উচ্চ পর্যায়ে আলাপের পর আন্তর্জাতিক আইন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত
Published: 13th, February 2025 GMT
জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনাসহ তাঁর সরকার মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিল উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন। বাংলাদেশের বাইরে পালিয়ে থাকা অপরাধীদের ফেরাতে আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ করা যেতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। এ ক্ষেত্রে শেখ হাসিনাকে ফেরাতে আন্তর্জাতিক আইন ব্যবহার করবে কিনা– জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ও জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আলম সরকারের উচ্চ পর্যায়ের আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চাইলে মো.
কূটনৈতিক পত্রের জবাবে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া গেছে কিনা– এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা এখনও ভারত থেকে কোনো উত্তর পাইনি। তবে আমরা উত্তরের প্রত্যাশা করে যাব।’
জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংস মিশনের প্রতিবেদন প্রত্যর্পণের জন্য ভারতকে পাঠানো হবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ এখন সারাবিশ্ব জানে। আলাদা করে ভারতকে এটি দেওয়ার প্রাসঙ্গিকতা এখানে নেই।
রফিকুল আলম বলেন, ‘প্রতিবেদনের যে অংশটুকু জনসমক্ষে প্রকাশ পেয়েছে তা যে কোনো মানুষের মনে নাড়া দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।’ প্রতিবেদন প্রকাশের পর শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার অন্তর্জাতিক উদ্যোগ নেবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলাপের পর সিদ্ধান্ত নেব।’
দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার নিযুক্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দিল্লিতে হাইকমিশন তার কর্মপরিধি শেষের পর ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা দিল্লিতে হাইকমিশনার নিয়োগের ব্যাপারে ভারতের সম্মতি চেয়েছি। এতে সময় লাগতে পারে। সম্মত হওয়ার জন্য সুর্নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নেই। আমরা উত্তরের জন্য অপেক্ষা করছি।’
বাংলাদেশের পাঠ্যবই ও জরিপ অধিদপ্তরে মানচিত্রে অরুণাচল ও আকসাই চীন এবং তাইওয়ান ও হংকং ইস্যুতে চীনের আপত্তি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকায় চীনের দূতাবাস গত ২৮ নভেম্বর এক কূটনৈতিক চিঠির মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তকে ব্যবহৃত মানচিত্র, তথ্যের অসংগতি এবং সার্ভে অব বাংলাদেশে উল্লিখিত একটি সীমারেখার বিষয়ে আপত্তি জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছে। ওই বিষয়ের অগ্রগতির ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।
ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্সের ফাঁকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বৈঠক নিয়ে মুখপাত্র বলেন, ওমান ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমন্ত্রণ জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে। সফরে ওমান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতা এবং সম্মেলনের সাইডলাইনে ভারতসহ অন্য দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
মুখপাত্র জানান, কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী আহমেদ হুসেন গত ৯ ফেব্রুয়ারি তিন দিনের সরকারি সফরে বাংলাদেশে আসেন। সফরকালে তিনি প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকগুলোতে দু’দেশের বিদ্যমান অংশীদারিত্ব আরও সুদৃঢ় করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এ ছাড়া দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বিনিয়োগ, সক্ষমতা বাড়ানো, দক্ষতা উন্নয়ন, স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা এবং রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়। কানাডার মন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় কানাডার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার পক্ষে কানাডার অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দেন। এ ছাড়া, শ্রম খাতের উন্নয়ন, আর্থিক খাতে অগ্রগতি এবং বিদেশি বিনিয়োগ সুরক্ষা আইনের চূড়ান্ত করার বিষয়ে আলোচনা হয়; যা ভবিষ্যতে কানাডিয়ান বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে সহায়তা করবে।
তিনি জানান, জুলাই বিপ্লবে আহতদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে গুরুতর আহত রোগীদের বিভিন্ন দেশে তাদের উন্নত চিকিৎসার স্বার্থে পাঠাতে একটি সমন্বিত উদ্যোগ নিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলো নিরলস পরিশ্রম করে এই প্রক্রিয়ায় দ্রুততার সঙ্গে ভিসা পাওয়া নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি মিশনগুলো সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
রফিকুল আলম বলেন, লিবিয়ার সমুদ্র উপকূলবর্তী শহর জাওয়াইয়া থেকে অবৈধভাবে ইউরোপের উদ্দেশে গত সপ্তাহে ছেড়ে যাওয়া একটি নৌকা ভূমধ্যসাগরে দুর্ঘটনায় পড়ে। জীবিত উদ্ধার ২ বাংলাদেশিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্থানীয় বির আল গানাম জেলখানায় রাখা হয়েছে। ওই ঘটনায় এখনও ৭ বাংলাদেশি নিখোঁজ আছেন।
তিনি বলেন, ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার মারিয়া ত্রিপদি বাংলাদেশ সফরে আসছেন। আগামী ১৮-২০ ফেব্রুয়ারি তিনি বাংলাদেশ সফর করবেন। সফরকালে প্রধান উপদেষ্টাসহ পররাষ্ট্র এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ইইউভুক্ত কোনো দেশ থেকে প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সফরও এটি। সফরে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অভিবাসন-সংক্রান্ত জটিলতাগুলোর দ্রুত ও কার্যকর সমাধান, শিল্প ও বাণিজ্যিক খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানো, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণের মাধ্যমে উভয় দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পরর ষ ট রমন ত র র ব র ফ উপদ ষ ট সরক র র ক টন ত র জন য পর য য়
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হই হই অবস্থা, প্রস্তুতি না নেওয়া আত্মঘাতী
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশেরও প্রস্তুতি নিয়ে রাখা দরকার বলে মনে করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘এমন বিশ্বে আমরা বাস করি, প্রতিনিয়ত যুদ্ধের হুমকি আমাদের ঘিরে থাকে। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হই হই অবস্থার মধ্যে রয়ে গেছে। সকালের খবরে দেখলাম, হয়তো গুজব, যে আজকেই শুরু হয়ে যাবে যুদ্ধ। প্রস্তুতি না নেওয়াটা আত্মঘাতী। আধাআধি প্রস্তুতির কোনো জায়গা নাই।’
গতকাল বুধবার রাজধানীর বীরউত্তম এ কে খন্দকার ঘাঁটিতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর অনুশীলন পর্যবেক্ষণ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা। খবর বিবিসি বাংলা ও বাসসের।
নিজেকে ‘যুদ্ধবিরোধী মানুষ’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে যুদ্ধ হোক– এটা আমরা কামনা করি না।’ যুদ্ধের প্রস্তুতি অনেক সময় যুদ্ধের দিকে নিয়ে যায়– এ রকম ধারণার বিষয়ে ঘোরতর আপত্তির কথা জানান ড. ইউনূস।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার প্রতি যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত আধুনিক বিমানবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
দেশপ্রেম ও পেশাদারিত্ব আগামী দিনের নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার মূল ভিত্তি উল্লেখ করে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বিমানবাহিনীর সব সদস্যের প্রতি যুগোপযোগী ক্ষমতা ও দক্ষতা অর্জন এবং পেশাগত ও কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রতি অব্যাহত মনোযোগ বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আমরা একটা নিরাপদ, উন্নত ও শক্তিশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলব।’
তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার, রাডার সংযোজনের জন্য বিমানবাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে সরকার।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বের দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের গুরুত্ব অপরিসীম। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সদস্যরা নিয়মিতভাবে বহুমাত্রিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ও অনুশীলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জ্ঞান-দক্ষতাকে যুগোপযোগী করতে সদা সচেষ্ট রয়েছেন।’
তিনি দেশের বিমানবন্দরগুলোর সুষ্ঠু পরিচালনা ও নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত বিমানবাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।
মহড়া কেবল একটি সাময়িক অনুশীলনই নয় উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এটি আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিমানবাহিনীর পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার পরিচয় বহন করে। বাংলাদেশ বিমানবাহিনী সময়োপযোগী পরিকল্পনা ও দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং কার্যকর আকাশ প্রতিরক্ষার পাশাপাশি বিস্তীর্ণ সমুদ্র এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
এর আগে বিমানঘাঁটিতে এসে পৌঁছলে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান। অনুষ্ঠানস্থলে বিমানবাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল তাঁকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর বিতরণ প্রধান উপদেষ্টার
গত বছরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ আবাসন প্রকল্পে নির্মিত ঘর বিতরণ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। গতকাল সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি গত বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি জেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে এসব ঘর বিতরণ করেন।
ওই বন্যায় অনেক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম। অসংখ্য বাড়িঘর সম্পূর্ণরূপে ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নির্মাণের সামর্থ্য নেই, এ রকম তিনশ পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ঘর পুনর্নির্মাণ করে দেওয়া হয়। এর মধ্যে ফেনীতে ১১০টি, নোয়াখালীতে ৯০টি, কুমিল্লায় ৭০টি ও চট্টগ্রামে ৩০টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। দুটি কক্ষ, কমন স্পেস, শৌচাগার, রান্নাঘরসহ বারান্দা রয়েছে। ৪৯২ বর্গফুট আয়তনের ঘরে ৭ লাখ ২৫ হাজার ৬৯৪ টাকা এবং ৫০০ বর্গফুটের ঘরে প্রাক্কলিত ব্যয় ৭ লাখ ২৬ হাজার ৬৭৮ টাকা বরাদ্দ করা হয়। সেনাবাহিনী ঘরগুলো নির্মাণ করেছে।
অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান বক্তব্য দেন।
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত ও বিশ্বমানের সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি। গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক হয়।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বন্দর ব্যবস্থাপনায় এমন অপারেটরদের সম্পৃক্ত করতে হবে, যাতে এগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা অর্জন করতে পারে।
বৈঠকে বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, ‘দেশের নৌবন্দরগুলোর বর্তমান হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি বছরে ১ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন ইউনিট, যা সঠিক পরিকল্পনা ও কর্মপন্থার মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে ৭ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন ইউনিটে উন্নীত করা সম্ভব।’