ছয়টি সংস্কারে ঢাকার খালে শুরু প্রাণ ফেরানোর কাজ
Published: 2nd, February 2025 GMT
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার ১৯টি খাল সংস্কারের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। প্রথম ধাপে ছয়টি খাল সংস্কারের মাধ্যমে শুরু হয়েছে এ কর্মসূচি। গতকাল রোববার ঢাকার মিরপুরে ডিএনসিসির বাউনিয়া খাল পারে সংস্কার কাজের উদ্বোধন করেন তিন উপদেষ্টা।
সড়ক থেকে খালে ভাসমান এক্সক্যাভেটরে লালগালিচা বিছানো হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এর ওপর দিয়ে হেঁটে এক্সক্যাভেটরে পৌঁছে সমন্বিতভাবে খাল সংস্কার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে চলতি বছরের মধ্যেই ঢাকার ১৯ খাল দখল ও দূষণমুক্ত করা হবে জানিয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ঢাকার খালগুলোতে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে হবে। খালগুলো হবে প্রাণকেন্দ্র। খালের আশপাশের বাসাবাড়ির বর্জ্য পরিকল্পিতভাবে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য স্থানীয়দের নিয়ে কমিটি করা হবে। দুই কিলোমিটার পরপর একটি কমিটি থাকবে, তারা তদারকি করবে।
সংস্কার কাজ শুরু হওয়া খালগুলো হলো– ডিএনসিসি এলাকার বাউনিয়া, কড়াইল, রূপনগর ও বেগুনবাড়ি এবং ডিএসসিসি এলাকার মাণ্ডা ও কালুনগর। কার্যক্রমের মধ্যে সীমানা নির্ধারণ, খাল পরিষ্কার, পার সংরক্ষণসহ ব্লু নেটওয়ার্ক নির্মাণ করার কথা রয়েছে।
খালে মাছ ও পারে চাষাবাদের পরিকল্পনা রয়েছে উল্লেখ করে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘কাজ শেষ করতে সময় লাগবে। আমরা শুরু করে দিচ্ছি। খাল খনন হবে আগে; এর পর পুনরুদ্ধার করা হবে। পুনরুদ্ধারের সময় অনেক বাধা আসবে, তা সবাই মিলে রুখতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া অন্তর্বর্তী সরকার ‘সংস্কার এবং বিচারের এজেন্ডা’ নিয়ে কাজ করছে বলে জানান। তিনি বলেন, ‘অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে আমাদের পক্ষে বড় বড় সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। পুরো দেশকে ঠিক করে ফেলা স্বল্প সময়ের মধ্যে সম্ভব নয়। তবে আমরা আপনাদের কিছু মডেল দিয়ে যেতে চাই। নাগরিকদের আমরা কিছু উদাহরণ দেখিয়ে যেতে চাই– এভাবেও কাজ করা সম্ভব।’
এদিকে খাল সংস্কারে ভোর থেকেই বাউনিয়া খাল পারে গোটা দশেক এক্সক্যাভেটর জড়ো করা হয়। দুটি এক্সক্যাভেটর ভাসমান অবস্থায় খালের ভেতর রাখা হয়। বাকিগুলোর সঙ্গে সড়কে সারি দিয়ে রাখা হয় গোটা দশেক ডাম্প ট্রাক। বায়ুদূষণ রোধের ভারী যন্ত্র ছাড়াও ছিলেন অর্ধশত মশক নিধন কর্মী, শতাধিক শ্রমিক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী।
এক্সক্যাভেটরে লালগালিচা বিছানোর খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের কাছেও এক সাংবাদিক প্রশ্ন রাখেন, ‘আগে
মেয়ররা ধুমধাম করে খাল
উদ্ধার কার্যক্রম উদ্বোধন করলেও লালগালিচা থাকত না। আজ তো উপদেষ্টারা খালে নামলেন লালগালিচার ওপর দিয়ে।’ উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি ওটা খেয়াল করিনি।’
পরে গণমাধ্যমে পাঠানো ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন সই করা ব্যাখ্যায় বলা হয়, ভাসমান এক্সক্যাভেটর একটি অস্থায়ী স্থানে রাখা হয়। এতে ওঠার রাস্তা অনেক ঢালু ও কাদামাটির। এক্সক্যাভেটরের মেঝে পিচ্ছিল থাকায় অতিথিদের নিরাপদ যাতায়াত ও চলাচল এলাকা দৃষ্টিগ্রাহ্য করতে একটি লাল রঙের কার্পেটের মতো ম্যাট ব্যবহার করা হয়েছে। এটি কোনো আনুষ্ঠানিক লালগালিচা নয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
সিরাজ–কৃষ্ণাতে ম্যাচে ফিরল ভারত
অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে মোহাম্মদ সিরাজের মতো আর কোনো পেসার নেই, এভাবে বলাই যায়। কারণ, সিরাজ ও ক্রিস ওকসই এই সিরিজের সব কটি ম্যাচ খেলেছেন। সেই ওকসও ওভাল টেস্টের প্রথম দিনে চোট পেয়ে টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন, টিকে আছেন সিরাজ।
টিকে থাকা সিরাজ কী করেছেন? গতকাল ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে ৮ ওভারের এক স্পেলে ফিরিয়েছেন ওলি পোপ, জো রুট, জ্যাকব বেথেলকে। এরপর আরও এক উইকেট। সিরাজকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন প্রসিধ কৃষ্ণা। দ্বিতীয় সেশনের শেষ ওভারে দুই উইকেটসহ তিনিও নিয়েছেন ৪ উইকেট। ভারতের ২২৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছে ২৪৭ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভারত কাল দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ২ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে। দুই ‘জীবন’ পাওয়া যশস্বী জয়সোয়াল ৫১ ও আকাশ দীপ ৪ রান নিয়ে উইকেটে আছেন।
অথচ কাল প্রথম সেশন শেষে ম্যাচের চিত্র ছিল আলাদা। ইংল্যান্ড প্রথম ১৬ ওভারেই তোলে ১ উইকেটে ১০৯ রান। দুই ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট ৭৭ বলে গড়েন ৯২ রানের জুটি। এমন বাজবলীয় শুরুর পর চিত্র পুরোপুরি বদলে যায় দ্বিতীয় সেশনে। শুরুটা করেন কৃষ্ণা। তাঁর শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন ক্রলি। পরের গল্পটা সিরাজের। প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে ৩১ রান দেওয়া সিরাজকে অধিনায়ক গিল যখন বোলিংয়ে আনেন, তখন ইংল্যান্ডের রান ২৪ ওভারে ২ উইকেটে ১৪২। তিনি একে একে ফেরান দুই সেট ব্যাটসম্যান পোপ (২২), রুটকে (২৯) ও বেথেলকে (৬)। এরপর কৃষ্ণার দুই উইকেটে দ্বিতীয় সেশনটা পুরোপুরি ভারতের হয়ে যায়। ইংল্যান্ড দ্বিতীয় সেশনে ১০৬ রান তুলতে হারায় ৬ উইকেট। তৃতীয় সেশনে আর ৩২ রান যোগ করতে পারে তারা।
আরও পড়ুনকাঁধের চোটে ভারতের বিপক্ষে আর খেলতে পারবেন না ওকস১১ ঘণ্টা আগেলোকেশ রাহুলকে আউট করার পর অ্যাটকিনসনের আনন্দ