ভারতের উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজের (পুরোনো এলাহাবাদ) ত্রিবেণী সঙ্গমে চলছে ১৩ জানুয়ারি থেকে মহাকুম্ভ। এই কুম্ভমেলায় ভিড়ের চাপে প্রয়াগরাজে পদপিষ্ট হয়ে বহু ভক্তের প্রাণ গেছে। আবার মেলায় যোগ দিতে দিল্লি রেলস্টেশন থেকে প্রয়াগরাজে যাওয়ার জন্য ট্রেন ধরতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে ১৮ জন মারা গেছেন।

এই পরিস্থিতিতে কুম্ভস্নান নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ করায় পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ করেছে। ক্ষোভ-বিক্ষোভ করেছে।

গতকাল বুধবার বিকেলে কলকাতার চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ ও মহাত্মা গান্ধী রোডের সঙ্গমস্থলে বিজেপির উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। এতে বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি নেতা সজল ঘোষ, মীনাদেবী পুরকাইত প্রমুখ এই প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দেন।

মমতার মন্তব্যের প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার বিজেপির বিধায়কদের মহাকুম্ভের প্রতীকী জলের ছোট কলসি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা চত্বরে প্রতিবাদ জানানোর কথা রয়েছে। প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে রাজভবনে রাজ্যপালের দরবারে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন দলটির নেতারা। পাশাপাশি বিধানসভার অধিবেশন থেকে সদ্য বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীসহ চার নেতার এক মাসের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানানোর কথা রয়েছে।

গত মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় কুম্ভমেলাকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘মহাকুম্ভ আমি না-ই বা বললাম! ওটা এখন “মৃত্যুকুম্ভ”হয়ে গেছে। মৃত্যুকূপের মতো। আমি মহাকুম্ভকে সম্মান করি। শ্রদ্ধা জানাই। পবিত্র গঙ্গা মাকে সম্মান করি। কিন্তু পরিকল্পনা না করে এত হাইপ তুলে এত লোকের মৃত্যু।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াখালীতে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাকে আশ্রয় দেওয়ায় তাঁতী দলের নেতা বহিষ্কার

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলাউদ্দিনকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের এক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত মোহাম্মদ সৈকত উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়ন তাঁতী দলের সভাপতি ছিলেন। আজ শুক্রবার বিকেলে জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে জেলা তাঁতী দলের আহ্বায়ক ইকবাল করিম সোহেল ও সদস্যসচিব মোরশেদ আলমের যৌথ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বহিষ্কারের আদেশ দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি মূল্যায়নে ব্যর্থ হওয়ায় হাতিয়া উপজেলা তাঁতী দলের দক্ষিণ কমিটিকে সতর্ক করা হয়েছে।

দলীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের জোড়খালী গ্রামে সৈকতের বাড়ি থেকে সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে হাতিয়া থানা–পুলিশ। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ১০টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ সৈকত সম্পর্কে ফুফা–ভাগনে।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ সৈকত প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে অনেকগুলো পরিবার থাকে। আমি ব্যবসার কাজে দিনের বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকি। আলাউদ্দিন কখন বাড়িতে এসেছেন, তা আমার জানা নেই। আমাদের ঘর থেকে তাঁর শ্বশুরদের ঘর অনেক দূরে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে জড়ানো হয়েছে।’

নোয়াখালী জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম বলেন, আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকে আত্মগোপনে থাকার সুযোগ করে দেওয়ায় মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের তাঁতী দল কমিটিকেও সতর্ক করা হয়েছে।

আরও পড়ুনহাতিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে পালিয়ে থাকা সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার৩১ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ