এবার কেন্দ্রীয় প্রবাসী কমিটি ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। চারটি মহাদেশের ৩০টি দেশের ৭৫ জন প্রবাসীকে এই কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের শাসনামলে লুণ্ঠিত ও পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে ক্যাম্পেইন করা ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক, শিক্ষামূলক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় সহজ করতে এই কমিটি কাজ করবে। পাশাপাশি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অসামান্য ভূমিকা রাখা রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে এই কমিটি কাজ করবে বলে জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।

আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরের রুপায়ন টাওয়ারে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী কমিটি ঘোষণা করেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা ও প্রবাসীবিষয়ক সম্পাদক এহতেশাম হক।

জাতীয় নাগরিক প্রবাসী কমিটিতে যাঁদের স্থান দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন আব্দুর রাকীব সামি, আবু সালমান মুরাদ, আবুল বাশার রহমান, আল আমিন, আলমগীর চৌধুরী আকাশ, আলমগীর হোসেন, এনামুল হক এনাম, দেওয়ান সাহাব-উদ্দীন, দিলশানা পারুল, ইসরাত জাহান চৌধুরী, ফখরুল ইসলাম, ফারিয়া ফাহি, হাসানুল বান্না, ইমা ইসলাম, ইসলামুল হক, ইশতিয়াক আকিব, কাজী জহিরুল ইসলাম, খালেদ আহমদ, খালেদ রিদওয়ান চৌধুরী, খালিদ ইয়াহইয়া, খন্দকার আলী কাওসার, এম ফয়সাল রিয়াদ, মাহমুদুল হাসান মিলাদ, মাকসুদুল হক, মনজুরুল মাহমুদ ধ্রুব, মারজুক আহমাদ, আনিসুর রহমান, আনোয়ার হুসাইন, আরিফুল ইসলাম, ইশতিয়াক আহমেদ সাগর, যুবাইর সরদার, মো.

জুবায়েদ, মোহাইমিন আল বরাত, মনির হোসেন, নাফিজ রেজা সজীব, রিদওয়ান হোসেন তালুকদার, সাদ্দাম হোসাইন এবং সাকিব হোসেন।
এই কমিটিতে আরও আছেন মো. বাবুল মিয়া, মিম আরাফাত মানব, মেহরাব বখতিয়ার, মীর আবরার হানিফ, মো. আরিফুর রহমান, হামেদ, ইফতেশাম চৌধুরী, মুহাম্মদ শহিদুল আলম, মঈন উদ্দিন হেলালী তৌহিদ, মুনির উদ্দিন আহমেদ, মুনা হাফসা, মুনতাসীর মামুন, নাফিসা রায়হানা, নাহিয়ান বিন খালেদ, নাজমুল বাশার, নাজমুল হোসেন, নজরুল ইসলাম বিপ্লব, নুরুল হুদা জুনেদ, ওমর ফারুক, ওমর আহমেদ ঢালি, পাবেল চৌধুরী, রাশেদুল ইসলাম, সাইফ ইবনে সারওয়ার, সালওয়া শামস, শাহ মোহাম্মদ বাহাউদ্দীন, শাম্মা জাবীন প্রমা, শারমিন আহমেদ হ্যাপি, সওগাত শারমীন কুতুবী, সৈয়দ মুশফিকুর রহমান, তাজুল ইসলাম শামীম, তারেক আজিজ বাপ্পী, তৌকির আজিজ, তনিমা তাসনিম অনন্যা, উল্লাস জায়েদ, জাফরুল হাসান, জাহিন রাইদাহ মাইশা ও জিয়াউল হাশেম।

কমিটি ঘোষণার সময় তাসনিম জারা বলেন, ‘এই কমিটিতে আমরা পেয়েছি জ্যোতির্বিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা, নিউরোসার্জন, একাডেমিশিয়ান, ডেটা অ্যানালিস্ট, কর্মী, ইমাম ও ব্যবসায়ী। তাঁদের সবার সংকল্প বাংলাদেশ পুনর্গঠনে অবদান রাখা। তাঁরা বাংলাদেশের মেধা, সাহস ও শক্তির প্রতিচ্ছবি।

প্রবাসীদের মধ্যে ‘রিভার্স ব্রেইন ড্রেইন’ নিয়ে একটি আন্দোলন শুরু করার আহ্বান জানান এহতেশাম হক। তিনি বলেন, ‘আমি চাই, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা প্রতিটি প্রবাসী বাংলাদেশি দেশের জন্য তাঁদের মূল্যবান জ্ঞান ও দক্ষতাকে কাজে লাগান। বাংলাদেশ ২.০ গড়ার পথে এটি একটি অপরিহার্য পদক্ষেপ।’

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, জুলাই বিপ্লবের চালিকা শক্তি ছিল মানুষ এবং এই প্রবাসী কমিটি সেই শক্তিরই একটি সম্প্রসারণ। তাঁরা শুধু প্রবাসে বসে দেশের জন্য চিন্তা করেন না, তাঁরা দেশের জন্য কাজ করতেও প্রস্তুত।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন ও যুগ্ম সদস্যসচিব এস এম সাইফ মোস্তাফিজ।

প্রবাসী কমিটি গঠনে কাজ করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য ফরহাদ আলম ভূঁইয়া, তাওহিদ তানজিম, আজহার উদ্দিন অনিক, মনিরা শারমিন, অরণি সেমন্তি খান, সাইফ মোস্তাফিজ, এস এম সুজা, এহতেশাম হক। দলটির নেতৃত্ব দেন তাসনিম জারা ও মোহাম্মদ আতাউল্লাহ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল ইসল ম র রহম ন কম ট ত ক জ কর আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা

দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্স টাউনে মুক্তিপণ না পেয়ে মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন ইকবাল নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) কুইন্সটাউনের একটি জঙ্গল থেকে আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ পাওয়া যায়।

নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদরের আলীরটেক এলাকায়।

আরো পড়ুন:

বগুড়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ

স্বজনেরা জানান, গত ২ জুন অপহরণকারীরা নিহতের পরিবারের কাছে প্রথমে ৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে এক কোটি টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, আলমগীর হোসেন ইকবাল দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করে আসছিল। সেখানে তার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইকবালের পরিবারে মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। তারা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরে বসবাস করে আসছিলেন।

নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের ভগ্নীপতি শরিফুর রহমান ঢালী বলেন, ‘‘গত ২ জুন রাত ১০টার দিকে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়ি থেকে মালামাল আনলোড করার সময় ৪ জন অপহরণকারী ইকবালকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দুদিন পরে ইকবালের স্ত্রীর ফোন নাম্বারে কল করে সাউথ আফ্রিকান ৫০ লাখ (বাংলাদেশি টাকায় ৫ কোটি টাকা) দাবি করে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘একাধিকবার কথা বলার পরিবার এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অপহরণকারীরা সর্বশেষ এক কোটি টাকা দাবি করে। কিন্তু, পরিবার এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করে। ১২ জুন একটি জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আগামী ১৫ জুন রাতে কাতার এয়ারওয়েজে নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ দেশে আসবে।’’

ঢাকা/অনিক/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দৃষ্টিহীন বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গেপ্তার ২
  • বিএনপির সঙ্গে চীনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
  • মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
  • হবিগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
  • নাটক প্রকাশ নিয়ে নিলয়ের ক্ষোভ, যা জানাল দীপ্ত কর্তৃপক্ষ
  • শিল্পী-নির্মাতাকে না জানিয়ে ইউটিউবে নাটক প্রকাশ, নিলয়ের ক্ষোভ
  • শিল্পী-নির্মাতাকে না জানিয়ে নাটক রিলিজ, নিলয়ের ক্ষোভ
  • চাকরির নামে ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠানো চক্রের হোতা গ্রেপ্তার
  • বিদেশে চাকরির নামে যুবকদের পাঠানো হতো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে, চক্রের ‘হোতা’ গ্রেপ্তার
  • ঈদ পুনর্মিলনীর নামে বিএনপির আয়োজনে আ.লীগের মিলনমেলার অভিযোগ