রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি'র (রুরু) দুই যুগ পূর্তি উৎসব আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার সকালে সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এ তথ্য জানিয়েছেন।  

তারা জানায়, উৎসবটি তিনিটি ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে সকাল ৯টায় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) ভবনে সংগঠনটির নিজস্ব কার্যালয়ে কেক কেটে বেলুন-পায়রা উড়িয় দুই যুগ পূর্তি উৎসবের উদ্বোধন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.

সালেহ্ হাসান নকীব। পরে এক আনন্দ শোভাযাত্রা নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করবেন সংগঠনটির প্রাক্তন ও বর্তমান সদস্যরা।

দ্বিতীয়ধাপে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনে অবস্থিত ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (সিসিডিসি) গ্যালারিতে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক থাকবেন প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যদ্বয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিবর্গ এবং রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রাক্তন ও বর্তমান সদস্যরা আলোচনা সভায় উপস্থিত থাকবেন।

তৃতীয় ধাপে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হবে। সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় র‌্যাফেল ড্র, স্মৃতিচারণসহ থাকবে সুনামধন্য শিল্পগোষ্ঠী ও মিউজিক ব্যান্ডের পরিবেশনা।

এ বিষয়ে রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লাবু হক বলেন, দুই যুগ মানে একটি মাইলফলক। রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটির সেই মাইলফলকে এখন। দুই যুগ সন্ধিক্ষণের এই মুহুর্তটিকে স্মরণীয় করে রাখতেই মূলত এই আয়োজন। 

সাধারণ সম্পাদক মারুফ হাসান মিলু বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি গৌরবের সাথে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার চর্চা করে আসছে। দেখতে দেখতে প্রাণের এ সংগঠনটি দুই যুগে পদার্পণ করেছে। এ উপলক্ষে রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটির নিজস্ব প্রকাশনায় 'দ্বিযুগবার্তা' র মোড়ক উন্মোচন নতুনমাত্রা যোগ করবে।

উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি একটি ক্রিয়াশীল সাংবাদিক সংগঠন। যা ২০০১ সাল থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র প র ট র স ইউন ট র স গঠনট

এছাড়াও পড়ুন:

নাচ-গান-আবৃত্তিতে চারুকলায় বর্ষাবরণ

আবার এসেছে আষাঢ় আকাশ ছেয়ে। তাই আজ রোববার আষাঢ়ের প্রথম দিনটিকে নাচ-গান-আবৃত্তিতে বরণ করে নেওয়া হলো।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় আজ সকালে ‘বর্ষা উৎসব ১৪৩২’ আয়োজন করা হয়। আয়োজক বর্ষা উৎসব উদ্‌যাপন পরিষদ।

সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে শিল্পী সোহানী মজুমদারের সেতারবাদনে ‘আহির ভৈরব’ রাগ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

আয়োজনে বর্ষা নিয়ে সংগীত পরিবেশন করেন বিভিন্ন শিল্পী। ইয়াসমিন মুশতারি ‘রিম্ ঝিম্ ঘন ঘন রে বরষে’, সালাউদ্দিন আহমেদ ‘বরষা ঐ এলো বরষা’, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী ‘শাওন আসিল ফিরে সে ফিরে এল না’, নবনীতা জাইদ চৌধুরী ‘শ্যামা-তন্বী আমি মেঘ-বরণা’, অনিমা রায় ‘বাদল-দিনের প্রথম কদম ফুল করেছ দান’, শামা রহমান ‘মেঘের ’পরে মেঘ জমেছে, আঁধার করে আসে’, মকবুল হোসেন ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশ ছেয়ে’, ফেরদৌসী কাকলি ‘গহন রাতে শ্রাবণধারা পড়িছে ঝরে’ পরিবেশন করেন।

বিমান চন্দ্র বিশ্বাস ‘আষাঢ় মাইস্যা ভাসা পানিরে’ লোকসংগীত গেয়ে শোনান। শ্রাবণী গুহ রায় বিখ্যাত ‘কে যাস রে ভাটির গাঙ বাইয়া’ গানটি করেন।

আবৃত্তি করেন নায়লা তারাননুম চৌধুরী কাকলি, আহসান উল্লাহ তমাল। আবৃত্তি, সংগীত ও নৃত্যের কোলাজ পরিবেশন করে শিল্পবৃত্ত।

বর্ষা উৎসব উদ্‌যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট ঘোষণা পাঠ করেন। ঘোষণায় বলা হয়, ষড়্ঋতুর দেশে বাংলার জীবনধারা পাল্টে যাচ্ছে দ্রুত। সেই সঙ্গে বদলে যাচ্ছে ঋতুর চরিত্র। গ্রীষ্ম হয়ে উঠছে খরতর, বর্ষা অনেক রুষ্ট এলোমেলো, শীত একাধারে নরম ও চরম, বসন্ত ক্ষীয়মাণ। প্রকৃতির ওপর মানুষের সীমাহীন অনাচার জন্ম দিয়েছে বিশ্বজনীন সংকটের। ভূপৃষ্ঠ হয়েছে তপ্ততর, সমুদ্রজল স্ফীত, ওজন–বলয় ক্ষতিগ্রস্ত। আধুনিক জীবনযাত্রা গড়ে তুলছে অপচয়ের পাহাড়। মাটি খুঁড়ে প্রকৃতির সম্পদ গোগ্রাসে গিলছে মানুষ। প্রয়োজনের সীমানা ছাপানো অপ্রয়োজনের ভারে পিষ্ট ও বিপন্ন আজকের পৃথিবী। সভ্যতার দন্ত ও প্রকৃতির ঔদায়ের মধ্যে বৈরিতা মানব অস্তিত্বের জন্য তৈরি করছে হুমকি। প্রকৃতি আজ মানবের কাছে দাবি করছে সংবেদনশীলতা ও সহমর্মিতা। জীবনযাপন ও প্রকৃতির মধ্যে সমঝোতা তৈরি ছাড়া মানবের মুক্তির ভিন্ন পথ নেই।

মানজার চৌধুরী বলেন, ‘অনন্তকালের বাণী নিয়ে আজকের বর্ষাবন্দনায় আমরা মুখর হই গীতি-কবিতা-নৃত্য ছন্দে, প্রকৃতির সঙ্গে মানবের মিলনের প্রত্যয় নিয়ে। বর্ষার মিলনপিয়াসী মানস আমাদের সচকিত করে মানবসমাজে সৃষ্ট ঘৃণা–বিদ্বেষ সংঘাত রোধে, প্যালেস্টাইনে, দেশে দেশে, স্বদেশে। বর্ষার জলধারায় সিক্ত হোক সবার জীবন, হোক আনন্দময় ও কল্যাণব্রতী।’

অনুষ্ঠানে ধরিত্রীকে সবুজ করার লক্ষ্যে প্রতীকীভাবে শিশু-কিশোরদের মাঝে বনজ, ফলদ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কপালে ১৩টি এবং থুতনিতে ৪টি সেলাই করা লাগে
  • দেশের পর এবার বিদেশেও ঈদের সিনেমার মুক্তি
  • বকুলতলায় বৃষ্টির সুর
  • ধাপে ধাপে ইরানে হামলার যে কৌশল নেয় ইসরায়েল
  • কলকাতায় নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জয়া
  • বর্ষা উৎসবে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের প্রতিবাদ, পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষাসহ কয়েকটি দাবি
  • নাচ-গান-আবৃত্তিতে চারুকলায় বর্ষাবরণ
  • তারুণ্যের ভাবনায় লাল সবুজ সোসাইটি
  • বিজিএমইএর নতুন সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, সহসভাপতি হলেন যাঁরা
  • ‘রক্ত দিয়ে যে আনন্দ পাওয়া যায়, তা আর অন্য কিছুতেই নেই’