ফ্ল্যাট বেচাকেনা-সংক্রান্ত ঘটনায় পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবদল নেতাকে অপহরণের পর মারধর করা হয়েছে—ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে।

গত রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভুক্তভোগী মোরছালিন চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আমির হোসেনের নামে মামলা দায়ের করেন।

মোরছালিন চৌধুরী রাজধানীর গুলশান থানা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার দেওড়ার গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে ঢাকার নতুনবাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অভিযুক্ত আমির হোসেন সরাইলস্থ অরুয়াইলের স্থানীয় ব্যবসায়ী।

আরো পড়ুন:

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ

নোয়াখালীতে গণপিটুনিতে নিহত এক

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, অভিযুক্ত আমির হোসেনের সঙ্গে মোরছালিন চৌধুরীর ফ্ল্যাট বেচাকেনা-সংক্রান্ত কাজে পরিচয়। মোরছালিন নিজে মধ্যস্থতা করে পরিচিতের কাছ থেকে অভিযুক্তকে ২৪ লাখ টাকা বকেয়া রেখে ফ্ল্যাট কিনে দেন। এ সময় তিনি ক্রেতা আমির হোসেনের কাছ থেকে প্রমাণস্বরূপ একটি স্বাক্ষরযুক্ত চেক রাখেন। তবে সময় পার হলে টাকা পরিশোধ না হওয়ায় মোরছালিন ক্রেতাকে বকেয়া পরিশোধের তাগাদা দেন। তখন স্থানীয় একটি ঠিকানায় দেখা করে টাকা নিতে জানায় অভিযুক্ত আমির হোসেন। 

মোরছালিন চৌধুরী অভিযুক্তের দেওয়া ঠিকানায় গেলে তিনি তাকে হত্যার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। উপজেলাধীন অরুয়াইল বাজারস্থ আসামির মালিকানাধীন ‘আমির হোসেন মার্কেটের’ গোপন রুমে নিয়ে বাদীকে মারধর করেন। এরপর তার কাছে রক্ষিত চেক জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন। এ সময় বাদীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ‘টাকা বুঝিয়ে পেয়েছেন’ বলে নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে সই রাখেন। ভুক্তভোগীকে হাত-পা বেঁধে রুমে বন্দি করে রাখলে গভীর রাতে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির সহায়তায় সেখান থেকে তিনি পালিয়ে আসেন।

ভুক্তভোগী মোরছালিন চৌধুরী বলেন, ‘‘আমাকে বকেয়া টাকা দেবে বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড ডেকে নিয়ে যায়। এরপর জোরপূর্বক অপহরণ করে আমির হোসেন তার গোপন আস্তানায় নিয়ে নির্যাতন করেন। আমি অন্য একজনের সহায়তায় গভীর রাতে পালিয়ে প্রাণে বাঁচি।’’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে আমির হোসেনকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল হাসান বলেন, ‘‘মামলার কাগজ গতকাল (সোমবার) পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/মাইনুদ্দীন/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর অপহরণ ব র হ মণব ড় য় আম র হ স ন ম রধর ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

পেশায় বাসচালক, আড়ালে করেন ইয়াবার কারবার

আট বছর ধরে গাড়ি চালানোর পেশায় আছেন মো. শাহীন। প্রথমে চালাতেন ট্রাক, এখন যাত্রীবাহী বাস। তবে এটা তার মূল কারবারের আড়াল মাত্র। বাস চালানোর আড়ালে তিনি কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আনেন ইয়াবার বড় চালান। প্রতি চালানে ১০–২০ হাজার পিস ইয়াবা থাকে। এগুলো পৌঁছানোর বিনিময়ে তিনি পান মোটা অঙ্কের টাকা। প্রতি মাসে গড়ে ছয়টি চালান এনে তিনি অন্তত ছয় লাখ টাকা পান। ফলে লাভজনক এ কারবারে তিনি আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছেন।

সম্প্রতি রাজধানীর পূর্ব রামপুরা এলাকা থেকে বাসচালক শাহীন ও সুপারভাইজার সঞ্জিত রাজবংশীকে গ্রেপ্তার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। ওই সময় বাসটিতে তল্লাশি চালিয়ে ১৫ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। এই চালানটি ঢাকার গাবতলী এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল বলে জানা গেছে।

ডিএনসি ঢাকা মহানগর উত্তরের উপপরিচালক শামীম আহম্মেদ জানান, আন্তঃজেলা বাসের চালক–হেলপারদের একটি অংশ মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়েছে। এ কারণে বিভিন্ন রুটের পরিবহনকর্মীদের মাদকসংশ্লিষ্টতার তথ্য পেতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। এরপর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কক্সবাজার থেকে আসা শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস পূর্ব রামপুরার মোল্লা টাওয়ারের সামনে থামানো হয়। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে চালক ও সুপারভাইজার স্বীকার করেন, তাদের কাছে মাদকদ্রব্য আছে। এরপর তাদের দেখানো অনুযায়ী চালকের আসনের নিচ থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন ডিএনসি ধানমন্ডি সার্কেলের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন।

ডিএনসি ঢাকা মহানগর উত্তরের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, শাহীনের ভাষ্য অনুযায়ী, দুই বছর ধরে তিনি বাসে মাদক পরিবহনের কাজ করেন। এর আগে ট্রাক চালানোর সময় অন্য চালকদের মাধ্যমে এ কারবারের বিষয়ে জানতে পারেন। পরে টেকনাফের মাদক কারবারিদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ও সখ্য গড়ে ওঠে। তিনি প্রতি ১০ হাজার পিস ইয়াবা ঢাকায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য আনুমানিক এক লাখ টাকা করে পান। এবারের চালানের জন্য পেতেন দেড় লাখের কিছু বেশি। তবে পৌঁছানোর আগেই তিনি ও তার সহযোগী ধরা পড়েন।

অভিযান সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইয়াবার চালানের প্রেরক ও প্রাপকসহ আরও কয়েকজনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। তাদের গ্রেপ্তার করা গেলে পুরো চক্রটিকে শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধীদের তোপের মুখে যশোর মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ
  • শ্রীলঙ্কার মাটিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
  • মিরাজ বীরত্বে দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো বাংলাদেশ
  • সেঞ্চুরির পর ৫ উইকেট, মিরাজ ধন্যবাদ দিলেন ৬ জনকে
  • পেশায় বাসচালক, আড়ালে করেন ইয়াবার কারবার
  • আগারগাঁওয়ে সেনা অভিযানে অপহৃত ৪ কিশোর উদ্ধার
  • গাইবান্ধায় বাবা-মাকে মারধর করে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ, অভিযুক্ত আটক
  • অপহরণে বাঁধা দেওয়ায় যুবককে গুলি করে হত্যা, আটক ৩
  • অপহৃতকে ছেড়ে দিয়ে পালানোর সময় অস্ত্র ও গুলিসহ অপহরণকারী আটক
  • ছাড়া পেলেন অপহৃত কৃষক, এক অপহরণকারী অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার