নোবিপ্রবিতে অ্যাকুয়াকালচারে শিল্প বিপ্লব শীর্ষক সেমিনার
Published: 18th, February 2025 GMT
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) অ্যাকুয়াকালচারে চতুর্থ শিল্প বিপ্লববিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের আয়োজনে ‘ফোর্থ আইআর: বাংলাদেশ অ্যাকুয়াকালচার পার্সপেক্টিভ’ শীর্ষক এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.
সেশন চেয়ার ছিলেন ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেহেদী মাহমুদুল হাসান এবং ভোট অব থ্যাংকস হিসেবে গবেষণা উপস্থাপন করেন একই বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সেমিনারে কি-নোট স্পিকার হিসেবে গবেষণা উপস্থাপন করেন ডিপার্টমেন্ট অব ফিশারিজ এর সিনিয়র এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর (ব্লু ইকোনমি) ড. মো. তানভীর হোসাইন চৌধুরী।
আলোচনায় বক্তারা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বিভিন্ন প্রয়োগগুলো কিভাবে বাংলাদেশের অ্যাকুয়াকালচারে ব্যবহার করা হচ্ছে, কি কি সুযোগ রয়েছে, চ্যালেন্জগুলো কি কি, ভবিষ্যত সম্ভাবনা ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন।
কি নোট স্পিকার ড. মো. তানভীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, “চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদের সব বিষয়ে আপডেটেড থাকতে হবে। বর্তমানে আমরা ফিশারিজের কাজে যে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করি তার পিসিবি ডিজাইন, মাইক্রোকন্ট্রোলার এগুলো আমাদের নিজেদের তৈরি। মৎস্য চাষীদের কিভাবে প্রযুক্তির সঙ্গে আর গভীরভাবে সম্পর্ক তৈরি করা যায়, তা নিয়ে মৎস্য অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে।”
বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল হক বলেন, “নোবিপ্রবি গবেষণায় এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই আরো এগিয়ে যাক। এটা আমাদের জন্য আনন্দের। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব গবেষণায় সহয়তা অব্যাহত থাকবে। আজ যারা এখানে উপস্থিত হয়েছেন, আপনারা গবেষণার ধারণা নিয়ে আরো সামনে এগিয়ে যেতে পারবেন।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, “ব্লু ইকোনোমির সঙ্গে শিল্প বিপ্লবের যে সম্পর্ক, যেটাকে আমরা অটোমেশন বলছি। ব্লু ইকোনোমি সেলের মাধ্যমে সে সেক্টরগুলো আজ উঠে আসবে। মাস্টার্স ও পিএইচডির শিক্ষার্থীরা যদি এটাকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষা ও গবেষণায় অবদান রাখতে পারে, তাহলে এ অঞ্চলের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হবে।”
তিনি বলেন, “আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর যুগে আমরা পিছিয়ে পড়লে অন্যরা এগিয়ে যাবে। একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি এ ধরনের সেমিনার, ওয়ার্কশপ এবং বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীদের যদি যুগোপযোগী ও দক্ষ নাগরিক করে গড়ে তুলতে পারি, তাহলে আমাদের শিক্ষার্থীদের পাস করার পর চাকরির পিছনে দৌড়াতে হবে না। বরং চাকরি তাদের পিছনে দৌড়াবে।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র উপস থ
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।
সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।
জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।
তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।
এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ রিকোভারীবৃন্দ।