যোবায়ের শাওনের কাব্যগ্রন্থ ‘রাষ্ট্র বনাম অ্যামিবা’
Published: 10th, February 2025 GMT
অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে কবি ও নির্মাতা যোবায়ের শাওনের ষষ্ঠ কবিতার বই ‘রাষ্ট্র বনাম অ্যামিবা’। প্রকাশ করেছে খড়িমাটি প্রকাশনী। প্রচ্ছদ করেছেন রাজীব দত্ত।
‘রাষ্ট্র বনাম অ্যামিবা’ বইয়ে কবিতা আছে ৩৬টি। মানুষ, প্রাণ ও প্রকৃতির সাথে রাষ্ট্র এবং তার বহুবিধ নিপীড়নের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগুলোর সম্পর্ক ও সম্পর্কহীনতার যে দ্বন্দ্ব, সেসব বিষয় নিয়েই কবিতাগুলোর নির্মাণ।
কবি যোবায়ের শাওন বলেছেন, “অ্যামিবা তো প্রাণের ধারক! আর প্রাণের নিয়ন্ত্রণ আকাঙ্ক্ষী হয়েই রাষ্ট্রের জন্ম। সে প্রাণ-প্রকৃতি-প্রতিবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। নিজের বানানো নিয়মে পরিচালনা করতে চায়। ফলে, কখনো সম্পর্ক তৈরি হয়, কখনো অনিবার্য সংঘাত। রাষ্ট্রের সাথে এই প্রাণের অনন্ত দ্বন্দ্ব চলতে থাকে। এমন দ্বন্দ্বের, এমন আজন্ম বৈপরীত্যের স্মারক হয়েই নির্মিত হয়েছে গ্রন্থভুক্ত কবিতাগুলো।”
আরো পড়ুন:
‘রেজা নুর: চন্দন বনের ঐশ্বর্য’ সংকলনের মোড়ক উন্মোচন
বইমেলায় কবীর আলমগীরের ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগের পতন’
খড়িমাটি প্রকাশনীর কর্ণধার, কবি ও প্রকাশক মনিরুল মনির বলেছেন, “যোবায়ের শাওন তরুণ সম্ভাবনাময় কবি। এছাড়া আমি অতঃপর শব্দায়নের কথাও বলতে চাই। তিনিসহ বেশকিছু প্রতিভাবান তরুণ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করছেন। আমি মনে করি, তার কবিতার মূল চরিত্র হলো কাল বা সময়। খড়িমাটি থেকে এটি তার দ্বিতীয় কবিতার বই। কবিতার বিষয়, ভাব ও ভাষা নিয়ে তার নিজস্বতা তৈরি হয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে।”
বইমেলায় ‘রাষ্ট্র বনাম অ্যামিবা’ বইটি পাওয়া যাবে খড়িমাটি প্রকাশনীর ৪৫-৪৬ নম্বর স্টলে এবং অনলাইনে।
যোবায়ের শাওনের অন্য কবিতার বইগুলো হলো— হেমলক হাতে বসে আছি [২০১৮, যুক্ত প্রকাশন], মৃত্যু আমাদের প্রতিবেশী [২০২০, খড়িমাটি প্রকাশনী], মালিকানা বিষয়ক ধারণার নবায়ন [২০২২, অনুভব প্রকাশনী] এবং নবান্ন প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ব্যক্তিগত পুলসিরাত [২০২৩] ও এক যোগ এক সমান এক [২০২৪]।
ঢাকা/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বইম ল র ষ ট র বন ম অ য ম ব
এছাড়াও পড়ুন:
রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের
নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকা/রূপায়ন/বকুল