সিদ্ধিরগঞ্জে ডিএনডি লেকপাড়ে বিএনপির কার্যালয় নির্মাণ নিয়ে দু’গ্রপে উত্তেজনা
Published: 3rd, February 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে ডিএনডির লেকের পাড় সরকারি জমি দখল করে বিএনপির কার্যালয় গড়ে তোলার অভিযোগ অভিযোগ উঠছে নাসিক ১নং ওয়ার্ড এলাকার নাইম ওরফে জিতু নামে এক যুবদল নেতার বিরুদ্ধে।
এঘটনায় এলাকা জুড়ে চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। সোমবার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের পুলস্থ বাজার সংলগ্ন ডিএনডি লেকের পাড় সরকারি জায়গা দলখ করে বিএনপির অফিস করার জন্য ট্রাক দিয়ে বালু, সিমেন্টের পিলার দিয়ে অফিস করার জন্য কাজ শুরু করেন জিতু।
এসময় জুয়েল রানা নামে অপর এক যুবদল নেতা এসে বিএনপির অফিস সরকারি জায়গায় না তোলার জন্য বাধা দেয়। তাদের দুই জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে ব্যপক উত্তেজনা দেখা দেয়।
যুবদল নেতা জুয়েল রানা বলেন সরকারি জায়গা দখল করে বিএনপির কোন অফিস করা যাবেনা। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। একপর্যায়ে জিতু, জুয়েল রানার সাথে অশুভ আচরন করে। এঘটনায় জিতুকে নিয়ে বিভিন্ন নেতাকর্মীরা নিন্দানীয় মন্তব্য করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় জিতু বিএনপির যুবদল নেতা পরিচয়ে বিভিন্ন অপরাধ অপকর্মে করে বেড়াচ্ছে। আর এমন একটি জায়গায় বিএনপির অফিস করার উদ্দেশ্যটা বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হবে বলে এলাকার অনেকে মন্তব্য করেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অফিস কার্যক্রমের জন্য বালু দিয়ে বরাট করে সিমেন্টের পিলার দিয়ে কাজ শুরু করেন জিতু। স্থানীয়রা জানান, যে ব্যাক্তি এখানে বিএনপির অফিস করার জন্য কাজ করছে সে ব্যাক্তি বিএনপির কোন নেতা বা কর্মী হতে পারেনা। সে স্বৈরাচারী আওয়ামী দোসড়াদের ইন্দোনেই এমন কাজ করতে পারে। দলের মান ক্ষুন্ন করার জন্য।
এবিষয় জানতে নাইম ওরফে জিতুর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে পাওয়া যায় নি।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ য বদল ন ত সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’
এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’
এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।