জুলাইয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা সম্ভব নয়
Published: 25th, February 2025 GMT
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হলে অক্টোবরের মধ্যেই তপশিল ঘোষণা করতে হবে। তপশিল ঘোষণার কমপক্ষে দুই মাস সময় হাতে রেখে কাজ শুরু করতে হবে। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী জুনে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করে জুলাইয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
গতকাল সোমবার আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সাংবাদিকদের এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) কার্যনির্বাহী কমিটি এ অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ সময় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সম্ভাব্য দুটি সময়সীমা ঘোষণা করেছেন। প্রথমটা আগামী ডিসেম্বরে, অপরটি ২০২৬ সালের জুনে।
এদিকে ছয়টি সংস্কার কমিশন মিলে সরকারের পক্ষ থেকে একটি ঐকমত্য কমিশন গঠন করে দেওয়া হয়েছে, যার মেয়াদ আগামী ছয় মাস। তিনি বলেন, এসব বিষয় মাথায় রেখে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। আমরা খুব জোরেশোরে কাজ শুরু করেছি; সেটি সংসদ নির্বাচনই হোক আর স্থানীয় সরকার নির্বাচন। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হলে প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
নাসির উদ্দীন বলেন, এখনও ১৭ লাখ মৃত ভোটার তালিকায় আছে। এসব কাজ সম্পন্ন করা সময়ের ব্যাপার। ভোটার তালিকা যদি সুষ্ঠুভাবে না হয়, তাহলে তো আগের মতো কবর থেকেই এসে ভোট দিয়ে যাবে। জুনে হালনাগাদ ভোটার তালিকা পাওয়া যাবে।
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী জুনে ভোটার চূড়ান্ত তালিকা দিয়ে জুলাইয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি বলেন, এ নিয়ে একটি রাজনৈতিক বিতর্ক চলছে। নির্বাচন কমিশন এতে জড়াতে চায় না। আমাদের টার্গেট ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন। তারপরও সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে ৫০টির বেশি আবেদন ঝুলে আছে। আইনি জটিলতার কারণে এসব সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে আমরা সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। আরও কিছু বিষয়ে সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।
সিইসি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য করতে হলে ন্যূনতম সংস্কারের প্রয়োজন। কমিশন সে উদ্যোগ নিয়েছে। কমিশনের আইন ও বিধিমালা পরিবর্তন করতে হবে।
দেশের বিদ্যমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচন করা সম্ভব কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন যারা বোমা মারছে, আগামী ডিসেম্বর আসতে আসতে তারা একটা বার্তা পেয়ে যাবে। এ পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়ে যাবে।
.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নেগেটিভ ইক্যুইটি বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা জমা দেওয়ার সময় বাড়াল বিএসইসি
পুঁজিবাজারে মার্জিন হিসাবে আনরিয়েলাইজড লস বা সৃষ্ট নেগেটিভ ইক্যুইটির ওপর প্রভিশন সংরক্ষণের সময়সীমা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে প্রভিশন সংরক্ষণের সুনির্দিষ্ট ও গ্রহণযোগ্য কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনসহ ৩০ জুনের মধ্যে কমিশনে জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে অনেক বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান। তাই এ সময়সীমা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) অনুষ্ঠিত ৯৬৫তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএসইসি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নেগেটিভ ইক্যুইটি বা আনরিয়েলাইজড লসের উপর প্রভিশন সংরক্ষণের সুনির্দিষ্ট ও গ্রহণযোগ্য কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনসহ ৩০ জুন, ২০২৫ এর মধ্যে কমিশনে জমা প্রদানের শর্ত সাপেক্ষে স্টক ব্রোকার এবং মার্চেন্টব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজারদের গ্রাহকের মার্জিন অ্যাকাউন্টে আনরিয়েলাইজড লস বা সৃষ্ট নেগেটিভ ইক্যুইটির উপর প্রভিশন সংরক্ষণের সময়সীমা ডিসেম্বর ৩১, ২০২৫ পর্যন্ত বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কমিশন।
আরো পড়ুন:
৭ ব্যাংকের অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের লভ্যাংশ ঘোষণা
ওই সময়সীমার মধ্যে শর্ত পরিপালনে অনেকে ব্যর্থ হওয়ায় এবং ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) এর অনুরোধের প্রেক্ষিতে কর্মপরিকল্পনা জমা দানের বিষয়ে আজকের কমিশন সভায় নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়:
* গ্রাহকের মার্জিন অ্যাকাউন্টে নেগেটিভ ইক্যুইটির বিপরীতে এবং স্টক ব্রোকারদের ডিলার অ্যাকাউন্ট ও মার্চেন্ট ব্যাংকারের নিজস্ব পোর্টফলিওতে আনরিয়েলাইজড লসের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণের একটি সুনির্দিষ্ট ও গ্রহণযোগ্য কর্ম পরিকল্পনা প্রস্তুত করে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনসহ কমিশনে জমা দেয়ার জন্য স্টক ব্রোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজারদের ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত সময় প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
* পূর্বে যারা বোর্ড অনুমোদন ব্যতিত কর্মপরিকল্পনা দাখিল করেছেন, সেসকল বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখের মধ্যে পুনরায় বোর্ড অনুমোদনসহ কর্মপরিকল্পনা কমিশনে দাখিল করতে হবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ঢাকা/এনটি/ফিরোজ