তৃতীয় দিনের মতো রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কমপ্লিট শাটডাউন ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ক্লাস, পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন কর্মসূচি চালাচ্ছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তৃতীয় দিনের মতো রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ শুরু হয়।

অংশগ্রহণকারী চিকিৎসকরা জানান, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কমপ্লিট শাটডাউন ও মেডিকেল কলেজ ক্লাস পরীক্ষা ও একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের কর্মসূচি অব্যহত রয়েছে। পাঁচ দফা দাবি মানা না পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।

তাদের দাবিগুলো হচ্ছে, এমবিবিএস এবং বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ ডাক্তার পদবি লিখতে পারবে না; দ্রুত ১০ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে শূন্যপদ পূরণ করতে হবে; ডাক্তারদের বিসিএসের বয়স সীমা ৩৪ বছর পর্যন্ত করতে হবে; সকল মানহীন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ইনস্টিটিউট বন্ধ করতে হবে।

তবে ইন্টার্নিরা সেবা বন্ধ রাখলেও মেডিকেল কলেজের পরিচালক বিশেষ ব্যবস্থায় সেবা সচল রেখেছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ড ক ল কল জ ইন ট র ন

এছাড়াও পড়ুন:

১২০০ আহতকে সেবা দিলেন বাংলাদেশের চিকিৎসকরা

মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে আহত ১ হাজার ২০০ জনকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে বাংলাদেশের একদল চিকিৎসক। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওই চিকিৎসকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ২৮ মার্চ ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মিয়ানমার। এতে তিন হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারান। আহত হন কয়েক হাজার মানুষ।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ভূমিকম্পে আহতদের চিকিৎসাসেবা দিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সদের সমন্বয়ে গঠিত একদল চিকিৎসক ১ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত মিয়ানমারে অবস্থান করেন। তারা আহত ১ হাজার ২০০ জনের চিকিৎসা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ২০০ জনকে সার্জারি করা হয়েছে। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত চিকিৎসক দলের উদ্দেশে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, মানবতার ধর্মই পরম ধর্ম। এ ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আপনারা যেভাবে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন, সেটা প্রশংসনীয়। এই প্রশংসনীয় কাজের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সাইদুর রহমানসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১২০০ আহতকে সেবা দিলেন বাংলাদেশের চিকিৎসকরা
  • চিকিৎসক মাত্র ৩ জন, অন্তঃসত্ত্বাদের সেবায় নার্স, দাঁতের চিকিৎসায় টেকনোলজিস্ট