স্ত্রীকে হত্যার পর থানায় স্বামীর আত্মসমর্পণ
Published: 17th, February 2025 GMT
বরগুনায় স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর স্বামী মো. আবুল কালাম থানায় আত্মসমর্পণ করেছে। রোববার সন্ধ্যার পর বরগুনা পৌর শহরের কলেজ রোডে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, নিহত আছমা আক্তার পুতুল বরগুনার বেতাগী উপজেলার চান্দখালী এলাকার ইউনুচ মিয়ার মেয়ে। আছমা আক্তার পূবালী ব্যাংকের বরগুনা শাখায় অফিস সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।
নিহতের মেয়ে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাকা মনি (১৩) জানান, আছমা আক্তারের এক জোড়া হাতের বালা অনেকদিন আগে বিক্রি করেছে স্বামী আবুল কালাম। এ নিয়ে অনেক আগে থেকেই তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ চলছিল। তাছাড়া আছমার আয় করা টাকা জোড় করে নিয়ে যেতেন আবুল কালাম। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই রোববার সন্ধ্যার পর নিজ বাসায় ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় আছমাকে।
বরগুনা থানার অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, হত্যাকারী আবুল কালাম সন্ধ্যা ৭টার দিকে থানায় আসে। এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে আছমাকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে।
তিনি আরও বলেন, কি কারণে হত্যা করা হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। এদিকে সর্বশেষ খবর লেখা পর্যন্ত হত্যাকারী আবুল কালামকে নিয়ে ছুরি উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
পূবালী ব্যাংক, বরগুনা শাখার ব্যবস্থাপক মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আয়কর ফাঁকির মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন খালেদা জিয়ার ভাগনে শাহরিন
আয়কর ফাঁকির মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাগনে শাহরিন ইসলাম। এই মামলায় ১৭ বছর আগে তাঁর জেল-জরিমানা হয়।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এ আজ মঙ্গলবার সকালে শাহরিন ইসলাম আত্মসমর্পণ করেন, জামিনের আবেদন জানান।
প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন শাহরিন ইসলামের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন ও শেখ সাকিল আহমেদ রিপন।
আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন প্রথম আলোকে বলেন, শাহরিন ইসলাম অসুস্থ। তিনি নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। ১৭ বছর আগে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য আয়কর অধ্যাদেশের মামলায় তাঁকে সাজা দেওয়া হয়েছিল। আজ তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান।
আইনজীবীদের তথ্য অনুযায়ী, ৮১ লাখ টাকা আয়কর ফাঁকির মামলায় ২০০৮ সালে শাহরিন ইসলামকে আট বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া তাঁকে ৯২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
জামিনের আবেদনে শাহরিন ইসলাম উল্লেখ করেছেন, তিনি ১৯৯৮-১৯৯৯ কর বছর থেকে ২০০৬-২০০৭ কর বছর পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। তিনি সেখানে তাঁর সব সম্পদের তথ্য উল্লেখ করেছেন। বিচারিক আদালত থেকে তিনি ন্যায়বিচার পাননি।