অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে কবি ও নির্মাতা যোবায়ের শাওনের ষষ্ঠ কবিতার বই ‘রাষ্ট্র বনাম অ্যামিবা’। প্রকাশ করেছে খড়িমাটি প্রকাশনী। প্রচ্ছদ করেছেন রাজীব দত্ত।

‘রাষ্ট্র বনাম অ্যামিবা’ বইয়ে কবিতা আছে ৩৬টি। মানুষ, প্রাণ ও প্রকৃতির সাথে রাষ্ট্র এবং তার বহুবিধ নিপীড়নের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগুলোর সম্পর্ক ও সম্পর্কহীনতার যে দ্বন্দ্ব, সেসব বিষয় নিয়েই কবিতাগুলোর নির্মাণ। 

কবি যোবায়ের শাওন বলেছেন, “অ্যামিবা তো প্রাণের ধারক! আর প্রাণের নিয়ন্ত্রণ আকাঙ্ক্ষী হয়েই রাষ্ট্রের জন্ম। সে প্রাণ-প্রকৃতি-প্রতিবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। নিজের বানানো নিয়মে পরিচালনা করতে চায়। ফলে, কখনো সম্পর্ক তৈরি হয়, কখনো অনিবার্য সংঘাত। রাষ্ট্রের সাথে এই প্রাণের অনন্ত দ্বন্দ্ব চলতে থাকে। এমন দ্বন্দ্বের, এমন আজন্ম বৈপরীত্যের স্মারক হয়েই নির্মিত হয়েছে গ্রন্থভুক্ত কবিতাগুলো।”

আরো পড়ুন:

‘রেজা নুর: চন্দন বনের ঐশ্বর্য’ সংকলনের মোড়ক উন্মোচন

বইমেলায় কবীর আলমগীরের ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগের পতন’

খড়িমাটি প্রকাশনীর কর্ণধার, কবি ও প্রকাশক মনিরুল মনির বলেছেন, “যোবায়ের শাওন তরুণ সম্ভাবনাময় কবি। এছাড়া আমি অতঃপর শব্দায়নের কথাও বলতে চাই। তিনিসহ বেশকিছু প্রতিভাবান তরুণ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করছেন। আমি মনে করি, তার কবিতার মূল চরিত্র হলো কাল বা সময়। খড়িমাটি থেকে এটি তার দ্বিতীয় কবিতার বই। কবিতার বিষয়, ভাব ও ভাষা নিয়ে তার নিজস্বতা তৈরি হয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে।”

বইমেলায় ‘রাষ্ট্র বনাম অ্যামিবা’ বইটি পাওয়া যাবে খড়িমাটি প্রকাশনীর ৪৫-৪৬ নম্বর স্টলে এবং অনলাইনে। 

যোবায়ের শাওনের অন্য কবিতার বইগুলো হলো— হেমলক হাতে বসে আছি [২০১৮, যুক্ত প্রকাশন], মৃত্যু আমাদের প্রতিবেশী [২০২০, খড়িমাটি প্রকাশনী], মালিকানা বিষয়ক ধারণার নবায়ন [২০২২, অনুভব প্রকাশনী] এবং নবান্ন প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ব্যক্তিগত পুলসিরাত [২০২৩] ও এক যোগ এক সমান এক [২০২৪]।

ঢাকা/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বইম ল র ষ ট র বন ম অ য ম ব

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াখালীতে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাকে আশ্রয় দেওয়ায় তাঁতী দলের নেতা বহিষ্কার

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলাউদ্দিনকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের এক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত মোহাম্মদ সৈকত উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়ন তাঁতী দলের সভাপতি ছিলেন। আজ শুক্রবার বিকেলে জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে জেলা তাঁতী দলের আহ্বায়ক ইকবাল করিম সোহেল ও সদস্যসচিব মোরশেদ আলমের যৌথ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বহিষ্কারের আদেশ দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি মূল্যায়নে ব্যর্থ হওয়ায় হাতিয়া উপজেলা তাঁতী দলের দক্ষিণ কমিটিকে সতর্ক করা হয়েছে।

দলীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের জোড়খালী গ্রামে সৈকতের বাড়ি থেকে সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে হাতিয়া থানা–পুলিশ। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ১০টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ সৈকত সম্পর্কে ফুফা–ভাগনে।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ সৈকত প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে অনেকগুলো পরিবার থাকে। আমি ব্যবসার কাজে দিনের বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকি। আলাউদ্দিন কখন বাড়িতে এসেছেন, তা আমার জানা নেই। আমাদের ঘর থেকে তাঁর শ্বশুরদের ঘর অনেক দূরে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে জড়ানো হয়েছে।’

নোয়াখালী জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম বলেন, আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকে আত্মগোপনে থাকার সুযোগ করে দেওয়ায় মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের তাঁতী দল কমিটিকেও সতর্ক করা হয়েছে।

আরও পড়ুনহাতিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে পালিয়ে থাকা সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার৩১ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ