রণাঙ্গনের যোদ্ধারাই হবেন মুক্তিযোদ্ধা, বাকিরা সহযোগী: উপদেষ্টা
Published: 26th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
রণাঙ্গনের যোদ্ধারাই হবেন মুক্তিযোদ্ধা। এছাড়া যারা দেশ ও বিদেশে থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন, কূটনৈতিক তৎপরতা ও অন্যান্য সহযোগিতা করেছেন, তারা ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।
সম্প্রতি ইউএনবিকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, বর্তমানে প্রচলিত আইনে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় সরাসরি যুদ্ধে অংশ না নেয়া আট ধরনের ব্যক্তিকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। তবে নতুন খসড়া অধ্যাদেশের মাধ্যমে এই সংজ্ঞায় বড় পরিবর্তন আনা হবে।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০২২’ সংশোধন করে নতুন ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ প্রণয়ন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। মার্চের প্রথম সপ্তাহে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।
নতুন আইনের মূল দিকগুলো হলো:-
১.
২. মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী: জনমত গঠন, কূটনৈতিক সহায়তা, বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রচার, মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও কলাকুশলী, চিকিৎসা সহায়তাকারী ব্যক্তিদের ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হবে।
৩. বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা পর্যালোচনা: অতীতে যারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন, তাদের মধ্যে কেউ যদি নতুন সংজ্ঞার আওতায় না পড়েন, তবে তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেয়া হতে পারে।
৪. বয়সসংক্রান্ত নীতি: মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বনিম্ন বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সময় ১২ বছর ৬ মাস। এটি নিয়ে মামলা থাকায় আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর নতুন আইন কার্যকর হবে।
৫. ভুল তথ্য প্রদানকারীদের জন্য সুযোগ: যারা ভুল তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সুবিধা নিয়েছেন, তাদের ২৬ মার্চের মধ্যে ক্ষমা চেয়ে আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হতে পারে।
বর্তমান আইনে মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞা অনুযায়ী, ‘শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণায় সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া সকল ব্যক্তি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবেন।’ কিন্তু নতুন খসড়ায় এই অংশ বাদ দেওয়া হয়েছে।
নতুন আইনে কেবল রণাঙ্গনে লড়াই করা ব্যক্তিদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, যেখানে স্বাধীনতা সংগ্রামে পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখা ব্যক্তিদের জন্য আলাদা ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ উপাধি প্রবর্তন করা হচ্ছে।
মার্চের প্রথম সপ্তাহে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই খসড়া অনুমোদন পেলে পরবর্তীতে তা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) সভায় চূড়ান্ত করে কার্যকর করা হবে।
এম জি
উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: ম ক ত য দ ধ র সহয গ উপদ ষ ট ন আইন
এছাড়াও পড়ুন:
৬ বছর বুটেক্সে ক্যারিয়ার ফেয়ার অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) গতকাল বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ক্যারিয়ার ফেয়ার-২০২৫’।
দীর্ঘ ছয় বছর পর এবারের ক্যারিয়ার ফেয়ার আয়োজন করে বুটেক্স ক্যারিয়ার ক্লাব। পাশাপাশি আয়োজনে সহযোগিতা করে ইনস্টিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড টেকনোলজিস্টস (আইটিইটি)। এবারের আয়োজনে দেশের নানা শীর্ষ শিল্পপ্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিল্প খাতের প্রতিনিধিদের সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি করাই ছিল এ আয়োজনের মূল লক্ষ্য।
সকাল নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক মো. জুলহাস উদ্দিন জব ফেয়ার উদ্বোধন করেন। এরপর হাতে সিভি নিয়ে শিক্ষার্থীর ভিড়ে মুখর হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টলে গিয়ে করপোরেট প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং চাকরি ও ইন্টার্নশিপের সুযোগ সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৩ ঘণ্টা আগেপ্রায় ২৫টি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান অংশ নেয় ফেয়ারে। এর মধ্যে ছিল ডেকো ইশো গ্রুপ, ফকির অ্যাপারেলস, মাসকো গ্রুপ, ডেকাথলন বাংলাদেশ, ব্যাবিলন গ্রুপ, এসজিএস বাংলাদেশ, ঊর্মি গ্রুপ, স্টার্লিং স্টাইলস, নিট এশিয়া, হা-মীম গ্রুপ, স্নোটেক্স, এপিলিয়ন গ্রুপ, ব্র্যাক ক্যারিয়ার হাব, ভিয়েলাটেক্স, ফ্যাশন স্টেপ গ্রুপ, ডাইসিন, কালারটেক্স ও ফকির নিটওয়্যারস লিমিটেড। অন-স্পট নিয়োগও দেয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
শিক্ষার্থীরা জানান, এ ধরনের আয়োজন তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং করপোরেট কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ দেয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, এ ধরনের আয়োজন আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং করপোরেট কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ দেয়