বইমেলায় শরীফ ওবায়েদুল্লাহর ‘স্বপ্নের বাংলাদেশ: পথ না হোক শিশুর ঠিকানা’
Published: 22nd, February 2025 GMT
অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে প্রকাশিত হয়েছে নবোদ্যম ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শরীফ ওবায়েদুল্লাহর বই ‘স্বপ্নের বাংলাদেশ: পথ না হোক শিশুর ঠিকানা’। তিনি সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের জীবনসংগ্রাম ও তাদের উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে লিখেছেন বইটি।
এছাড়া তিনি পথশিশুদের বাস্তব পরিস্থিতি, তাদের দৈনন্দিন জীবন, রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেছেন। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন শাওন মাহমুদ। প্রকাশ করছে বইমই প্রকাশনী। রকমারি ডটকমসহ বইমই প্রকাশনীর ১৪৭ নম্বর স্টলে পাওয়া যাবে।
শরীফ ওবায়েদুল্লাহ বলেন, “প্রতিটি শিশু একটি ফুলের মতো, যার বিকাশ ও প্রস্ফুটন নির্ভর করে যত্ন ও পরিচর্যার উপর। কিন্তু আমাদের চারপাশের অনেক শিশু সেই যত্ন ও সুরক্ষার বাইরে পড়ে আছে। পথশিশুরা আমাদের সমাজের এমন একটি অংশ, যারা প্রতিদিন নানা প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকে। তাদের জীবন সংগ্রাম আমাদের মানবিকতা এবং সামাজিক দায়িত্ববোধকে নতুন করে প্রশ্নবিদ্ধ করে।”
আরো পড়ুন:
বইমেলায় সাইফুলের ‘ছোটদের ইংলিশ থেরাপি’
বইমেলায় কুবি শিক্ষিকার গল্পগ্রন্থ ‘বুমেরাং’
তিনি বলেন, “এই বইটি সেসব পথশিশুদের জীবনের গল্প এবং তাদের প্রাপ্য অধিকার ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরতে এক বিনম্র প্রচেষ্টা। বাংলাদেশের দ্রুত নগরায়ন এবং সামাজিক অসমতার কারণে পথশিশুদের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ শিশুরা কেবল খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত নয়, বরং সমাজের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্যও নানা বাধার সম্মুখীন। তাদের প্রতি অবহেলা আমাদের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য বড় বাধা।”
“এক যুগ ধরে পথশিশুদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে তাদের জীবন, দুঃখ, আনন্দ ও আশা-আকাঙ্ক্ষার অনেক গল্প শুনেছি। তাদের প্রতিদিনের লড়াই আমাকে শুধু অনুপ্রাণিতই করেনি, বরং আমাকে এক নতুন চোখে জীবনকে দেখতে শিখিয়েছে। এ বইয়ের প্রতিটি অধ্যায় সেই অভিজ্ঞতার প্রতিফলন,” শরীফ যোগ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা শরীফ সমাজের অবহেলিত পথশিশুদের জন্য নিবেদিতপ্রাণ। তিনি নবোদ্যম ফাউন্ডেশন ও সেভ দ্য টুমরো স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা, যা এক যুগ ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পথশিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও মানসিক সহায়তা প্রদানে কাজ করছে। তিনি দেশের জাতীয় দৈনিকে পথশিশুদের সমস্যা নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করেন।
ঢাকা/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র জ বন আম দ র বইম ল
এছাড়াও পড়ুন:
গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বহিষ্কৃত নেতা গ্রেপ্তার
সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে চাঁদা নেওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম ওরফে অপুকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর ওয়ারী এলাকা থেকে জানে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
আরও পড়ুনচাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতাসহ আটক ৫২৬ জুলাই ২০২৫মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনায় জানে আলম জড়িত।
গত ১৭ জুলাই গুলশানে আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে নিজেদের ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দেন আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদসহ কয়েকজন। তাঁরা শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। সিদ্দিক আবু জাফর ১০ লাখ টাকা চাঁদা দেন। গত শনিবার রাতে চাঁদার বাকি টাকা আনতে যান তাঁরা। ঘটনাস্থল থেকে রাজ্জাকসহ পাঁচজন পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। বাকি চারজন হলেন ইব্রাহিম হোসেন ওরফে মুন্না, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব ও অপ্রাপ্তবয়স্ক একজন। ঘটনাটিতে গুলশান থানায় মামলা করেছেন সিদ্দিক আবু জাফর। মামলার এজাহারে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনের বাইরে অপু নামের একজনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার হওয়া প্রাপ্তবয়স্ক চার আসামিকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আর প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় আরেকজনকে টঙ্গীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুনপ্রথমে পুলিশ নিয়ে বাসায়, পরে হুমকি দিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা নেন বৈষম্যবিরোধী নেতারা ২৮ জুলাই ২০২৫রাজ্জাক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। চাঁদাবাজির ঘটনায় জানে আলম ও আবদুর রাজ্জাক উভয়কে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে।
পুলিশ জানায়, শাম্মী আহমেদের বাসা থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা নেওয়ার পর রাজ্জাকসহ কয়েকজন তা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেন। নিজের ভাগের পাঁচ লাখ টাকা রাজ্জাক তাঁর বাড্ডার ভাড়া বাসায় (মেস বাসা) রাখেন। এর মধ্যে ২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা গতকাল বৃহস্পতিবার উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুনচাঁদাবাজির ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ জন ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ২ জন বহিষ্কার২৬ জুলাই ২০২৫এর আগে গত বুধবার ডিএমপির এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাজ্জাকের একটি ভাড়া বাসা থেকে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার ৪টি চেক উদ্ধার করা হয়েছে। এটি বাসাটি পশ্চিম রাজাবাজার এলাকায় অবস্থিত বলে গতকাল জানায় গুলশান থানা–পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, এই সোয়া দুই কোটি টাকার চেক নেওয়া হয় রংপুর-৬ আসনের (পীরগঞ্জ) আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ‘ট্রেড জোন’ থেকে।
আরও পড়ুনসমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি: আবদুর রাজ্জাকসহ চারজন সাত দিনের রিমান্ডে২৭ জুলাই ২০২৫