কুম্ভমেলা নিয়ে মমতার মন্তব্যের প্রতিবাদে বিজেপির বিক্ষোভ
Published: 20th, February 2025 GMT
ভারতের উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজের (পুরোনো এলাহাবাদ) ত্রিবেণী সঙ্গমে চলছে ১৩ জানুয়ারি থেকে মহাকুম্ভ। এই কুম্ভমেলায় ভিড়ের চাপে প্রয়াগরাজে পদপিষ্ট হয়ে বহু ভক্তের প্রাণ গেছে। আবার মেলায় যোগ দিতে দিল্লি রেলস্টেশন থেকে প্রয়াগরাজে যাওয়ার জন্য ট্রেন ধরতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে ১৮ জন মারা গেছেন।
এই পরিস্থিতিতে কুম্ভস্নান নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ করায় পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ করেছে। ক্ষোভ-বিক্ষোভ করেছে।
গতকাল বুধবার বিকেলে কলকাতার চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ ও মহাত্মা গান্ধী রোডের সঙ্গমস্থলে বিজেপির উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। এতে বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি নেতা সজল ঘোষ, মীনাদেবী পুরকাইত প্রমুখ এই প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দেন।
মমতার মন্তব্যের প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার বিজেপির বিধায়কদের মহাকুম্ভের প্রতীকী জলের ছোট কলসি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা চত্বরে প্রতিবাদ জানানোর কথা রয়েছে। প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে রাজভবনে রাজ্যপালের দরবারে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন দলটির নেতারা। পাশাপাশি বিধানসভার অধিবেশন থেকে সদ্য বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীসহ চার নেতার এক মাসের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানানোর কথা রয়েছে।
গত মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় কুম্ভমেলাকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘মহাকুম্ভ আমি না-ই বা বললাম! ওটা এখন “মৃত্যুকুম্ভ”হয়ে গেছে। মৃত্যুকূপের মতো। আমি মহাকুম্ভকে সম্মান করি। শ্রদ্ধা জানাই। পবিত্র গঙ্গা মাকে সম্মান করি। কিন্তু পরিকল্পনা না করে এত হাইপ তুলে এত লোকের মৃত্যু।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে ইন্টারনেট বন্ধ, স্টারলিংক চালু করলেন ইলন মাস্ক
মার্কিন ধনকুবের ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, ইরান সরকারের পক্ষ থেকে স্থলভিত্তিক ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ার পর তিনি উপগ্রহনির্ভর ইন্টারনেট পরিষেবা স্টারলিংক সেখানে চালু করেছেন।
শনিবার সকালে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে এক পোস্টে মাস্ক লিখেন, “The beams are on,” অর্থাৎ “সংযোগ চালু হয়েছে।”
ইরান সরকার শুক্রবার সকালে দেশের ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়। দেশটির যোগাযোগ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ওয়াশিংটন টাইমস জানায়, ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় দেশটির সাধারণ মানুষ আন্তর্জাতিক সংবাদ ও তথ্যের উৎস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় স্টারলিংকের মাধ্যমে বিকল্প ইন্টারনেট সংযোগ চালু করেন ইলন মাস্ক।
তার আগে ইসরায়েল দেশটির পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় এবং শীর্ষস্থানীয় সরকারপন্থি কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে আক্রমণ চালায়। এই হামলার ফলে ইরানে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সরকারি সূত্রের বরাতে ওয়াশিংটন টাইমসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই হামলা ইরানের শাসকের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানের সুযোগ তৈরি করতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, সম্ভাব্য আন্দোলন দমন করতেই ইরান সরকার ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
শুক্রবারই মার্কিন রক্ষণশীল টকশো সঞ্চালক মার্ক লেভিন এক পোস্টে ইলন মাস্ককে বলেন, তিনি যেন স্টারলিংকের মাধ্যমে ইরানিদের পুনরায় ইন্টারনেট সংযোগ দেন। মার্ক লেভিন মাস্ককে বলেন, স্টারলিংক চালু করা হলে তা ইরানি শাসনের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেবে। এরপরই ইলন মাস্ক জানান, স্টারলিংক চালু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, স্টারলিংক হচ্ছে স্পেসএক্সের মালিকানাধীন একটি উপগ্রহভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা, যা পৃথিবীর কাছাকাছি কক্ষপথে থাকা হাজার হাজার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দূরবর্তী বা সংযোগবিচ্ছিন্ন এলাকাগুলোতে ইন্টারনেট সরবরাহ করে। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল ও ওয়াশিংটন টাইমস