Prothomalo:
2025-08-01@19:02:44 GMT

বোরো উৎপাদন যেন ঝুঁকিতে না পড়ে

Published: 9th, February 2025 GMT

কয়েক দফা বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে আমনের উৎপাদন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এবার ভরা মৌসুমে চালের দাম বেড়েছে। শুল্ক কমিয়ে আমদানির অনুমোদন দেওয়ার পরও বাজারে চালের দাম আগের অবস্থায় ফেরানো যায়নি। যদিও বাস্তবে কতটা সংকট আর কতটা মিলমালিক ও বড় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সৃষ্ট সংকট, তা নিয়ে বড় প্রশ্ন রয়েই গেছে। কেননা, বেসরকারি সংস্থা সিপিডির গবেষণা বলছে, কৃষক যে ধান ৩৩ টাকা কেজিতে বিক্রি করেন, ভোক্তাকে সেই চাল ৬৮ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এর অর্থ হচ্ছে, সরকার বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

বাংলাদেশের বাজার ব্যবস্থাপনা ও তদারকি কৌশল এতটাই নাজুক যে সিন্ডিকেট করে যেকোনো পক্ষই বাজারে কারসাজি করতে সক্ষম। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে না পারায় ধানের মতো প্রধান খাদ্যশস্যের উৎপাদন যেন কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়, সেদিকে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করাটা জরুরি। কেননা বোরোর উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হলে অবধারিতভাবে চালের বাজার আরও চড়ার ঝুঁকি থেকে যায়।

অন্তর্বর্তী সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয় এই ঝুঁকিটা আদৌ বুঝতে পারছে কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। কেননা বোরো উৎপাদনের প্রধান একটি কেন্দ্র হলো সুনামগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ অঞ্চলের বিস্তীর্ণ হাওর অঞ্চল। আগাম বন্যা, অতিবৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হাওরে ফসলহানির ঘটনা নিয়মিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এ ধরনের বিপর্যয়ের পেছনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি মানবসৃষ্ট কারণও কম দায়ী নয়। কেননা, ফি বছরই ফসল রক্ষা বাঁধ সংস্কার ও পুনর্নির্মাণের প্রকল্পগুলো সময়মতো শুরু হয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হয় না। এবারও এর ব্যতিক্রম খুব একটা নেই।

এর মধ্যে আবার মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও মধ্যনগরে ১৩টির মধ্যে ১১টি জলকপাট বিকল হয়ে রয়েছে। ফলে প্রায় সাড়ে চার হাজার হেক্টর জমির বোরোর আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কয়েক হাজার কৃষক। প্রথম আলোর ধর্মপাশা প্রতিনিধি সরেজমিনে জরাজীর্ণ জলকপাট দেখতে পেয়েছেন। স্থানীয় লোকজন জানান, কয়েক বছর ধরে জোড়াতালি দিয়ে জলকপাটগুলো মেরামত করা হচ্ছে। ফলে কিছুদিন না যেতেই সেগুলো বিকল হয়ে পড়ছে।

সুনামগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, জলকপাটগুলো মেরামতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা মনে করি, জরুরি ভিত্তিতে জলকপাটগুলো মেরামত করা হোক। টেকসই জলকপাট নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হোক। কোনোভাবেই বোরো ধানের উৎপাদন যেন ঝুঁকিতে না পড়ে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবস সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সিরাজ–কৃষ্ণাতে ম্যাচে ফিরল ভারত

অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে মোহাম্মদ সিরাজের মতো আর কোনো পেসার নেই, এভাবে বলাই যায়। কারণ, সিরাজ ও ক্রিস ওকসই এই সিরিজের সব কটি ম্যাচ খেলেছেন। সেই ওকসও ওভাল টেস্টের প্রথম দিনে চোট পেয়ে টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন, টিকে আছেন সিরাজ।

টিকে থাকা সিরাজ কী করেছেন? গতকাল ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে ৮ ওভারের এক স্পেলে ফিরিয়েছেন ওলি পোপ, জো রুট, জ্যাকব বেথেলকে। এরপর আরও এক উইকেট। সিরাজকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন প্রসিধ কৃষ্ণা। দ্বিতীয় সেশনের শেষ ওভারে দুই উইকেটসহ তিনিও নিয়েছেন ৪ উইকেট। ভারতের ২২৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছে ২৪৭ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভারত কাল দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ২ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে। দুই ‘জীবন’ পাওয়া যশস্বী জয়সোয়াল ৫১ ও আকাশ দীপ ৪ রান নিয়ে উইকেটে আছেন।

অথচ কাল প্রথম সেশন শেষে ম্যাচের চিত্র ছিল আলাদা। ইংল্যান্ড প্রথম ১৬ ওভারেই তোলে ১ উইকেটে ১০৯ রান। দুই ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট ৭৭ বলে গড়েন ৯২ রানের জুটি। এমন বাজবলীয় শুরুর পর চিত্র পুরোপুরি বদলে যায় দ্বিতীয় সেশনে। শুরুটা করেন কৃষ্ণা। তাঁর শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন ক্রলি। পরের গল্পটা সিরাজের। প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে ৩১ রান দেওয়া সিরাজকে অধিনায়ক গিল যখন বোলিংয়ে আনেন, তখন ইংল্যান্ডের রান ২৪ ওভারে ২ উইকেটে ১৪২। তিনি একে একে ফেরান দুই সেট ব্যাটসম্যান পোপ (২২), রুটকে (২৯) ও বেথেলকে (৬)। এরপর কৃষ্ণার দুই উইকেটে দ্বিতীয় সেশনটা পুরোপুরি ভারতের হয়ে যায়। ইংল্যান্ড দ্বিতীয় সেশনে ১০৬ রান তুলতে হারায় ৬ উইকেট। তৃতীয় সেশনে আর ৩২ রান যোগ করতে পারে তারা।

আরও পড়ুনকাঁধের চোটে ভারতের বিপক্ষে আর খেলতে পারবেন না ওকস১১ ঘণ্টা আগেলোকেশ রাহুলকে আউট করার পর অ্যাটকিনসনের আনন্দ

সম্পর্কিত নিবন্ধ