বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে (শেবাচিম) শিক্ষার্থীদের কমপ্লিট শাটডাউনের তৃতীয় দিন বুধবারও ক্যাম্পাস অচল ছিল। কলেজের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও শিক্ষার্থীদের ক্লাস হয়নি। শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ ও সদ্য বদলি হওয়া শিক্ষকদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে সোমবার শিক্ষার্থীরা কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করে প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেন। 

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক শাখার গেটের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন। 

শিক্ষার্থী নাইমুর রহমান বলেন, শিক্ষক সংকট ইস্যুতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কর্মসূচির কারণে কলেজের ক্লাস-পরীক্ষাসহ একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে স্মারকলিপি দিয়ে কলেজ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে দাবির কথা জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কোনো উদ্যোগ নেননি।

তিনি বলেন, শিক্ষক সংকট নিরসন না হলে আন্দোলন চলবে। এ কারণে ২৪ ফেব্রুয়ারি ডেন্টাল অনুষদের প্রফেশনাল পরীক্ষা ও ২৮ ফেব্রুয়ারি একই অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম ব্যাহত হলে এর দায়ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে। 

নিউনেটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা.

বিধান চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে সকালে কলেজে গিয়ে হাজিরা দিতে পারেননি, বাইরে দাঁড়িয়ে থেকেছেন। মানসম্পন্ন শিক্ষার জন্য শিক্ষকের প্রয়োজন রয়েছে। শিক্ষক সংকট দ্রুত নিরসন হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। 

উল্লেখ্য, বর্তমানে শেবাচিমে শিক্ষকদের ৩৩৪টি পদের মধ্যে ১৮৮টি শূন্য রয়েছে।


 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বর শ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার শপথ ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা যোদ্ধাদের

বিজয়ের মাস ঢাকায় এক হলেন একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর যোদ্ধারা; তাঁরা শপথ নিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার।

আজ শনিবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গেরিলা যোদ্ধাদের এই মিলনমেলায় এই বাহিনীর জীবিত সদস্যদের পাশাপাশি শহীদ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। দিনভর এই আয়োজন করে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী সমন্বয় কমিটি।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে আলাদা গেরিলা বাহিনী গঠন করে অংশ নিয়েছিলেন ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা। কয়েক হাজার গেরিলা যোদ্ধার এই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বেতিয়ারার যুদ্ধে এই বাহিনীর সদস্যদের আত্মদান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আলোচিত ঘটনা।

স্বাধীনতার পর এই গেরিলা বাহিনীর সদস্যরা মোহাম্মদ ফরহাদের নেতৃত্বে অস্ত্র সমর্পণ করেছিলেন। দেড় যুগ আগে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা করেছিল, তাতে এই বাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়নি। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

শহীদ মিনারে মিলনমেলার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি এই গেরিলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন, স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত প্রথম ডাকসু নির্বাচনে ভিপি হয়েছিলেন তিনি।

ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ শনিবার একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর মিলনমেলায় সিপিবির সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম

সম্পর্কিত নিবন্ধ