জাতীয় নাগরিক কমিটির ৭৫ সদস্যের প্রবাসী কমিটি ঘোষণা
Published: 9th, February 2025 GMT
এবার কেন্দ্রীয় প্রবাসী কমিটি ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। চারটি মহাদেশের ৩০টি দেশের ৭৫ জন প্রবাসীকে এই কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে লুণ্ঠিত ও পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে ক্যাম্পেইন করা ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক, শিক্ষামূলক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় সহজ করতে এই কমিটি কাজ করবে। পাশাপাশি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অসামান্য ভূমিকা রাখা রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে এই কমিটি কাজ করবে বলে জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরের রুপায়ন টাওয়ারে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী কমিটি ঘোষণা করেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা ও প্রবাসীবিষয়ক সম্পাদক এহতেশাম হক।
জাতীয় নাগরিক প্রবাসী কমিটিতে যাঁদের স্থান দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন আব্দুর রাকীব সামি, আবু সালমান মুরাদ, আবুল বাশার রহমান, আল আমিন, আলমগীর চৌধুরী আকাশ, আলমগীর হোসেন, এনামুল হক এনাম, দেওয়ান সাহাব-উদ্দীন, দিলশানা পারুল, ইসরাত জাহান চৌধুরী, ফখরুল ইসলাম, ফারিয়া ফাহি, হাসানুল বান্না, ইমা ইসলাম, ইসলামুল হক, ইশতিয়াক আকিব, কাজী জহিরুল ইসলাম, খালেদ আহমদ, খালেদ রিদওয়ান চৌধুরী, খালিদ ইয়াহইয়া, খন্দকার আলী কাওসার, এম ফয়সাল রিয়াদ, মাহমুদুল হাসান মিলাদ, মাকসুদুল হক, মনজুরুল মাহমুদ ধ্রুব, মারজুক আহমাদ, আনিসুর রহমান, আনোয়ার হুসাইন, আরিফুল ইসলাম, ইশতিয়াক আহমেদ সাগর, যুবাইর সরদার, মো.
এই কমিটিতে আরও আছেন মো. বাবুল মিয়া, মিম আরাফাত মানব, মেহরাব বখতিয়ার, মীর আবরার হানিফ, মো. আরিফুর রহমান, হামেদ, ইফতেশাম চৌধুরী, মুহাম্মদ শহিদুল আলম, মঈন উদ্দিন হেলালী তৌহিদ, মুনির উদ্দিন আহমেদ, মুনা হাফসা, মুনতাসীর মামুন, নাফিসা রায়হানা, নাহিয়ান বিন খালেদ, নাজমুল বাশার, নাজমুল হোসেন, নজরুল ইসলাম বিপ্লব, নুরুল হুদা জুনেদ, ওমর ফারুক, ওমর আহমেদ ঢালি, পাবেল চৌধুরী, রাশেদুল ইসলাম, সাইফ ইবনে সারওয়ার, সালওয়া শামস, শাহ মোহাম্মদ বাহাউদ্দীন, শাম্মা জাবীন প্রমা, শারমিন আহমেদ হ্যাপি, সওগাত শারমীন কুতুবী, সৈয়দ মুশফিকুর রহমান, তাজুল ইসলাম শামীম, তারেক আজিজ বাপ্পী, তৌকির আজিজ, তনিমা তাসনিম অনন্যা, উল্লাস জায়েদ, জাফরুল হাসান, জাহিন রাইদাহ মাইশা ও জিয়াউল হাশেম।
কমিটি ঘোষণার সময় তাসনিম জারা বলেন, ‘এই কমিটিতে আমরা পেয়েছি জ্যোতির্বিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা, নিউরোসার্জন, একাডেমিশিয়ান, ডেটা অ্যানালিস্ট, কর্মী, ইমাম ও ব্যবসায়ী। তাঁদের সবার সংকল্প বাংলাদেশ পুনর্গঠনে অবদান রাখা। তাঁরা বাংলাদেশের মেধা, সাহস ও শক্তির প্রতিচ্ছবি।
প্রবাসীদের মধ্যে ‘রিভার্স ব্রেইন ড্রেইন’ নিয়ে একটি আন্দোলন শুরু করার আহ্বান জানান এহতেশাম হক। তিনি বলেন, ‘আমি চাই, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা প্রতিটি প্রবাসী বাংলাদেশি দেশের জন্য তাঁদের মূল্যবান জ্ঞান ও দক্ষতাকে কাজে লাগান। বাংলাদেশ ২.০ গড়ার পথে এটি একটি অপরিহার্য পদক্ষেপ।’
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, জুলাই বিপ্লবের চালিকা শক্তি ছিল মানুষ এবং এই প্রবাসী কমিটি সেই শক্তিরই একটি সম্প্রসারণ। তাঁরা শুধু প্রবাসে বসে দেশের জন্য চিন্তা করেন না, তাঁরা দেশের জন্য কাজ করতেও প্রস্তুত।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন ও যুগ্ম সদস্যসচিব এস এম সাইফ মোস্তাফিজ।
প্রবাসী কমিটি গঠনে কাজ করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য ফরহাদ আলম ভূঁইয়া, তাওহিদ তানজিম, আজহার উদ্দিন অনিক, মনিরা শারমিন, অরণি সেমন্তি খান, সাইফ মোস্তাফিজ, এস এম সুজা, এহতেশাম হক। দলটির নেতৃত্ব দেন তাসনিম জারা ও মোহাম্মদ আতাউল্লাহ।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল ইসল ম র রহম ন কম ট ত ক জ কর আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
আসামিদের হুমকিতে অসহায় মা, নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি
খুলনা মহানগরীর লবণচরার বাংলাদেশ সী ফুডস রোড এলাকার ঘের ব্যবসায়ী মো. আলমগীর হোসেন বিদ্যুৎ (২৪) হত্যা মামলার বিচার কাজ এক যুগ অতিবাহিত হলেও এখনো শেষ হয়নি। মামলার দীর্ঘ সূত্রিতার কারণে আসামিরা জামিনে বের হয়ে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন নিহতের পরিবারকে। তাদের বিরুদ্ধে বাদীর অপর ছেলেকে হত্যার ভয়-ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে।
এ অবস্থায় সাক্ষীদের নিরাপত্তা দিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণের ব্যবস্থা এবং আসামিদের অপতৎপরতা থেকে রক্ষা করে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির আহ্বান জানিয়েছেন নিহত বিদ্যুতের মা জাহানারা বেগম। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিচার বিভাগ, পুলিশ বিভাগ ও সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আরো পড়ুন:
কেএমপির ৮ থানার ওসি রদবদল
জলবায়ু পরিবর্তন আজকের বিশ্বের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ: ইইউ রাষ্ট্রদূত
লিখিত বক্তব্যে জাহানারা বেগম বলেন, “২০১২ সালের ৪ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীরা আমার ছোট ছেলে মো. আলমগীর হোসেন ওরফে বিদ্যুৎকে (২৪) নগরীর খানজাহান আলী (র.) সেতু এলাকায় নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনার পর ৭ ডিসেম্বর আমি বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় হত্যা মামলা করি (মামল নং- ০৩)। মামলাটি বর্তমানে খুলনা মহানগর দায়রা জজ (মামলা নং: ৪৪৯/১৫) বিচারাধীন আছে।”
“মামলায় লবণচরা বাংলাদেশ সী ফুডস রোড এলাকার নাজিম খলিফার দুই ছেলে আরমান খলিফা ও আরিফ খলিফা, লবণচরা মোহাম্মদীয়া পাড়া মসজিদ এলাকার আব্দুল জলিল হাওলাদারের ছেলে হারুন হাওলাদার, লবণচরা ইব্রাহীমিয়া মাদরাসা রোড এলাকার হামিদ মিস্ত্রীর ছেলে মো. সিরাজ এবং লবণচরা মোক্তার হোসেন রোড এলাকার হযরত আলী ফকিরের ছেলে বাদল ফকিরকে আসামি করা হয়। এ মামলায় আসামিরা বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারেও ছিলেন। আসামিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে জেল থেকে বের হয়ে মামলা তুলে নিতে নানাভাবে হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছে। এই সব আসামিদের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় বিভিন্ন মামলাও রয়েছে”, যোগ করেন তিনি।
জাহানারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, “আমার কলিজার টুকরো সন্তানকে হত্যা করেও সন্ত্রাসীরা ক্ষ্যান্ত হয়নি। উপরন্ত জামিনে মুক্তি পেয়ে তারা এখন মামলা তুলে নিতে আমি ও আমার এক মাত্র সন্তান এবং মামলার স্বাক্ষীদের জীবননাশসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে বারবার সাধারণ ডায়রি (জিডি) করার ফলে হত্যাকারী-সন্ত্রাসীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। যে কোন সময় তারা আমি ও আমার বড় ছেলেসহ আমার পরিবারের সদস্যদের বড় ধরণের ক্ষতি করতে পারে। এ অবস্থায় আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছি।”
তিনি আরো বলেন, “হত্যাকারী-আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমি এখন পর্যন্ত খুলনা ও লবণচরা থানায় চারটি সাধারণ ডায়রি করেছি। সর্বশেষ গত ৩ মার্চও আমি লবণচরা থানায় জিডি করি। কারণ ২ মার্চ দুপুরে মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রধান আসামি আরমান তার ভাই আরিফ এবং অপর আসামি জুয়েল শেখ, হারুন হাওলাদার, সিরাজ ও বাদল ফকিরসহ আরো অনেকে আমার বাসার সামনে এসে মামলা তুলে নেয়ার জন্য ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। এমনকি তারা আমাকে ও আমার বড় ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন বিপ্লবকেও হত্যা করবেন বলেও হুমকি দেয়। এ ছাড়া, একই ধরণের ভয়ভীতি ও হুমকির কারণে আমি ২০১৪ সালের ৪ মার্চ ও ২ মে খুলনা থানায় এবং একই বছরের ৪ মে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে লবণচরা থানায় সাধারণ ডায়রি করি।”
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ