ভারতের দক্ষিণের রাজ্য চালু হচ্ছে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’
Published: 12th, February 2025 GMT
নারীদের জন্য ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ চালু করতে যাচ্ছে ভারতের দক্ষিণের একটি রাজ্য। রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কোভিডের পর থেকে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’, ‘কো-ওয়ার্কিং স্পেস’, ‘নাইবারহুড ওয়ার্কস্পেস’-র মতো বিষয়ে ধারণা চালু হয়েছে, যা কার্যকর হয়েছে।
ইকোনমিকস টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, নারীদের জন্য ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-র পরিকল্পনা করছে অন্ধ্র প্রদেশ সরকার। গতকাল মঙ্গলবার ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে অফ উইমেন অ্যান্ড গার্লস ইন সায়েন্সেস’-র (বিজ্ঞান ক্ষেত্রে নারীদের দিবস) শুভেচ্ছা জানিয়ে ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু জানিয়েছেন, ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-কেই স্থায়ীভাবে ‘নিউ নরমাল’ করার পরিকল্পনা করছে সরকার। এ ক্ষেত্রে নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে কবে থেকে এ ব্যবস্থা চালু হবে এবং কবে থেকে নতুন নীতি চালু হবে, তার বিস্তারিত জানাননি। তিনি শুধু জানিয়েছেন, তাঁর সরকার যে পদক্ষেপ করেছে, তাতে কর্মক্ষেত্রে আরও মানুষকে যোগ দিতে উৎসাহ প্রদান করবে। বিশেষত নারীরা উপকৃত হবেন বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।
আরও পড়ুনডাক অধিদপ্তরে আবারও বড় নিয়োগ, পদ ২৫৫৪ ঘণ্টা আগেকেন এমন চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে, তারও ব্যাখা দিয়েছেন অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, কোভিড মহামারীর পর থেকে কর্মজীবনের ক্ষেত্রে একটা বড় পরিবর্তন এসেছে। বাড়ি থেকে কাজের সুবিধা বা ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’, ‘কো-ওয়ার্কিং স্পেস’ (এমন অফিস, যেখানে বিভিন্ন সংস্থার কর্মচারীরা একসঙ্গে কাজ করেন) এবং ‘নাইবারহুড ওয়ার্কস্পেস’-র (ছোট-ছোট জায়গায় বিভক্ত অফিসের জায়গা) মতো বিষয় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সেগুলোর ফলে কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ভালো পরিবেশ তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এসব নতুন পদক্ষেপের ফলে কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখছে। আর সেসব পদ্ধতির মাধ্যমে ইতিবাচক পথে হাঁটতে চাইছে অন্ধ্র প্রদেশ সরকার।
আরও পড়ুনপ্রাথমিকের শিক্ষকদের বেতন গ্রেড বৃদ্ধি, বিদ্যালয়কে লাল–হলুদ ও সবুজ শ্রেণিতে ভাগ করার সুপারিশ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আপাতত ভারতে কোনো নির্দিষ্ট ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ নীতি নেই, যা সারা দেশে চালু আছে। তবে কয়েকটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে কোম্পানিতে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ নীতি চালু আছে। কর্মচারীরা বাড়ি থেকে কাজ করতেন পারেন। ২০০৬ সালের ‘স্পেশাল ইকোনমিক জোন’ নিয়মের আওতায় কর্মচারীরা ‘অফসাইটে’ কাজ করতেন, তাঁরা বাড়ি থেকে কাজ করতে পারবেন বা ‘স্পেশাল ইকোনমিক জোন’-র বাইরে গিয়ে কাজ করতে পারবেন। তবে সে ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কয়েকটি শর্ত অনুসরণ করতে হয়।
আরও পড়ুনবিসিএস লিখিত পরীক্ষায় গণিত বাদ দেওয়ার সুপারিশ৬ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম খ যমন ত র ক জ করত ক জ কর সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি