বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন নিয়ে গোলযোগ হয়েছে। আলাদা করে দুটি কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। উভয় পক্ষে অধ্যাপক বদিউর রহমানকে সভাপতি ঘোষণা করা হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক পদে এক পক্ষে জামশেদ আনোয়ার তপন এবং আরেক পক্ষে বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার উদীচীর সহসাধারণ সম্পাদক ইকবালুল হক খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অধ্যাপক বদিউর রহমানকে সভাপতি ও জামশেদ আনোয়ার তপনকে সাধারণ সম্পাদক করে উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। শনিবার শিশু একাডেমি মিলনায়তনে তিন দিনের সম্মেলনের শেষ দিনে কাউন্সিলে সারা দেশ থেকে আগত প্রতিনিধিদের প্রত্যক্ষ ভোটে তারা নির্বাচিত হন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমরা তো লড়ছি সমতার মন্ত্রে, থামব না কখনো শত ষড়যন্ত্রে’ স্লোগান ধারণ করে ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংগঠনটির ২৩তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন হয়। এর পরদিন থেকে শিশু একাডেমি মিলনায়তনে চলে কাউন্সিল অধিবেশন। সারা দেশ থেকে সাড়ে পাঁচ শর বেশি প্রতিনিধি এ সম্মেলনে অংশ নেন। শনিবার ছিল হাবিবুল আলমের সভাপতিত্বে কাউন্সিলের শেষ দিন। কো-অপশনের জন্য চারটি সদস্য পদ শূন্য রেখে কাউন্সিলের বিষয় নির্বাচনী কমিটি ৮৭ জনের নাম ঘোষণা করলে প্রতিনিধিদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে উদীচীর ৯১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি অনুমোদিত হয়।

জামশেদ আনোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দেশের অধিকাংশ জেলার প্রতিনিধিসহ সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিনিধির সমর্থনে তাঁদের কমিটি করা হয়েছে।

অন্যদিকে কংকন নাগ স্বাক্ষরিত অপর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্মেলন শেষে অধ্যাপক বদিউর রহমানকে সভাপতি ও অমিত রঞ্জন দেকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কেন্দ্রীয় সংসদ ঘোষণা করা হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সম্মেলনে সভাপতি হাবিবুল আলম পুরোপুরি অগণতান্ত্রিক ও উদীচীর গঠনতন্ত্রের বিরুদ্ধে গিয়ে জোর করে নতুন কমিটি নির্বাচিত বলে ঘোষণা দেন। তাঁরা সম্মেলনে গোলযোগ সৃষ্টি করে সম্মেলনকেন্দ্র ত্যাগ করেন। বিবৃতিতে বলা হয়, তাঁদের পূর্ণাঙ্গ কমিটির নাম পরে ঘোষণা করা হবে। কংকন নাগের সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানান, তিনি সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে আছেন। তাঁর পদ পরে নির্ধারণ করা হবে। তিনি বলেন, গঠনতন্ত্র অনুসারেই তাঁরা কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করেছেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দুই উপদেষ্টার গড়ি আটকে বিক্ষোভের ঘটনায় ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র জাফলংয়ে দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে বিক্ষোভের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।

বেআইনিভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে অবৈধভাবে গতিরোধ করা, সরকারি কাজে বাধা ও বিশৃঙ্খলার অভিযোগে রোববার রাতে গোয়ানঘাট থানায় ১৫০ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন থানার এসআই ওবায়েদ উল্লাহ। মামলার পর সোমবার ভোরে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা হলেন- মামলার ৬নং আসামি কালিনগরের দেলোয়ার হোসেন দুলু, মোহাম্মদপুরের শাহজাহান মিয়া ও ছৈলাখেল অষ্টম খন্ডের বাসিন্দা ফারুক আহমেদ।

শনিবার সকালে জাফলং এলাকা পরিদর্শনে যান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তারা ফেরার পথে জাফলং পাথর কোয়ারি চালুর দাবিতে বিএনপির সংগঠনের নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে দুই উপদেষ্টার আটকে নানান স্লোগানে বিক্ষোভ করা হয়। ঘটনার পর গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ খানকে বহিষ্কার ও জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি আজির উদ্দিনকে শোকজ করেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।

গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমদ তিনজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সমকালকে জানান, গতকাল রাতে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সদ্য বহিষ্কৃত গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ খানকে। দ্বিতীয় আসামি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আজির উদ্দিন। অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- সোহেল আহমদ, ওমর ফারুক, সুমন শিকদার, দেলোয়ার হোসেন দুলু, আব্দুস সালাম ও আব্দুল জলিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ