বিপিএলের শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংস। শুক্রবার ফাইনালে গড়াবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার শেষ ধাপ। প্রথম কোয়ালিফায়ারে চিটাগং কিংসকে হারিয়ে সরাসরি ফাইনালে উঠে বরিশাল। এবার ট্রফির লড়াইয়েও তামিমদের সামনে একই প্রতিপক্ষ। ফাইনালের জন্য বরিশাল দলে আগে থেকেই ছিলেন কাইল মায়ার্স। এরপর শুধু ফাইনাল খেলাতে উড়িয়ে আনা হল জিমি নিশামকেও। তবে চিটাগং কোনো নতুন বিদেশি না এনে আগের স্কোয়াডের ওপরই ভরসা রাখছে।

লিগ পর্ব থেকেই বরিশাল ও চিটাগংয়ের লড়াই ছিল নজরকাড়া। শেষ ম্যাচে বরিশালকে হারিয়ে কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নেয় চিটাগং, যেখানে তামিমদের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে যায় তারা। তবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খুলনা টাইগার্সকে নাটকীয়ভাবে হারিয়ে ফের ফাইনালে ওঠে কিংসরা।

বরিশাল এবার শক্তিশালী দল নিয়েই মাঠে নামছে। শুরু থেকেই দলে থাকা ডেভিড মালান ফাইনালের বড় ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আলি প্রথম কোয়ালিফায়ারে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন, নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। আর বিশেষভাবে ফাইনালের জন্যই উড়ে এসেছেন নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার জিমি নিশাম।

অন্যদিকে, চিটাগং কিংস নতুন কোনো বিদেশি আনেনি, বরং পুরনো দল নিয়েই ফাইনালের পরিকল্পনা সাজিয়েছে। গ্রাহাম ক্লার্ক, খাজা নাফে, হোসাইন তালাত ও বিনুরা ফার্নান্দোর ওপর ভরসা রেখেছে তারা। শেষ পর্যন্ত বরিশালের ‘বিদেশি দাপট’ নাকি চিটাগংয়ের পরিচিত কম্বিনেশন- কারা হাসবে শেষ হাসি, সেটিই দেখার অপেক্ষা!

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ

বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এমন নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।

এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফররাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত করা এবং তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।

জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদ

বৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’

‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁরা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তাঁরা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?” আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ