পাবনায় আত্মীয়ের শেষকৃত্যে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নারী নিহত
Published: 11th, February 2025 GMT
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় এক আত্মীয়ের শেষকৃত্যে যাচ্ছিলেন পাশের বেড়া উপজেলার চরকান্দি গ্রামের নমিতা রানী সূত্রধর (৫০) ও তাঁর স্বামী প্রশান্ত সূত্রধর (৫৫)। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যাওয়ার সময় পথে আরও কয়েকজন যাত্রীকে তোলা হয়। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সাঁথিয়ার মহিষাকোলা এলাকায় পাবনা-ঢাকা মহাসড়কে তাঁদের অটোরিকশাটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
দুর্ঘটনায় নমিতা রানী ছাড়াও মো.
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এক আত্মীয়ের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে সাঁথিয়ার করমজা শ্মশানে রওনা দেন নমিতা রানী ও প্রশান্ত সূত্রধর। তাঁরা বেড়ার আমিনপুর থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন। পথে চালক আরও কয়েকজন যাত্রীকে অটোরিকশায় তোলেন। অটোরিকশাটি সকাল পৌনে ১০টার দিকে সাঁথিয়ার মহিষাকোলা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা অজ্ঞাতনামা একটি গাড়ি ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি ছিটকে মহাসড়কের পাশে দুমড়েমুচড়ে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার যাত্রী নমিতা রানী ও মো. মামুন নিহত হন।
স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে। আহত যাত্রীদের প্রথমে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থা থাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পাবনা ও ঢাকায় হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মাধপুর হাইওয়ে থানার সহকারী উপপরিদর্শক জালালউদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন। সিএনজিচালিত অটোরিকশাটির কোন ধরনের গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে, এখনো সঠিক তথ্য পাননি। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সুস্পষ্ট কূটনৈতিক সাফল্য
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্কের হার কমায় একে ঐতিহাসিক চুক্তি আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের শুল্ক আলোচকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “এটি সুস্পষ্ট এক কূটনৈতিক সাফল্য।”
শুক্রবার (১ আগস্ট) এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, শুল্ক হার ২০ শতাংশ করা হয়েছে, যা আগে আরোপিত শুল্ক হারের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম। এর মাধ্যমে আমাদের আলোচকরা অসাধারণ কৌশলগত দক্ষতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষা ও সেটাকে আরো এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন।
তিনি বলেন, আলোচকরা এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নিরলসভাবে কাজ করে জটিল আলোচনাকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়েছেন। যেখানে শুল্ক, অশুল্ক ও জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। আলোচনার মাধ্যমে অর্জিত এই চুক্তি আমাদের তুলনামূলক সুবিধা সংরক্ষণ করেছে। পাশাপাশি, বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তাবাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি ও আমাদের মূল জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেছে।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ
কোন দেশে কত শুল্ক বসালেন ট্রাম্প
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেন, এ অর্জন কেবল বাংলাদেশের বৈশ্বিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান শক্তিকে তুলে ধরে না; বরং এটি বৃহত্তর সম্ভাবনা, ত্বরান্বিত প্রবৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির পথ উন্মুক্ত করে।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল, উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আজকের সাফল্য আমাদের জাতীয় দৃঢ়তা ও আগামী দিনের আরো শক্তিশালী অর্থনীতির সাহসী দৃষ্টিভঙ্গির একটি শক্তিশালী প্রমাণ।
তথ্যসূত্র: বাসস
ঢাকা/রফিক