ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে দমন করা যাবে না: টুকু
Published: 17th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে বিএনপি গভীরভাবে স্থান করে নিয়েছে। ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে দমন করা যাবে না।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলা বিএনপির আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন।
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, ইদানীং দেখা যাচ্ছে, সরকারের কিছু উপদেষ্টা আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলছেন। শেখ হাসিনার বলতেন আগে উন্নয়ন, পরে গণতন্ত্র।” এটি মূলত গণতন্ত্রকে অস্বীকার করারই নামান্তর। এখন আবার কেউ কেউ বলছেন, “আগে সংস্কার, পরে গণতন্ত্র, পরে নির্বাচন।” কিন্তু নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র টিকে থাকতে পারে না। বাংলাদেশের মানুষ এখন নির্বাচনমুখী, তাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের দল, আর জনগণই বিএনপির শক্তি। বর্তমানে বাংলাদেশে যদি একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়, তবে বিএনপির বিকল্প নেই। বিএনপির জনপ্রিয়তা ও শক্তির কারণেই আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। কিছু লোক, যারা একসময় আমাদের সাথে ছিল এবং আমাদের ওপর নির্ভর করেই রাজনীতি করেছে, আমরা তাদের অনেক দায়দায়িত্ব নিয়েছি, আজ তারা উল্টো কথা বলছে, ভিন্ন সুর গাইছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, কিছু মহল গোপনে ফ্যাসিবাদকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। জাতিসংঘ ইতোমধ্যে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে শেখ হাসিনার সরকারকে গুম, হত্যা ও নির্যাতনের জন্য দায়ী করা হয়েছে। আমরা আজকের এই সমাবেশ থেকে দাবি জানাই, এই প্রতিবেদন প্রকাশ্যে আনতে হবে এবং এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যদি সরকার এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নেয়, তবে আমরা মনে করব, তারা শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানি করছে।
কেন্দ্রীয় এ নেতা বলেন, দোষীদের বিচার অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে জনগণের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। আমরা কোন ফাঁসিবাদের দোসরকে আমরা কেউ আশ্রয় প্রশ্রয় দিবো না এই ব্যাপারে কি কেউ সবাই ঐক্যবদ্ধ। দোসরের বিচার এই খুনি হাসিনার বিচার বাংলার মাটিতে হতে হবে।
টুকু বলেন, সামনে রমজান মাস। এ সময়ে দ্রব্যমূল্য যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে, তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনগণের দল হিসেবে বিএনপির দায়িত্ব হলো, এ বিষয়ে নজর রাখা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া। এজন্যই আজকের এই মিটিং ও সমাবেশ। জনগণের স্বার্থ রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব, আর আমরা চাই, ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: গণতন ত র ব এনপ র জনগণ র আম দ র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
জামায়াত কীভাবে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলে: আনিসুল ইসলাম মাহমুদ
কয়েকটি রাজনৈতিক দলের জাতীয় পার্টির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবিকে অনভিপ্রেত, অগণতান্ত্রিক এবং দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্য বিপজ্জনক আখ্যায়িত করেছেন দলটির একাংশের চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। প্রশ্ন তুলে তিনি বলেছেন, যে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে জাতীয় পার্টি অতীতে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিল, সেই জামায়াত কীভাবে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলে? বিষয়টি বিস্ময়কর ও দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশানে জাতীয় পার্টির এই অংশের মহাসচিবের বাসভবনে জরুরি মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। সভায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ আরও বলেন, জাতীয় পার্টি তার জন্মলগ্ন থেকেই জনগণের অধিকার, গণতান্ত্রিক চর্চা এবং শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ধারক ও বাহক। দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে জাতীয় পার্টি কখনোই কোনো রাজনৈতিক অপরাধে জড়িত হয়নি বা এমন কোনো কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়নি, যার কারণে দলটিকে নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন হতে পারে। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়; বরং দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্বাধীনতার পর দেশের রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা, গ্রাম থেকে শহরে উন্নয়ন ছড়িয়ে দেওয়া, আধুনিক অবকাঠামো নির্মাণ ও শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার ইতিহাস জাতীয় পার্টির রয়েছে।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে হলে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি। তিনি যোগ করেন, কাউকে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে এবং জনগণের কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করে দেয়।
সভায় জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো. মুজিবুল হক চুন্নু, কাজী ফিরোজ রশিদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাহিদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, মাসরুর মওলা, জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, মো. আরিফুর রহমান খান, সরদার শাহজাহান, ফখরুল আহসান শাহজাদা, মো. বেলাল হোসেন প্রমুখ।