বইমেলায় নতুন গল্পগ্রন্থ ‘উলটো বুড়িগঙ্গা’
Published: 10th, February 2025 GMT
অমর একুশে বইমেলায় (২০২৫) প্রকাশিত হয়েছে কথাসাহিত্যিক ইসরাত জাহানের নতুন গল্পগ্রন্থ ‘উলটো বুড়িগঙ্গা’।
‘উলটো বুড়িগঙ্গা’ গ্রন্থের ফ্ল্যাপে লেখা আছে, ‘ডাক্তারের ছুরিতে নিজের অপ্রয়োজনীয় অঙ্গটি কাটার সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় মনির। রওশনা অদক্ষ ডাক্তারকে পুলিশে দেওয়ার চেষ্টা করে। না পেরে অভিশাপ দেয়। সাথী কেঁদে বুক ভাসায়। কিন্তু অস্পৃশ্য সমাজের অভিশাপ ভদ্রলোকের লোমের রেখাও ছুঁতে পারে না। ওরা তো জানে না, ওদের জীবন দিকশূন্য দুর্বোধ্যতায় টেনে নেওয়া জীবন। সেই জীবনের কথা শুনতে পুকুরের পাড়ে জটলা করে কিছু মানুষ। কী গল্প করে ওরা? আছিয়ার কোনো কথা কি জানতে চায়? ওরা কান পেতে থাকে, যদি শোনা যায় কোনো কানকথা।’
‘উলটো বুড়িগঙ্গা’ গ্রন্থের একটি গল্পের অংশবিশেষ, ‘বুধবার সকাল, বলা নেই কওয়া নেই, হঠাৎ মনে হলো আমি একটি চেয়ার হয়ে গেছি, বেশ সুন্দর গদিওয়ালা চেয়ার, আমার হালকা মেদযুক্ত ভুঁড়িটা হয়ে গেল চেয়ারের তুলতুলে গদি, আর সেই গদিতে এখন বেশ আয়েশি ভঙ্গিতে বসে আছেন আজাদ সাহেব, আগে উনি প্রায় সময় আমার কাছে আসতেন, হুদাই আলাপ জমাতে চাইতেন, আমি কপাল কুঁচকে বিরক্তভাবে তাকিয়ে থাকতাম, কিছুক্ষণ আমার আশপাশে ঘুরঘুর করে অন্যত্র চলে যেতেন দাঁত খিলাল করতে করতে, আজ হঠাৎ আমার চেয়ার হয়ে যাবার খবরটা উনি কিভাবে যেন পেয়ে যান, আমি জানি না, তবে এসেই অনুমতির অপেক্ষা না করে বসে পড়েন আমি নামক সদ্য নির্মিত গদিওয়ালা চেয়ারে। একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ হঠাৎ করে কিভাবে চেয়ার হয়ে গেল বা যায়?’
আরো পড়ুন:
যোবায়ের শাওনের কাব্যগ্রন্থ ‘রাষ্ট্র বনাম অ্যামিবা’
‘রেজা নুর: চন্দন বনের ঐশ্বর্য’ সংকলনের মোড়ক উন্মোচন
‘উলটো বুড়িগঙ্গা’ গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে উপকথা প্রকাশনী (বইমেলায় স্টল নম্বর ৬৬৫-৬৬৬)। প্রচ্ছদ করেছেন নির্ঝর নৈঃশব্দ্য।
ঢাকা/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের
নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকা/রূপায়ন/বকুল