্যায়ে সরাসরি রাজস্ব আদায়ে নিয়োজিত ৫ হাজারের অধিক নন ক্যাডার (৯ম গ্রেড-১০ম গ্রেড) রাজস্ব কর্মকর্তা (সুপারিনটেনডেন্ট) ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাদের (ইন্সপেক্টর)সংগঠন বাংলাদেশ কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাকাএভ)। আমাদের মূল কাজ লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সম্মান অক্ষুন্ন রাখা। মাঠপর্যায়ের রাজস্ব কর্মকর্তা ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তারা বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন যাত্রায় গর্বিত অংশীদার।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক স টমস র রহম ন সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নে সড়কের পাশে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১৩ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।

এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত সরকারি রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কাটা ও চুরি করে বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপস্থিত হয়ে দেখেন, কাটা গাছবোঝাই একটি ট্রাক এবং নছিমন জব্দ করেছেন নড়াইল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারী। তখন ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলার আসামিরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খাসজমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দ করা গাছের লগ, ডালপালা এবং আগে কাটা গাছের অবশিষ্ট ভূমিসংলগ্ন গুঁড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে, ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কাটা ও বিক্রি হয়েছে।  

প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।  কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম তাঁকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। পরে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।

মামলা করার আগে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগের ব্যাপার জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কাটার অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।

নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাসজমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ