চুয়েটে ৩৬ পদে চাকরি, আবেদন অনলাইনে
Published: 17th, February 2025 GMT
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানটির ১৪ ধরনের শূন্য পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
পদের নাম ও সংখ্যা: অধ্যাপক (তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ), ১টি।
বেতন: ৫৬,৫০০-৭৪,৪০০ টাকা।
পদের নাম ও সংখ্যা: অধ্যাপক (ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশনস বিভাগ), ১টি।
বেতন: ৫৬,৫০০-৭৪,৪০০ টাকা।
পদের নাম ও সংখ্যা: সহযোগী অধ্যাপক (মেকাট্রনিকস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ), ১টি।
বেতন: ৫০,০০০-৭১,২০০ টাকা।
পদের নাম ও সংখ্যা: সহযোগী অধ্যাপক (স্থাপত্য বিভাগ), ২টি ।
বেতন: ৫০,০০০-৭১,২০০ টাকা।
পদের নাম ও সংখ্যা: সহকারী অধ্যাপক (যন্ত্রকৌশল বিভাগ), ১টি।
বেতন: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা।
পদের নাম ও সংখ্যা: সহকারী অধ্যাপক (পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ), ১টি।
বেতন: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা।
পদের নাম ও সংখ্যা: সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, ১টি।
বেতন: ২৯,০০০-৬৩,৪১০ টাকা।
পদের নাম ও সংখ্যা: সহকারী রেজিস্ট্রার, ১টি।
বেতন: ২৯,০০০-৬৩,৪১০ টাকা।
পদের নাম ও সংখ্যা: প্রভাষক (স্থাপত্য বিভাগ), ১টি।
বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।
পদের নাম ও সংখ্যা: গবেষণা প্রভাষক (আইইইআর), ১টি।
বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।
পদের নাম ও সংখ্যা: সহকারী প্রোগ্রামার (আইআইসিটি), ১টি।
বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।
পদের নাম ও সংখ্যা: টেকনিক্যাল অফিসার (শিট মেটাল), ১টি।
বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।
পদের নাম ও সংখ্যা: সহকারী প্রকৌশলী (পুরকৌশল, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তর), ১টি।
বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।
পদের নাম ও সংখ্যা: প্রটোকল অ্যান্ড লিয়াজোঁ অফিসার, ১টি।
বেতন: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা।
পদের নাম ও সংখ্যা: সহকারী টেকনিক্যাল অফিসার (যন্ত্রকৌশল বিভাগ), ১টি।
বেতন: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা।
পদের নাম ও সংখ্যা: হিসাবরক্ষক, ১টি।
বেতন: ১১,৩০০-২৭,৩০০ টাকা।
পদের নাম ও সংখ্যা: স্টোরকিপার (প্রকৌশল দপ্তর), ১টি।
বেতন: ১১,৩০০-২৭,৩০০ টাকা।
পদের নাম ও সংখ্যা: উপপ্রশাসনিক কর্মকর্তা (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তর), ১টি।
বেতন: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা।
পদের নাম ও সংখ্যা: টেকনিশিয়ান (শিট মেটাল), ১টি।
বেতন: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা।
পদের নাম ও সংখ্যা: টেকনিশিয়ান (স্থাপত্য বিভাগ), ১টি।
বেতন: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা।
পদের নাম ও সংখ্যা: টেকনিশিয়ান (ডিজাস্টার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগ), ১টি।
বেতন: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা।
পদের নাম ও সংখ্যা: হিসাব সহকারী, ১টি।
বেতন: ৯,৩০০-২২,৫৯০ টাকা।
পদের নাম ও সংখ্যা: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, ১টি।
বেতন: ৯,৩০০-২২,৫৯০ টাকা।
পদের নাম ও সংখ্যা: প্লাম্বার (শামসুন নাহার খান হল), ১টি।
বেতন: ৯,০০০-২১,৮০০ টাকা।
পদের নাম ও সংখ্যা: অপারেটর (পাম্প), ১টি।
বেতন: ৯,০০০-২১,৮০০ টাকা।
পদের নাম ও সংখ্যা: ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট, ৩টি।
বেতন: ৮,৫০০-২০,৫৭০ টাকা।
পদের নাম ও সংখ্যা: অফিস সহায়ক, ৩টি।
বেতন: ৮,৫০০-২০,৫৭০ টাকা।
আরও পড়ুনবিআইডব্লিউটিএতে বড় নিয়োগ, পদ ২৩৬, আবেদন শেষ কাল৭ ঘণ্টা আগেপদের নাম ও সংখ্যা: জিমনেশিয়াম হেলপার, ১টি।
বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা।
পদের নাম ও সংখ্যা: নিরাপত্তা প্রহরী, ২টি।
বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা।
পদের নাম ও সংখ্যা: মালি, ১টি।
বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা চুয়েটের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নির্ধারিত ফরমে ও সাদা কাগজের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।
আরও পড়ুনহার্ভার্ডে বৃত্তি নিয়ে এমবিএ’র সুযোগ বাংলাদেশিদের ৮ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনসমরাস্ত্র কারখানায় চাকরি, পদ ২২০১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পদ র ন ম ও স খ য ০১০ ট ক ৯ ০০০ সহক র
এছাড়াও পড়ুন:
আজও আছে পরতে পরতে সৌন্দর্য
কারুকার্যখচিত বিশাল ভবন। দেয়ালের পরতে পরতে মনোহর সৌন্দর্য। মনোরম পরিবেশে ভবনের চারপাশে দাঁড়িয়ে সুন্দরী পরীর আবক্ষ মূর্তি। ছবির মতো সাজানো ‘পাকুটিয়া জমিদারবাড়ি’ এখন কালের সাক্ষী।
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থেকে ১২ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে টাঙ্গাইলের নাগরপুরের কলমাই নদীতীরে ১৫ একর জমিতে জমিদারবাড়িটি। ঢুকতেই চোখে পড়ে পুরোনো মন্দির। লোকমুখে প্রচলিত, শরতের দিনে দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরিতে এখানে ব্যস্ত থাকতেন ভারতবর্ষের নামকরা কারিগররা। কালের বিবর্তনে স্থানটি এখন নির্জন। নেই আগের গৌরব-আভিজাত্যের ছাপ, এমনকি প্রতিমা তৈরির ব্যস্ততাও।
মন্দির ঘুরে দেখা যায়, এর কোথাও কোথাও ইট খসে পড়েছে। পুরোনো দিনের নকশা হারাচ্ছে তার সৌন্দর্য। মন্দিরের পেছনে বিশাল তিনটি মহল, যা সেকালে তিন তরফ নামে পরিচিত ছিল। মহলগুলোর আলাদা কোনো নাম পাওয়া যায়নি। সবচেয়ে বড় মহলে বর্তমান পাকুটিয়া বিসিআরজি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ পরিচালিত হচ্ছে।
দোতলা ভবনের নির্মাণশৈলী মুগ্ধ করবে সবাইকে। যদিও সংস্কারের অভাবে ভবনটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। পাশেই অপূর্ব লতাপাতার কারুকার্যখচিত বিশাল আরেকটি ভবন, যার মাথায় ময়ূরের মূর্তি। এ ছাড়া কিছু নারী মূর্তিরও দেখা মেলে। জমিদার আমলের টিনের চৌচালা ঘরে অস্থায়ীভাবে সরকারি তহশিল অফিস স্থানান্তর হলেও, সেটি এখন স্থায়িত্ব পেয়েছে।
লতাপতায় আচ্ছন্ন ভবনের একাংশ বর্তমানে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং আরেকাংশে একটি বেসরকারি দাতব্য সেবা সংস্থা কার্যক্রম চালাচ্ছে। ভবনটির পিলারের মাথায় এবং দেয়ালেও অসাধারণ নকশা মুগ্ধ করে।
দোতল আরেকটি মহল, যার সামনে বিশাল শান বাঁধানো সিঁড়ি। অন্য সব ভবনের সঙ্গে এটির নকশার যথেষ্ট মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ভবনটির বারান্দা ও পুরোনো কাঠের দরজা সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে কয়েক গুণ। ভবনটির মাথায় ময়ূরের সঙ্গে দুই পাশে দুই নারী মূর্তির দেখা মেলে। সিঁড়ি বেয়ে ছাদে গেলে গাছগাছালির সবুজে ঘেরা পুরো জমিদারবাড়ির সৌন্দর্য বিমোহিত করতে বাধ্য। যদিও ভবনের ভিন্ন অংশ খসে পড়ছে, হারাচ্ছে রূপ-লাবণ্য।
জমিদারবাড়ির পেছনে রয়েছে দীঘি ও দুটি পরিত্যক্ত কূপ। এ ছাড়া জমিদারবাড়ির বিশাল মাঠের এক কোণে নাটমন্দির। জানা যায়, নাগরপুরের সঙ্গে কলকাতার একটি বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে আসেন ধনাঢ্য ব্যক্তি রামকৃষ্ণ সাহা মণ্ডল। তিনিই ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুতে ব্রিটিশদের কাছ থেকে বিপুল অর্থের বিনিময়ে জমি কিনে জমিদারি শুরু করেন।
রামকৃষ্ণ সাহার দুই ছেলে বৃন্দাবন ও রাধাগোবিন্দ। রাধা নিঃসন্তান। তবে বৃন্দাবনের তিন ছেলে– ব্রজেন্দ্র মোহন, উপেন্দ্র মোহন ও যোগেন্দ্র মোহন দীর্ঘকাল রাজত্ব করেন। এভাবে পাকুটিয়া জমিদারবাড়ি তিন ভাইয়ের তরফে বিভক্ত থাকলেও, জমিদাররা সবাই ছিলেন প্রজানন্দিত। বৃন্দাবনের মেজ ছেলে উপেন্দ্রকে কাকা রাধাগোবিন্দ দত্তক নেন। ফলে উপেন্দ্র কাকার জমিদারির পুরো সম্পত্তি লাভ করেন।
দৃষ্টিনন্দন পাকুটিয়া জমিদারবাড়িতে প্রতিনিয়ত পর্যটকের ভিড় বাড়ছে। ইতিহাসের সাক্ষী বাড়িটি সংস্কার না হওয়ায় একদিকে যেমন সৌন্দর্য হারাচ্ছে, অন্যদিকে তরুণ প্রজন্মের কাছে অজানা থেকে যাচ্ছে ইতিহাস। জমিদারবাড়িটি পুরাকীর্তি হিসেবে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে নিয়ে সংস্কার ও সংরক্ষণের দাবি জোরালো হচ্ছে।